[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
বান্দরবানে খেয়াং নারীকে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ-সমাবেশবান্দরবানে নারী ধর্ষণ-হত্যার ঘটনা প্রশাসন ধামাচাপা দিতে উঠে পড়ে লেগেছে বলে দাবিবান্দরবানে থানচিতে খেয়াং নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে চার সংগঠনের নিন্দানিলামে বৈধতা পাচ্ছে, আগামীতে জব্দ বালু নিলাম বন্ধ: বান্দরবান জেলা প্রশাসকখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা, দুঃখের বিষয় আসামীকে বিজ্ঞ আদালত জামিন দিয়েছেনবান্দরবানের থানছিতে খিয়াং নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগবান্দরদবানের আলীকদমে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপনরাঙ্গামাটির লংগদুতে সেনা জোনের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা সহ অর্থ প্রদানবড়ুয়া জনগোষ্ঠীর সদস্যরা বৈষম্যের শিকার এটা সত্য কথা: রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসকবান্দরবানে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক এর প্রতিষ্ঠাতা তপন জ্যোতি’র ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী পালন
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

বান্দরবানে থানচিতে খেয়াং নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে চার সংগঠনের নিন্দা

॥ পাহাড়ের সময় ডেক্স ॥
বান্দরবানের থানচিতে এক খেয়াং নারীকে (২৯) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে ধর্ষকদের গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে ইউপিডিএফভুক্ত ৪ সংগঠন হিল উইমেন্স ফেডারেশন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ।

মঙ্গলবার (৬মে) হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নীতি চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের সভাপতি কনিকা দেওয়ান, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি জিকো ত্রিপুরা ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অমল ত্রিপুরা সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক যুক্ত বিবৃতিতে এই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান পরে চার সংগঠনের পক্ষে রিতা চাকমা, সাধারণ সম্পাদক, হিল উইমেন্স ফেডারেশন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, থানচিতে খেয়াং নারীকে ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তর্বতী সরকারের সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের পরিস্থিতি যেভাবে পরিবর্তন হওয়ার কথা ছিল তার কিছুই হয়নি। ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামে নারীসহ সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা চরম হুমকির সম্মুখীন। জুমে ধান রোপন করতে যাওয়া খেয়াং নারীকে সংঘবন্ধ ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা তারই উদাহরণ।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে এ যাবত সংঘটিত ধর্ষণ-হত্যাসহ নারীর ওপর যৌন নিপীড়নের ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার ও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা না হওয়ায় বার বার এ ধরনের ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে ধর্ষণকে জাতিগত নিপীড়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার কারণে এ ধরনের ঘটনা বন্ধ হচ্ছে না। থানচির খেয়াং নারীকে হত্যার ঘটনায়ও প্রাথমিক সুরহতাল রিপোর্টে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে যা সত্য ঘটনাকে আড়াল করে অপরাধীদের রক্ষার অপচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে থানচিতে খেয়াং নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করে গ্রেফাতরপূর্বক যথাযথ বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং পাহাড়-সমতলে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান।

উল্লেখ্য, গতকাল (৫ মে) বান্দরবানের থানচি উপজেলার তিন্দু ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মংখয় পাড়া এলাকায় নিজ জুমে ধান রোপন করতে গেলে তিন সন্তানের জননী ওই খেয়াং নারীকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। পরে এলাকাবাসী অনেক খোঁজাখুঁজির পর তার মরদেহ উদ্ধার করে।