[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
রাঙ্গামাটিতে চোখ রাঙাচ্ছে ম্যালেরিয়া, ৫ মাসে আক্রান্ত ৬৭৬ জনবাঘাইছড়িতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দিলেন জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দবান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ দুই রোহিঙ্গা নারী আটকবাল্যবিবাহ আইনে শাস্তির বিধান থাকলেও সচেতনতার অভাব: খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকদীঘিনালায় মাদকদ্রব্য বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে ৭বিজিবি’র সভারামগড় কৃষি অফিসের বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণযুবককে অপহরণ করে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী লামায় ৩ সন্ত্রাসী আটকখাগড়াছড়ির পানছড়িতে প্রশিক্ষণের আড়ালে প্রতারণার ঘটনায় গ্রেপ্তার- ৩তিন পার্বত্য জেলা পরিষদে জনবল নিয়োগ ও শিক্ষা বৃত্তিতে বৈষম্য বন্ধের দাবিমাটিরাঙ্গায় কৃষকের দক্ষতা ও টেকসই কৃষি নিয়ে দিনব্যাপী কর্মশালা
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

যুবককে অপহরণ করে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী লামায় ৩ সন্ত্রাসী আটক

॥ লামা উপজেলা প্রতিনিধি ॥
বান্দরবানের লামায় আব্দুল খালেক (২০) নামে এক রিসোর্ট ম্যানাজারকে গভীররাতে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে সন্ত্রাসীরা। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাত ২টায় লামা উপজেলার মিরিঞ্জা প্যারাডাইস ভ্যালী থেকে রিসোর্টের ম্যানাজার আব্দুল খালেককে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। সে লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড ইয়াংছা বদুরঝিরি গ্রামের মোঃ শফির ছেলে।

জিম্মি করে নেয়ার সময় অপহরণকারীদের হাত থেকে পালিয়ে যায় ম্যানাজার আবদুল খালেক। পরে তার দেয়া তথ্য মতে স্থানীয়রা সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে মিরিঞ্জা বাগানপাড়া এলাকা থেকে তিন সন্ত্রাসীকে আটক করে। আটক তিন সন্ত্রাসীকে গণধোলাই দিয়ে লামার ইয়াংছা আর্মি ক্যাম্পে সেনাবহিনীর হাতে তুলে দেয়া।

লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) এনামুল হক (পরিদর্শক তদন্ত) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রিসোর্টের ম্যানাজার অপহরণের বিষয়টি আগে আমাদের কেই জানাইনি। বিকেল ৩টায় তিন সন্ত্রাসীকে আটক করলে বিষয়টি জানতে পারি। জনতা সন্ত্রাসী তিনজনকে আটক করে ইয়াংছা আর্মি ক্যাম্পের সোপর্দ করে। তাদের কাছে প্যারাডাইস ভ্যালী থেকে ছিনতাই করা দুইটি মোবাইল এবং একটি কিরিচ জব্দ করা হয়েছে। সেনাবাহিনী তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অপহরণকারীদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

আটক তিন সন্ত্রাসীরা হলো, লামার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড মিরিঞ্জা বাগান পাড়ার পুনিন্দ্র ত্রিপুরার ছেলে টানিয়েল ত্রিপুরা (৩৮), বান্দরবানের রুমা উপজেলার বগালেক এলাকা পুকুরপাড়ার নথিঅং ত্রিপুরার ছেলে রহিম ত্রিপুরা (৩০) এবং থানচি উপজেলার বড়মদক এলাকার মেকিয়া ত্রিপুরার ছেলে হালিরাম ত্রিপুরা (২৮)।

অপহৃত আব্দুল খালেক জানান, রাতের পরিবার নিয়ে রিসোর্টে ঘুমিয়ে ছিলাম। রাত ২টায় ৮/১০ জন সন্ত্রাসী অস্ত্রের মুখে আমাকে ও আমার স্ত্রীকে আটক করে। পরে আমাকে চোখ বেধেঁ নিয়ে যায় এবং আমার স্ত্রীকে ছেড়ে দেয়। তারা আমাকে জিম্মি করে রিসোর্ট মালিকের কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী। রাতে গভীর জঙ্গল দিয়ে আমাকে নিয়ে যাওয়ার সময়, সুযোগ বুঝে আমি পাহাড়ের নিচে লাফিয়ে পড়ে পালিয়ে যাই। পরে স্থানীয় লোকজনকে নিয়ে বাগান পাড়া এলাকায় তল্লাশী করে তিনজন সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়। জনতাকে দেখে সন্ত্রাসীরা তাদের হাতে অস্ত্র পাহাড়ের গভীর খাদে ফেলে দেয়ায় অস্ত্র পাওয়া যায়নি। আটককৃতদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে দেয়া হয়েছে। এই সন্ত্রাসী আরো অসংখ্য হত্যা, গুম ও মারামারি মামলার আসামি।

লামা মিরিঞ্জা প্যারাডাইস ভ্যালীর মালিক মোঃ আইয়ুব আলী বলেন, রাত ২টা ৩০ মিনিটে আমার ফোনে কল দিয়ে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। ভাগ্য ভালো আব্দুল খালেক পালিয়ে আসছে। আটক সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি। বাগান পাড়া ও আশপাশের পাড়া গুলোতে তল্লাশী চালালে আরো অনেক অস্ত্র পাওয়া যাবে। তারা এইসব অস্ত্র দিয়ে সবাইকে জিম্মি করে।