[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিল মাটিরাঙ্গা জোনকাপ্তাইয়ে পানি বন্ধি ৩৫ পরিবারকে শুকনো খাবার বিতরণবান্দরবানের থানচিতে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালিতআমাদের অস্তিত্ব, আত্মপরিচয়ে আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি চাই: উষাতন তালুকদাররাঙ্গামাটিতে পানিবন্দী ২৫ হাজার মানুষ, দুর্যোগ মোকাবেলায় কাজ করছে প্রশাসনখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় সেনা অভিযানে ভারতীয় সিগারেট আটকরাষ্ট্র মেরামতের ৩১দফা লিফলেট বিতরণ কাপ্তাই বিএনপি’রসাংবাদিক তুহিন হত্যায় জড়িতদের বিচার দাবিতে বাঘাইছড়ি মানবন্ধনমাটিরাঙ্গা সম্প্রীতি কাপ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন গোমতী ইউনিয়ন একাদশখাগড়াছড়ির রামগড়ে ফার্মেসীর মালিককে অর্ধলক্ষ টাকা জরিমানা
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

বান্দরবানের থানচিতে পর্যটন শিল্পে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা

॥ চিংথোয়াই অং মার্মা, থানচি ॥
বান্দরবানের থানচিতে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আংশিক এলাকায় পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঈদের ছুটিতে কয়েকদিন ধরে পর্যটকদের আনাগোনার চাপ থাকলেও বর্তমানে ভ্রমণপিপাসুদের আসা একদমই কমে গেছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় পর্যায়ক্রমে ভ্রমণে আংশিক নয়, রেমাক্রী ও ঙাফাখুম পর্যন্ত খোলার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, থানচির তুমা-তুঙ্গী ও তিন্দু পর্যন্ত ভ্রমণ করতে পারবে। পর্যটক ভ্রমণে আংশিক পর্যটন স্পষ্টের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে নির্দেশিত স্থান ছাড়া অন্য কোথাও যাওয়া যাবে না। দীর্ঘ ১৩ মাস পর আংশিক এলাকায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে ঈদের ছুটি দিনের পর্যটকদের আনাগোনা চাপ বেশি ছিল। এখানকার অর্থনীতি কিছুটা হলেও সচল হচ্ছে।

এদিকে পর্যটন শিল্পের সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, পথপ্রদর্শক, নৌকা মাঝি, হোটেল, রেষ্টুরেন্ট ও গাড়ি চালকসহ পর্যটনশিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে হাজারো মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িত। দফায় দফায় নিষেধাজ্ঞার কারণে তাদের জীবনে নেমে আসে চরম আর্থিক সংকট। ঈদের ছুটিতে কয়েকদিন ভ্রমণপিপাসুদের ঢল থাকলেও বর্তমানে পর্যটকদের আনাগোনায় একদমই কমে গেছে।

অন্যদিকে থানচিতে ভ্রমণের শুধু আংশিক এলাকা নয়, এখানকার নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসা পর্যটকরা বলেছেন, পরিস্থিতি বিবেচনা করে উপজেলার সব পর্যটন স্পট পুরোদমে খুলে দিলে ভ্রমণ করতে আগ্রহ বাড়বে ভ্রমণপিপাসু পর্যটকরা। রেমাক্রী ফলস, ঙাফাখুম, সাতভাই খুম, ভেলাখুমসহ অসংখ্য ঝর্ণা ও পাহাড় যেন পর্যটকদের অপেক্ষায় রয়েছে।

থানচি গাইড সমিতি সাধারণ সম্পাদক মোঃ মামুনুর রশিদ বলেন, অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি হচ্ছে পর্যটন শিল্প। দফায় দফায় বন্ধ থাকার কারণে এখানকার পর্যটন শিল্পে ধস নেমেছিল। তবে আংশিক এলাকায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর পর্যটকদের আনাগোনা বাড়লেও কমে আসছে বর্তমানেই। রেমাক্রী ও ঙাফাখুমের ভ্রমণে সুযোগ দিলে খুব দ্রুতই এখানকার অর্থনীতি আবার চাঙ্গা হয়ে উঠবে।

থানচি উপজেলা গাইড সমিতি সভাপতি ইমন ম্যানুয়েল ত্রিপুরা বলেন, পর্যটন স্পষ্ট আংশিকভাবে খুলে দিয়েছে, স্পষ্টগুলো কিন্তু উপরে অন্যান্য জায়গাতে, তিন্দুতে তেমন পর্যটন নেই। অন্যান্য স্পষ্টগুলো খুলে দিলে পর্যটক চাপ আনাগোনা ও পর্যটকদের ঢল প্রচুর সমাগম থাকতো। এবং এখানকার স্থানীয়দের অর্থনীতি আবারও চাঙ্গাভাবেই সচল হবে।

থানচি থানার অফিসার (ওসি) নাছির উদ্দিন মজুমদার জানান, সীমিত পরিসরে আংশিক দর্শনীয় স্থানে ভ্রমণকারীদের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সেবায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে, এপর্যন্ত কোনো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার ঘটেনি।