[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
বান্দরবানে সেনাবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র সরঞ্জামসহ ৯ জন আটক, জনমনে স্বস্তি‘কারিগরি শিক্ষা নিলে বিশ্বজুড়ে কর্ম মিলে’ কাপ্তাই এ সেমিনার অনুষ্ঠিতচিকিৎসক সংকটে বান্দরবানের থানচি হাসপাতালে সেবা বঞ্চিত মানুষখাগড়াছড়িতে তিন দিনব্যাপী জাতীয় ফল মেলা ২০২৫ অনুষ্ঠিতলংগদু সেনা জোনের উদ্যোগে সহিংসতা প্রতিরোধে কর্মশালাথানচিতে স্থানীয়ভাবে উদ্ভাসিত লাগসই প্রযুক্তি প্রয়োগ ও সম্প্রসারণ শীর্ষক সেমিনারখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় কালোজাম কেজি ১শত ৪০ টাকারাঙ্গামাটির রাজস্থলী উপজেলার অনেক গ্রাম বিদ্যুতের আলো থেকে বঞ্চিতকাপ্তাই ফরেস্ট গার্ডের বেসিক প্রশিক্ষণ শেষে সনদ বিতরণরাজস্থলীতে বিএনপির সদস্য নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

বান্দরবানে সেনাবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র সরঞ্জামসহ ৯ জন আটক, জনমনে স্বস্তি

॥ লামা উপজেলা প্রতিনিধি ॥
বান্দরবান জেলার সদর উপজেলার টংকাবতী ইউনিয়নে পূর্ণবাসন চাকমা পাড়া এবং ইমানুয়েল ত্রিপুরা পাড়া এলাকায় আলীকদম সেনা জোন কর্তৃক সাঁড়াশি অভিযানে ৯ জন সক্রিয় সন্ত্রাসী অস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে। শুক্রবার (২০ জুন) বান্দরবান রিজিয়ন সদর দপ্তরের নির্দেশক্রমে ভোর সাড়ে ৫টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আলীকদম সেনা জোনের সেনা সদস্যরা জোন উপ-অধিনায়ক মেজর মোঃ মঞ্জুর মোর্শেদ (পিএসসি) এর নির্দেশনায় এই অভিযান পরিচালনা করেন।

আটককৃতরা হলো আনন্দ মোহন চাকমা (৭২), শান্তিরাম চাকমা (৩৩), চাতুই চাকমা (৩৫), শান্তি রঞ্জন চাকমা (৩৫), কল্পরঞ্জন চাকমা (৪৫), জ্যোতি বিকাশ চাকমা (২৮), পাখিরাম ত্রিপুরা (৩১), ছতিয় ত্রিপুরা (৬০) এবং জুয়েল ত্রিপুরা (২৬)। নিরাপত্তা বাহিনীর প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, তারা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় চাঁদাবাজি, ডাকাতি, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতি ছড়ানোর মতো অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন।

উদ্ধারকৃত আলামতের মধ্যে রয়েছেঃ ৪টি গাদা বন্দুক, ২টি ব্যারেল, ৩টি ছুরি, ১টি ইউনিফর্মের নিচের অংশ, এক জোড়া বুট, ১টি ট্যাব, ২টি মোবাইল ফোন এবং ইলেকট্রিক তার। উদ্ধারকৃত অস্ত্র এবং অন্যান্য আলামত জব্দ করে আটককৃতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বান্দরবান সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

আলীকদম সেনা জোনের জোন উপ-অধিনায়ক মেজর মোঃ মঞ্জুর মোর্শেদ পিএসসি জানান, শান্তি প্রতিষ্ঠায় অভিযান চলবে। এলাকার সকল জনগণ সন্ত্রাসীদেরকে সকল প্রকার চাঁদা প্রদান হতে বিরত থাকার এবং সন্ত্রাসী গোষ্ঠী চাঁদা চাওয়ার সাথে সাথে আলীকদম সেনা জোনকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করেন। তিনি আরো বলেন, আলীকদম সেনা জোনের আওতাধীন আলীকদম এবং লামা এলাকায় কোন প্রকার চাঁদাবাজদের ছাড় দেওয়া হবে না। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সকল প্রকার চাঁদাবাজি এবং যেকোন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সদা তৎপর। অবৈধ অস্ত্রধারী এবং চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর এ ধরণের অভিযান ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে টঙ্কাবতী সরই সুয়ালক সহ বিভিন্ন এলাকায় অপহরণ চাঁদাবাজির ঘটনা বেড়ে গেছে। স্থানীয় একটি চক্র এসব ঘটনার সাথে জড়িত রয়েছে। এদিকে এই অভিযানে এলাকায় স্থানীয়দের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে।