[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
লামায় ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ফার্মেসিতে মোবাইল কোর্ট এর জরিমানাচলতি ডিসেম্বরেই পার্বত্য চট্টগ্রামে ই-লার্নিং স্কুল চালু করা হবে- পার্বত্য উপদেষ্টাতথ্য অফিসের আয়োজনে বাঙ্গালহালিয়ায় নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিতকাপ্তাইয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক টাইফয়েড টিকাদানে উঠান বৈঠকরাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে শিক্ষক-কর্মচারীরা মানববন্ধনে, শিক্ষার্থীরা খেলার মাঠেঅনেক প্রকার শাক সবজি এক সাথে রান্না করলে সুষম পুষ্টি বজায় থাকে১০আর.ই ব্যাটালিয়ন কর্তৃক শিক্ষার্থীদেও মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণদীঘিনালায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসে ফায়ার সার্ভিসের মহড়াখাগড়াছড়ির রামগড়ে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিতরাঙ্গামাটির রাজস্থলীতে দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

তেল উৎপাদনের নিয়ম না জানায় পাম ফল নষ্ট হচ্ছে দীঘিনালায়

॥ মোঃ সোহেল রানা, দীঘিনালা ॥
খাগড়াছড়ি দীঘিনালায় সরকারী ভাবে কৃষি অফিস থেকে দেয়া পাম গাছের চারা স্থানীয় চাষীরা তাদের বাড়িতে ও পাহাড়ে ১০/১২বছর আগে রোপন করে। কারো বাড়িতে ৫ থেকে ১০টি এবং উচু পাহাড়ে শতাধিক করে পাম গাছের চারা রোপন করছিল। বর্তমানে সব গাছে ফলন দেয়া শুরু করেছে। গাছে থোকায় থোকায় পাম ফল ধরে আছে। পাম ফল থেকে তেল তৈরির নিয়ম বা কৌশল সম্পর্কে না জানার কারনে গাছেই নষ্ট হচ্ছে পাম ফলগুলো।

অনেকে ফলধরা অবস্থায় পাম গাছ কেটে ফেলেছে। কোন সংস্থা থেকে তদারকি না থাকায় অযত্নে অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে পাম গাছগুলো। কবাখালী ইউনিয়নের আলী নগর গ্রামে মোঃ ইউনুছ আলী উচু পাহাড়ে প্রায় শতাধিক পাম গাছের চারা রোপন করছিলে ৭/৮বছর আগে। তিনি বলেন, কৃষি অফিস থেকে পাম গাছে চারা দিয়েছিল। আমি প্রায় একশত চারা লাগাই গাছগুলো অনেক বড় হয়েছে আর সবগাছগুলোতেই ফলন আসছে। গাছে পাম ফলগুলো নষ্ট হচ্ছে তেল তৈরি করার নিয়ম জানি না। এলাকায় সরিষার তেল তৈরি করার মত পাম ফল থেকে তেল নেয়ার মেশিন আছে কি না জানিনা। সরকারি ভাবে পাম ফল থেকে তেল তৈরি করার প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করলে ভাল হবে।

মেরুং ইউনিয়ন পরিষদ নয় মাইল এলাকার মেম্বার ভূবন মোহন ত্রিপুরা বলেন, সরকারি ভাবে ১০/১২বছর আগে পাম গাছের চারা দিয়েছিল। আমার এলাকায় অনেকে পাম বাগান করেছে, পাম গাছগুলোতে প্রচুর ফলন আসছে। একটি থোকার ওজন প্রায় ২০/৩০কেজি হবে। ফলগুলো এভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পাম চাষীরা পামফল থেকে তেল তৈরি করার কৌশল জানে না। সরকারি ভাবে পামচাষীদেরকে তেল তৈরি করা সর্ম্পেকে প্রশিক্ষন দেয়া হত, তাহলে তারা পাবিবারিক তেলের চাহিদা পূরন করে স্থানীয় বাজারে তেল বিক্রি করে চাহিদা অনেকাংশে পূরন করতে পারত। এব্যপারে সরকারি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

দীঘিনালা উপসহকারী কৃষি কর্তমর্তা সুপন চাকমা বলেন, উপজেলায় কত হেক্টর জমিতে পাম গাছ রোপন করা হয়েছে কৃষি অফিসে সঠিক তথ্য রেকর্ড নেই। তবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রচুর পামগাছ চাষ করেছে। পাম গাছগুলোতে প্রচুর ফলন আসতে শুরু করেছে কিন্তু তেল তৈরি করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানা না থাকার কারনে তেল উৎপাদন করতে পারছে না চাষিরা। তাই পরিচর্যার অভাবে এখন পাম গাছের ফলগুলো নষ্ট হচ্ছে।