॥ মোঃ মাসুদ রানা, রামগড় ॥
খাগড়াছড়ির রামগড়ে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত ছাত্রদল নেতা শাহ আলম এর মরদেহ দাফনের ১৫ বছর পর কবর থেকে তার কঙ্কাল উত্তোলন করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার (৮মে) বিকেলে রামগড় পৌরসভার মাষ্টারপাড়া কেন্দ্রীয় কবরস্থান থেকে তার কঙ্কাল উত্তোলন করা হয়। শাহ আলম পৌরসভার গর্জনতলী এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালামের ছেলে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, রামগড় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইসমত জাহান তুহিন, চিকিৎসক ডা. সৈয়দা সাদ সুলতানা, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং নিহতের স্বজন। এসময় কবরস্থানে ভিড় জমায় বিভিন্ন বয়সী উৎসুক জনতা। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইসমত জাহান তুহিন জানান, নিহতের ঘটনা নিয়ে খাগড়াছড়ি জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় অধিকতর তদন্তের জন্য আদালতের নির্দেশে মরদেহ এর কঙ্কালের বিভিন্ন অংশ উত্তোলন করে ডিএনএ টেষ্টের জন্যে খাগড়াছড়ি পাঠানো হয়েছে। এদিকে নিহতের ছোটভাই শাহীন কাদের জানান, আমার ভাইয়ের হত্যাকারীদের বিচার চাই। তবে বিচারের নামে কোন নিরাপরাধী ব্যক্তি যাতে হয়রানির স্বীকার না হয় সে আহ্বানও করছি।
মামলার বাদী ইসমাঈল হোসেন জানান, এতোদিন আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হুমকি ধামকির কারণে মামলা ও ন্যায় বিচারের পরিবেশ ছিলনা এখন আমরা ন্যায় বিচারে আশাবাদি তাই মামলা করেছি। অপরাধী শনাক্ত করতে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে লাশের ডিএনএ টেস্টের জন্য কংকাল উত্তোলনের নির্দেশ দিয়েছেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২২ মে রাত সাড়ে ৮ টার দিকে জুয়েল নামে এক ছাত্রদল কর্মীকে মারধর করে ফেলে রাখলে ছাত্রদল নেতা শাহ আলম তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে বাড়ি ফেরার পথে চৌধুরীপাড়া পুরাতন জেল খানার সামনে আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা তাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে ফেলে যায়। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দীর্ঘ ৪ মাস পর ২০০৯ সালে ২৭ সেপ্টেম্বর তিনি মারা যান।