॥ মোঃ সোহেল রানা, দীঘিনালা ॥
খাগড়াছড়ি দীঘিনালায় মৎস্য অধিদপ্তরাধীন রাজস্ব খাতের প্রকল্পে আওতায় গত আগস্ট/২০২৪ সালে আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জলাশয় ও মৎস্যচাষীদের মাঝে মৎস্য খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩মে) সকাল সাড়ে ১১টায় দীঘিনালা উপজেলা মৎস্য অফিসে সামনে উপজেলা মৎস্য দপ্তরের আয়োজনে মৎস্য অধিদপ্তরাধীন রাজস্ব খাতের প্রকল্পে আওতায় গত আগস্ট/২০২৪ মাসে আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জলাশয় ও মৎস্যচাষীদের মাঝে মৎস্য খাদ্য বিতরণ দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো মামুনুর রশীদ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন দীঘিনালা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান চন্দ্র রঞ্জন চাকমা, বাবুছড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গগন বিকাশ চাকমা, দীঘিনালা মৎস্যজীবিদলের সভাপতি মোঃ শফিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম।
দীঘিনালা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অবর্না চাকমার সঞ্চালানয় সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো মামুনুর রশীদ বলেন, পাহাড়েও আকস্মিক বন্যা হয় এতে বাড়ি-ঘর, ফসলের জমির পাশাপাশি পুকুর জলাশয়ও ঢুবে যায়। মৎস্যচাষীদের ব্যপক ক্ষতি হয়। দীঘিনালা উপজেলায় এর আগে কখনো বন্যায় মৎস্য চাষীদের সরকারী ভাবে কোন সহায়তা বা প্রনোদনা দেয়া হয়নি এই প্রথম দীঘিনালা মৎস্য চাষীদের মাঝে আর্থিক সহায়তা ও মাছের খাদ্য প্রদান করা হলো। এতে দীঘিনালার মৎস্য চাষীরা অনেকটা উপকৃত হবে। বেশি বেশি মাছ চাষ করতে হবে। বন্যা আসার আগে পুকুর জলাশয় রক্ষায় আগাম প্রস্তুতি রাখতে হবে। এসময় উপজেলার ৪৫টি মালিকানা পুকুর ও ১১টি প্রতিষ্ঠানিক জলাশয় মৎস্য চাষীদের মাঝে ২৫কেজি করে মৎস্য খাদ্য বিতরণ করা হয়।
মেরুং ইউনিয়ন বিবিকা ত্রিপুরা, ফাতেমা খাতুন দীঘিনালা ইউনিয়ন লিকাস চাকমা বলেন, প্রতি বছর পাহাড়ি ঢলের কারনে বন্যা হয়, বন্যায় হাঠাৎ করে পানি বেড়ে যায় আমাদের বেশির ভাগ পুকুর ঢুবে যায়, পুকুর ও জলাশয়ের পাড় ভেঙে যায় সবমাছ চলে যায়। সরকারি ভাবে কোন সহায়তা পাই না। তবে এই প্রথম সরকারি মাছ চাষীদের জন্য মৎস্য অফিসে থেকে সহায়তা করছে। এতে মৎস্য চাষীদের জন্য অনেক উপকার হয়েছে।