করোনার ঝুঁকি দেখায় রাঙ্গামাটি স্বাস্থ্য বিভাগের জরুরি প্রচারণা
॥ মোহাম্মদ আলী ॥
আবারো সংক্রামক ব্যধি করোনার আতঙ্কে পড়তে যাচ্ছে মানুষ। ইতিমধ্যেই দেশের কিছু কিছু স্থানে করোনা রোগে বেশ ক’জন মারা যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। রাঙ্গামাটিতেও ঝুঁকি এড়াতে স্বাস্থ্য বিভাগ প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। ঈদের লম্বা ছুটিতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা ভীর জমিয়েছেন পার্বত্য তিন জেলায়। এবারের ঈদে যেভাবে পর্যটকরা তিন জেলায় এসেছেন বিগত সময়গুলোর চাইতে অনেকগুণ বেশী বলে সাধারণ ব্যবসায়ী, সিএনজি চালক পথচারী সহ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
এদিকে, দেশে করোনার নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ দেখা দেয়ায় দেশের পর্যটন শহর রাঙ্গামাটিতে করোনা সংক্রমনের ঝুঁকি থাকায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের জরুরি নির্দেশনা মেনে চলতে পর্যটক সহ সাধারণ মানুষের কাছে আহ্বান জানিয়েছে। তাই রাঙ্গামাটি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগও করোনা মোকাবেলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে। ঈদের লম্বা ছুটিতে দেশের নানাস্থান থেকে বিপুল সংখ্যক পর্যটক এসে শহর এখন গিজ গিজ অবস্থা। তাই রাঙ্গামাটি এখন নতুন করে সংক্রামক করোনা ভাইরাসের ঝুঁকিতে রয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের জরুরি নির্দেশনা মেনে রাঙ্গামাটি জেলার স্বাস্থ্য বিভাগও করোনা মোকাবেলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানা গেছে। পাহাড়, বন আর কাপ্তাই হ্রদ ঘেরা পর্যটন এলাকা রাঙ্গামাটি। প্রকৃতির ছোঁয়া পেতে এখানে বছরের বেশির ভাগ সময় পর্যটকের আনাগোনা হয়ে থাকে। এবারে কোরবানির ঈদের লম্বা ছুটিতে প্রচুর ভ্রমণ পিপাসুদের সমাগম ঘটেছে। যে কারণে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে রাঙ্গামাটিতে। ফলে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে এ ব্যাপারে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। আক্রান্ত রোগীদের সেবা প্রদান, নৌযান ঘাট গুলোতে স্বাস্থ্য ডেস্ক খোলা, চিকিৎসা কাজে স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ মাস্ক, গ্লাভস ও রোগ প্রতিরোধী পোশাক (পিপিই) মজুত রাখতে বলা হয়েছে। ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়ানোর জন্য রোগ প্রতিরোধ নির্দেশনাগুলো প্রচার করার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
রাঙ্গামাটি সিভিল সার্জন ডা: নূয়েস খীসা গণমাধ্যমকে বলেন, করোনা মোকবেলায় রাঙ্গামাটি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। মানুষের হাঁচি-কাশির সময় টিস্যু বা কাপড় দিয়ে নাক মুখ ঢাকার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, করোনা মোকাবেলায় সবাইকে প্রয়োজনমতো সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে কমপক্ষে তিন ফুট দূরে থাকতে হবে। অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ না করতে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। অসুস্থ ব্যক্তিকে ঘরে থাকতে হবে এবং মারাত্মক অসুস্থ হলে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করার জন্য বলেন তিনি।
উল্লেখ্য, করোনা-১৯ এর মহামারীর সময় রাঙ্গামাটিতে করোনা ঝুঁিকতে ছিল। ওই সময়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৭৫৭ জন, মারা গিয়েছিলেন ১০ জন। এবারের ঈদের ছুটিতে বিপুল সংখ্যক পর্যটকের আগমন নতুন করে আশঙ্কা তৈরি করেছে। করোনার নতুন ঢেউয়ের মুখে যেন রাঙ্গামাটি না পড়ে সেই দিকে সকলকে নজর দিতে বলেছে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ।