॥ মোঃ মাসুদ রানা, রামগড় ॥
খাগড়াছড়ির রামগড়-বারৈয়ারহাট, রামগড়-জালিয়াপাড়া সড়কে লাইসেন্স বিহীন তিন চাকার সিএনজি চালকের কাছে যাত্রীরা অনেকটা জিম্মি হয়ে পড়েছে। ঈদের পূর্ববর্তি এবং পরবর্তীতে সিএনজি চালকরা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে বলে অভিযোগ যাত্রী সাধারনের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রামগড় থেকে বারৈয়ারহাট এর ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ১৫০ টাকা এবং জালিয়াপাড়া থেকে রামগড় ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ১০০ টাকা। জানা গেছে, রামগড় থেকে জালিয়াপাড়া ৬০ টাকা ও বারৈয়ারহাট থেকে রামগড় পর্যন্ত ১০০ টাকা নির্ধারীত ভাড়া। ঈদুল আযহার পর অতিরিক্ত ভাড়া চাপে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে যাত্রীরা।
ভুক্তভোগী যাত্রীরা জানান, ঈদের আগের দিন থেকে ঈদ পরবর্তী চতুর্থ-পঞ্চম দিনে ও তারা অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে। ইসমাঈল হোসেন নামে এক যাত্রী জানান, সিএনজি চালকরা বলছেন তারা লোকাল ভাড়া বন্ধ করে দিয়েছে, রিজার্ভ হলে যাবে না হয় যাবেনা, রিজার্ভ নিতে হলেও এক হাজার টাকা দিতে হবে। অর্থাৎ জনপ্রতি ২ শত টাকা বারৈয়ারহাট যেতে লাগবে। তাসলিমা নামে আরেক যাত্রী জানান, তিনি মঙ্গলবার বারৈয়ারহাট থেকে রামগড় এসেছেন ১৫০ টাকা দিয়ে বুধবার ও যাচ্ছেন একই ভাড়া দিয়ে। এক কথা হচ্ছে সিএনজি চালকরা যাত্রীদের জিম্মি করে জোরপূর্বক ভাবে ভাড়া বেশি নিচ্ছে, বাড়তি ভাড়া আদায়ের তারা গাড়ি সংকট দেখিয়ে যাত্রীদের কষ্ট দিচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রামগড় অটোরিকশা চালক সমিতির সভাপতি মোঃ শফিকুর রহমান জানান, আমরা বাড়তি ভাড়া নেওয়ার পক্ষে নই বরং যেনো বেশি ভাড়া নিতে না পারে সেই জন্য মনিটরিং করছি, যদি কেউ যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া দাবী করে তাহলে আমাদের কাছে অভিযোগ করলে আমরা সাংগঠনিক ভাবে সেই চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
রামগড় উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মোঃ শাহ আলম বলেন, বিষয়টি খুবই দু:খ জনক প্রশাসন কর্তৃক আইনগতভাবে ব্যবস্তা নেওয়া প্রয়োজন।
রামগড় থানার চলতি দায়িত্ব কর্মকর্তা এসআই মোঃ রায়হান হোসেন জানান, কোন ভুক্তভোগী যদি অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়ে অভিযোগ করেন তাহলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন নেওয় হবে।
রামগড় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইসমত জাহান তুহিন জানান, ঈদের পরবর্তী সময়ে সিএনজি গুলো বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে এমন অভিযোগ সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যাচ্ছে, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে এবং তাদের বিরুদ্ধে অতি শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।