[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
রাঙ্গামাটিতে চোখ রাঙাচ্ছে ম্যালেরিয়া, ৫ মাসে আক্রান্ত ৬৭৬ জনবাঘাইছড়িতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দিলেন জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দবান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ দুই রোহিঙ্গা নারী আটকবাল্যবিবাহ আইনে শাস্তির বিধান থাকলেও সচেতনতার অভাব: খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকদীঘিনালায় মাদকদ্রব্য বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে ৭বিজিবি’র সভারামগড় কৃষি অফিসের বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণযুবককে অপহরণ করে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী লামায় ৩ সন্ত্রাসী আটকখাগড়াছড়ির পানছড়িতে প্রশিক্ষণের আড়ালে প্রতারণার ঘটনায় গ্রেপ্তার- ৩তিন পার্বত্য জেলা পরিষদে জনবল নিয়োগ ও শিক্ষা বৃত্তিতে বৈষম্য বন্ধের দাবিমাটিরাঙ্গায় কৃষকের দক্ষতা ও টেকসই কৃষি নিয়ে দিনব্যাপী কর্মশালা
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

রাঙ্গামাটির লংগদু রাজনগর বিজিবিকে জড়িয়ে মিথ্যা, ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচারের প্রতিবাদ

॥ লংগদু উপজেলা প্রতিনিধি ॥
“লংগদুতে বিজিবি কর্তৃক জুম্ম গ্রামবাসীকে হয়রানি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন” শিরোনামে hillvoice.net ওয়েবসাইটে একটি বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, যা সম্পূর্ণরূপে ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যমূলক এবং প্রকৃত ঘটনার সম্পূর্ণ বিপরীত। রাজনগর বিজিবি জোনের পক্ষ থেকে বুধবার (২৫ জুন) গণমাধ্যমে এক প্রতিবাদলিপি প্রদান করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ তথা রাজনগর ব্যাটালিয়ন (৩৭ বিজিবি) সর্বদা সংবিধান ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্বের আলোকে পার্বত্য এলাকার শান্তি, সম্প্রীতি ও নিরাপত্তা রক্ষায় নিয়োজিত। বিজিবি কখনই কোথাও সাদা পোশাকে টহল পরিচালনা করে না। পার্বত্য অঞ্চলে বিজিবি সবসময় তার নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। স্থানীয় সকল সম্প্রদায়ের জনগণের প্রতি বিজিবির দৃষ্টিভঙ্গি বরাবরই সহানুভূতিপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক। বিজিবি স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ে কাজ করে থাকে এবং কখনোই কোনো সম্প্রদায়কে হয়রানি বা ভয়ভীতি প্রদর্শনের নীতি গ্রহণ করে না।

শান্তি-সম্প্রীতি-উন্নয়ন এর আওতায় ২৫ জুন ২০২৫ তারিখ সেক্টর কমান্ডার, বিজিবি রাঙ্গামাটি এর সভাপতিত্বে স্থানীয় হেডম্যান, কারবারী, চেয়ারম্যান, মেম্বার, গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত সকল সম্প্রদায়কে সম্প্রীতি বজায় রেখে একত্রে সহাবস্থানের অনুরোধ করেন। প্রকাশিত প্রতিবেদনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে ভুলভাবে উপস্থাপন এবং বিজিবির পেশাদারিত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। বিজিবি এই ভিত্তিহীন সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে এবং সঠিক তথ্য যাচাই করে সংবাদ পরিবেশনের জন্য সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমকে অনুরোধ জানাচ্ছে।

উক্ত প্রতিবেদনে উল্লেখিত অভিযোগসমূহ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। প্রতিবেদনে তিনজন নিরীহ দোকানদারকে লক্ষ্য করে যেসব তথ্য দেওয়া হয়েছে, তার কোনো ভিত্তি নেই এবং এসবের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণ ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। এটি শুধু নিরীহ দোকানদারদের সম্মানহানি করে না, বরং একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) পার্বত্য অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে শান্তি বজায় রাখা, সাধারণ মানুষকে সুরক্ষা প্রদান, জরুরি সময়ে চিকিৎসা সহায়তা ও প্রশিক্ষণ প্রদান, এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে ত্রাণ কার্যক্রমে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। বিজিবির সদস্যরা পাহাড়ি ও বাঙালি — উভয় সম্প্রদায়ের পাশে থেকে মানবিক সহায়তা দিয়ে থাকেন। বিশেষ করে দূর্গম পাহাড়ি এলাকায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, শিক্ষা সহায়তা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা করা বিজিবির অন্যতম দায়িত্বের অংশ। তারা কখনোই জনসাধারণকে ভয়ভীতি প্রদর্শন বা হয়রানি করার কাজে লিপ্ত থাকে না। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সব সময় নিয়মতান্ত্রিকভাবে ইউনিফর্ম পরে কর্তব্য পালন করে থাকে। ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ সম্পূর্ণ কাল্পনিক ও মিথ্যা।

বিজিবি সব সময় সাধারণ জনগণের পাশে থাকে এবং পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় আন্তরিকভাবে কাজ করে। এ ধরনের ভিত্তিহীন ও প্ররোচনামূলক প্রতিবেদন শুধু জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ায় এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে। আমরা এই সংবাদে প্রকাশিত মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং আশা করি সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যম ভবিষ্যতে আরও দায়িত্বশীলতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখবে। এই ধরনের ভিত্তিহীন ও পক্ষপাতদুষ্ট প্রতিবেদন শুধু সমাজে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে না, বরং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ জনগণের মাঝে দূরত্ব বাড়ানোর অপচেষ্টা।