[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
বান্দরবানের থানচিতে এবার গ্রামে ফিরল বম জনগোষ্ঠীর আরো এক পরিবারবান্দরবানে সেনাবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র সরঞ্জামসহ ৯ জন আটক, জনমনে স্বস্তি‘কারিগরি শিক্ষা নিলে বিশ্বজুড়ে কর্ম মিলে’ কাপ্তাই এ সেমিনার অনুষ্ঠিতচিকিৎসক সংকটে বান্দরবানের থানচি হাসপাতালে সেবা বঞ্চিত মানুষখাগড়াছড়িতে তিন দিনব্যাপী জাতীয় ফল মেলা ২০২৫ অনুষ্ঠিতলংগদু সেনা জোনের উদ্যোগে সহিংসতা প্রতিরোধে কর্মশালাথানচিতে স্থানীয়ভাবে উদ্ভাসিত লাগসই প্রযুক্তি প্রয়োগ ও সম্প্রসারণ শীর্ষক সেমিনারখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় কালোজাম কেজি ১শত ৪০ টাকারাঙ্গামাটির রাজস্থলী উপজেলার অনেক গ্রাম বিদ্যুতের আলো থেকে বঞ্চিতকাপ্তাই ফরেস্ট গার্ডের বেসিক প্রশিক্ষণ শেষে সনদ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

গণমাধ্যম ছাড়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়, গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ

॥ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ॥
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখার জন্য এবং ভবিষ্যৎ উন্নয়ন যাতে সমতা, বৈষম্যহীন এবং সামাজিক ন্যায়বিচার দ্বারা পরিচালিত হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য তরুণদের সম্পৃক্ততা অপরিহার্য। গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণমাধ্যম সরকারি কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) লামা উপজেলা পরিষদ হলরুমে অনুষ্ঠিত লামায় ‘তারুণ্যের অগ্রযাত্রায় আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক’ মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপ-প্রধান তথ্য অফিসার মোঃ সাঈদ হাসান এ কথা বলেন।

পিআইডি’র চট্টগ্রাম আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উদ্যোগে এবং লামা উপজেলা প্রশাসন ও তথ্য অফিস লামার সহায়তায় সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আঞ্চলিক তথ্য অফিস চট্টগ্রামের উপ-প্রধান তথ্য অফিসার মোঃ সাঈদ হাসান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মঈন উদ্দিন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আঞ্চলিক তথ্য অফিস চট্টগ্রাম পিআইডি’র সিনিয়র তথ্য অফিসার বাপ্পী চক্রবর্তী।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপ-প্রধান তথ্য অফিসার বলেন, বর্তমানে তরুণরা অনেক বৈশ্বিক আন্দোলনের অগ্রভাগে রয়েছে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে এবং গণতান্ত্রিক সংস্কারের আহ্বান জানাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশেও আমরা তেমন কিছু দেখেছি। তরুণরা একটি বড় রাজনৈতিক উত্তরণের কেন্দ্র হিসেবে কাজ করেছে। সরকারি নীতিমালা ও কার্যক্রম কীভাবে এবং কী পরিমাণে বাস্তবায়িত হচ্ছে গণমাধ্যমের মাধ্যমে সাধারণ জনগণ তা জানতে পারে।

গণতন্ত্র ও সুশাসন একে অপরের পরিপূরক উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, গণমাধ্যম ছাড়া কোনো দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা যেমন সম্ভব নয়, তেমনি গণতন্ত্র শক্তিশালী করতে সুশাসন নিশ্চিত করাও জরুরি। জনগণ ক্ষতিগ্রস্থ হয় এমন সিদ্ধান্তকে গণমাধ্যমের সমালোচনায় প্রতিহত করা সম্ভব। তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ তথ্য প্রকাশের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান। এছাড়াও তিনি তথ্য অধিকার আইন ২০০৯, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশমালাসহ বিভিন্ন বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করেন।

উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে সাংবাদিকগণ বলেন, সমাজে নানান অসঙ্গতি প্রকাশ ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে গণমাধ্যমকর্মীগণ সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কার্যকর ভূমিকা রাখছে। এছাড়াও তাঁরা বলেন, সাংবাদিকগণের কাজের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সাংবাদিক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা জরুরি। অনিবন্ধিত পত্রিকা বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।