চিকিৎসক সংকটে বান্দরবানের থানচি হাসপাতালে সেবা বঞ্চিত মানুষ
॥ চিংথোয়াই অং মার্মা, থানচি ॥
বান্দরবানের থানচিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকটের কারণে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে। আর্ধযুগ ধরে ৩১ শয্যার জনবল দিয়েই চলছে ৫০ শয্যার কার্যক্রম। নেই উন্নত মানের কোনো চিকিৎসা সরঞ্জামও। পর্যাপ্ত চিকিৎসক না থাকায় সাধারণ মানুষ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, চিকিৎসক সংকটের কারণে মানুষ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতেও আগ্রহী নয়। তাদের মধ্যে এমন ধারণা তৈরি হয়েছে যে, হাসপাতালে গেলে চিকিৎসা পাওয়া যাবে না। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য প্রচারসহ জনবল নিয়োগ করে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। হাসপাতালে সরকারিভাবে প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ ১৩জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও আছেন ৩জন। কাগজে-কলমে বর্তমানে তিনজন চিকিৎসকের একজন দীর্ঘদিন ধরে জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন। অন্যজন জেলা সদর হাসপাতালে প্রেষণে দায়িত্বরত। সেই হিসেবে মাত্র একজন চিকিৎসকের ভরে কাঁধেই চলছে গোটা হাসপাতাল।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ৫০ শয্যার নতুন ভবনে চার তলায় ৪টি কেবিন ও ১৪টি ওয়ার্ডেও বেডগুলো অযত্নে পড়ে আছেন। পুরোনো ভবনে মহিলা ওয়ার্ডে ১২জন রোগীর ভর্তি করে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা চলছে। পুরুষ ওয়ার্ডে রোগীও নেই। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নতুন ভবন স্থাপন করার হলেও চিকিৎসাসেবা চলছে পুরোনো ভবনে।
থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট একটি দীর্ঘদিনের সমস্যা। জনবল সংকটের ফলে কর্তব্যরত ডাক্তার-নার্সরা চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। বিভিন্ন সময়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আধুনিকায়নসহ জনবল সংকট রয়েই গেছে। বর্তমানে একজন চিকিৎসক দিয়ে ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে, যা রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা নয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে আসার কয়েকজন রোগী ও অভিভাবকরা বলেছেন, হাসপাতালে বায়োকেমিস্ট্রি অ্যানালাইজার, এক্সরে মেশিন ও আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিনের মতো গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি না থাকায় জটিল রোগের চিকিৎসাসেবা দিতে চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। চিকিৎসক ও নার্স সংকটের ফলে স্বাস্থ্যসেবা থেকে হাজারো মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে।
জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওয়ার্ড ইনর্চাজ ও সিনিয়র নার্স উসাইমে মারমা বলেন, প্রতিবছরে মে, জুন, জুলাই এই তিন মাস হচ্ছে পাহাড়ে ম্যালেরিয়া, ডায়রিয়া বেশি হয়। এ সিজনে রোগীর বেশি আসে, সেই তুলনায় আমাদের স্টাফ সংখ্যক কম।
এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ বলেন, চিকিৎসক সংকটে কারণে স্বাস্থ্য সেবা দিতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। হাসপাতালে জনবল শূন্য বিষয়সহ উন্নত মানে চিকিৎসা সরঞ্জাম অভাবে বিষয়েও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট চিঠি দিয়েছি, তবে এখনো কোনো সুরাহা হয়নি।
চিকিৎসক সংকটে বান্দরবানের থানচি হাসপাতালে সেবা বঞ্চিত মানুষ
॥ চিংথোয়াই অং মার্মা, থানচি ॥
বান্দরবানের থানচিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকটের কারণে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে। আর্ধযুগ ধরে ৩১ শয্যার জনবল দিয়েই চলছে ৫০ শয্যার কার্যক্রম। নেই উন্নত মানের কোনো চিকিৎসা সরঞ্জামও। পর্যাপ্ত চিকিৎসক না থাকায় সাধারণ মানুষ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, চিকিৎসক সংকটের কারণে মানুষ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতেও আগ্রহী নয়। তাদের মধ্যে এমন ধারণা তৈরি হয়েছে যে, হাসপাতালে গেলে চিকিৎসা পাওয়া যাবে না। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য প্রচারসহ জনবল নিয়োগ করে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। হাসপাতালে সরকারিভাবে প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ ১৩জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও আছেন ৩জন। কাগজে-কলমে বর্তমানে তিনজন চিকিৎসকের একজন দীর্ঘদিন ধরে জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন। অন্যজন জেলা সদর হাসপাতালে প্রেষণে দায়িত্বরত। সেই হিসেবে মাত্র একজন চিকিৎসকের ভরে কাঁধেই চলছে গোটা হাসপাতাল।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ৫০ শয্যার নতুন ভবনে চার তলায় ৪টি কেবিন ও ১৪টি ওয়ার্ডেও বেডগুলো অযত্নে পড়ে আছেন। পুরোনো ভবনে মহিলা ওয়ার্ডে ১২জন রোগীর ভর্তি করে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা চলছে। পুরুষ ওয়ার্ডে রোগীও নেই। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নতুন ভবন স্থাপন করার হলেও চিকিৎসাসেবা চলছে পুরোনো ভবনে।
থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট একটি দীর্ঘদিনের সমস্যা। জনবল সংকটের ফলে কর্তব্যরত ডাক্তার-নার্সরা চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। বিভিন্ন সময়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আধুনিকায়নসহ জনবল সংকট রয়েই গেছে। বর্তমানে একজন চিকিৎসক দিয়ে ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে, যা রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা নয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে আসার কয়েকজন রোগী ও অভিভাবকরা বলেছেন, হাসপাতালে বায়োকেমিস্ট্রি অ্যানালাইজার, এক্সরে মেশিন ও আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিনের মতো গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি না থাকায় জটিল রোগের চিকিৎসাসেবা দিতে চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। চিকিৎসক ও নার্স সংকটের ফলে স্বাস্থ্যসেবা থেকে হাজারো মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে।
জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওয়ার্ড ইনর্চাজ ও সিনিয়র নার্স উসাইমে মারমা বলেন, প্রতিবছরে মে, জুন, জুলাই এই তিন মাস হচ্ছে পাহাড়ে ম্যালেরিয়া, ডায়রিয়া বেশি হয়। এ সিজনে রোগীর বেশি আসে, সেই তুলনায় আমাদের স্টাফ সংখ্যক কম।
এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ বলেন, চিকিৎসক সংকটে কারণে স্বাস্থ্য সেবা দিতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। হাসপাতালে জনবল শূন্য বিষয়সহ উন্নত মানে চিকিৎসা সরঞ্জাম অভাবে বিষয়েও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট চিঠি দিয়েছি, তবে এখনো কোনো সুরাহা হয়নি।