উন্নয়নের পূর্বশর্ত শান্তি, রাঙ্গামাটির রাজস্থলীতে মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক
॥ মোঃ আজগর আলী খান, রাজস্থলী ॥
রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ হাবিব উল্লাহ (মারুফ) বলেছেন, উন্নয়নের পূর্বশর্ত হলো শান্তি। যে এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে সে এলাকায় উন্নয়ন হবে। পর্যটন ক্ষেত্রে আরো গতিশীল করার উদ্যোগ হাতে নিয়েছি। বুধবার (৭ মে) বেলা ১১টায় রাজস্থলী উপজেলা মডেল মসজিদ মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাঙ্গামাটির রাজস্থলী উপজেলার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, হেডম্যান, কার্বারী, এনজিও কর্মী, সরকারি কর্মকর্তাগণের সাথে তিনি মতবিনিময় করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সজীব কান্তি রুদ্রের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, রাজস্থলী থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী, চন্দ্রঘোনা থানার ওসি শাহাজান কামাল, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাষ্টার খলিলুর রহমান শেখ, সাংবাদিক আজগর আলী খান, উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সিবলী সাফিউল্ল্যাহ, উপজেলা কৃষি অফিসার শাহরিয়া বিশ্বাস, বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক চথোয়াইপ্রু মারমা, জামাত সভাপতি মৌলনা ফরিদ আহম্মদ,উপজেলা ছাত্র দলের আহবায়ক নাইমুল ইসলাম রনি,উপজেলা প্রকৌশলী অনুভ বড়ুয়া, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বাবলু মিয়া, বিএনপির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক মিলন, জামাত সাধারণ সস্পাদক রেজাউল করিম, হেডম্যান প্রেমা তালুকদার, কার্বারী সুরেশ তনচংগ্যা প্রমুখ।
এ সময় রাজস্থলী উপজেলার বিভিন্ন সরকারী অফিসের কর্মকর্তা, সেনাবাহিনী, আনসার, ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ, হেডম্যান, কারবারি, সকল প্রশাসনিক কর্মকর্তাগণ (ইউপি সচিব), সদস্যবৃন্দ এবং উপজেলা প্রেসক্লাব সদস্য সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক তার বক্তব্যে বলেন, চন্দ্রঘোনা কর্ণফুলীর নদীর উপর সেতু নির্মানের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে। ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষায় বাজারে কোন প্রকার সিন্ডিকেট করা যাবে না, যদি হয় তাহলে প্রশাসনিক ভাবে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা উল্লেখ করে বলেন, আমরা চাই শান্তি, শান্তি যদি ফিরে আসে তাহলে উন্নয়নের পরিধি বাড়বে। আমরা চাই মাদক মুক্ত দেশ করতে, মাদক যাতে জিরো টলারেন্স হয় সে দিকে পুলিশ প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন কে আরো গতিশীল হতে হবে। মানসম্মত শিক্ষার বিষয়ে তিনি প্রাধন্য দিয়ে বলেন, রাজস্থলীতে শিক্ষার হার মাত্র শতকরা ২৬ পার্সেন, ফলে শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে। শিক্ষক সংকটের বিষয়ে দাবী আসলে তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করবেন বলে সভায় জানান।
বক্তারা রাজস্থলী উপজেলার বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরে তা সমাধানের দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। এলাকার সকল ইউনিয়নের যোগাযোগ সড়ক, ব্রিজ বা সেতু, শিক্ষার ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন, হাসপাতালের ডাক্তার সংকট,রাজস্থলী তাইতং পাড়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট দুর করণ, উপজেলায় বিভিন্ন কর্মকর্তাদের আবাসন সংকট, রাজস্থলী টু বাঙ্গালহালিয়া সড়ক ব্যবস্থা (রাজস্থলী চন্দ্রঘোনা সড়ক) চালুসহ উন্নয়নমুলক কর্মকান্ড চালু করার দাবি জানান।
মত বিনিময় সভার পূর্বে জেলা প্রশাসক রাজস্থলী থানা পরিদর্শন ও সভা শেষে উপজেলার সম্প্রসারিত ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উদ্বোধন ও ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে ক্রীড়ামোদীদের ক্রীড়া সামগ্রী প্রদান করেন জেলা প্রশাসক।