[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় অস্ত্র, গুলি ও সামরিক সরঞ্জাম উদ্ধারপাহাড়ের উন্নয়নে ঐক্য ও সম্প্রীতির বিকল্প নেই: খাগড়াছড়িতে নাহিদ ইসলামদীঘিনালায় নদীর গর্ভে বিলিন রাস্তা সাঁকো দিয়ে চলাচলখাগড়াছড়িতে কিশোরী ধর্ষণের প্রতিবাদে দীঘিনালায় মানববন্ধনশিক্ষার্থীরা পড়ালেখায় ফাঁকি দেয়ার অন্যতম কারণ ফেসবুক, ইউটিউব ও ইন্টারনেটথানচিতে আবাসিক ছাত্রাবাস ভবনের ছাদে ফাটল, ঝুঁকিতে ৭০জন শিক্ষার্থীরাঙ্গামাটির রাজস্থলীতে কৃষকদলের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিতখাগড়াছড়ির রামগড় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফলজ চারা বিতরণরাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল৭২এর মুজিববাদী সংবিধানে সকল জাতিগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি: নাহিদ ইসলাম
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

বান্দরবানের লামা হাসপাতালে প্রথম সাপে কামড়ানো রোগীকে বাঁচালো চিকিৎসক

॥ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ॥
বিষধর সাপে কামড়ানো মৃত্যু পথযাত্রী রোগী চাইনসোয়ে মার্মা (২২) লামা হাসপাতালের ডাক্তারদের চিকিৎসায় এই যাত্রায় বেঁচে গেলেন। লামা হাসপাতালের ডাঃ শোভন দত্ত, ডাঃ মোঃ সোলেমান, মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ ফরহাদ উদ্দিন এবং দায়িত্বরত নার্সদের যৌথ প্রয়াসে ছেলেটির জীবন রক্ষা পায়। সে আলীকদম উপজেলার চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের (রেপারপাড়া মন্নান মেম্বার পাড়া সংলগ্ন) থোয়াইনচিং হেডম্যান পাড়ার উচিমং মার্মার ছেলে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ শোভন দত্ত জানান, রোগীর পরিবার জানতোই না তাকে সাপে কামড় দিয়েছে। রাত ২টায় থেকে গলায় ব্যথা ও বার বার অবচেতন হয়ে যাচ্ছিল। মুর্মূর্ষ অবস্থায় বুধবার (৪ জুন ২০২৫ইং) সকাল ৭টায় তাকে লামা হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে দায়িত্বরত উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার তাকে ভর্তি দেয়। সকাল ১০টায় আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ সোলেমান রুটিন ডিউটিতে গিয়ে তার শারীরিক অবস্থা ও উপস্বর্গ দেখে বুঝতে পারেন তাকে সাপে কেটেছে। পরে রোগীর পরিবারকে তার বিছানার আশপাশে খুঁজে দেখতে বলে। পরে রোগীর বিছানার বালিশের নিচে চাইনসোয়ে মার্মাকে কামড়ানো বিষধর সাপটি মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তারপর আমরা সাপে কাটার চিকিৎসা শুরু করি। ততক্ষণে তার হৃদপিন্ড প্রায় ৭০% বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।

মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ ফরহাদ উদ্দিন বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা একজন এনেস্থেসিওলজিস্ট। তিনি রোগীকে সিপিআর (কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন) দেয়ার ১০ মিনিট পর হার্ড চালু হয়। সাথে সাথে ইন্টিউবেশন (লাইভ সাপোর্ট) দেয়া হয়। সে আমাদের কাছে পরিপূর্ণ আইসিও সেবা পেয়েছে। পরে তাকে অ্যান্টিভেনোম, অ্যাড্রেনালিন, এট্রোপিন দেয়া হয়। মাত্র একজন সাপে কামড়ানো রোগীর অ্যান্টিভেনোম ছিল হাসপাতালে। যা দিয়ে আমরা চিকিৎসা করেছি। হাসপাতালে সাপে কামড়ানো নতুন রোগী আসলে অ্যান্টিভেনোম না থাকায় আমরা চিকিৎসা করতে পারবোনা।

আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ সোলেমান জানান, লামা উপজেলা হাসপাতালে সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসা এই প্রথম দেয়া হয়েছে। যদিও রোগীর বিপদমুক্ত তারপরেও উন্নত চিকিৎসার জন্য আমরা তাকে লাইভ সার্পোটে চট্টগ্রাম রেফার করছি। তিনি আরো বলেন, দুঃখের বিষয় হল আমরা সাপের কামড়ের চিকিৎসা দিতে গেলে তার পরিবারের লোকজন না বুঝে বাধা দেয়। তাকে সিপিআর ও ইন্টিউবেশন দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। পরে অনেক বুঝিয়ে এবং রোগী যখন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছিল তখন চিকিৎসা করার সুযোগ দেয়। রোগীর চিকিৎসার উন্নতি দেখে স্বজনরা আনন্দিত।