রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার করল্যাছড়ি ব্রিজ ভেঙ্গে যেতে পারে পড়ার যে কোন সময়
॥ মোঃ আলমগীর হোসেন, লংগদু ॥
যেকোনো মুহূর্তে ভেঙ্গে দুর্ঘটনা ঝুঁকিতে আছে রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার করল্যাছড়ি বাজারের দক্ষিণ পাশের্^র সেতুটি। জনগণের সুবিধার্থে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অধীনে গত ৯০ দশকের শুরুতে উপজেলা সদরের ইউনিয়নবাসীর সড়ক পথে যোগাযোগ গড়ে তুলতে করল্যাছড়ি সহ আরো দুটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছিল। নির্মাণের পর কর্তৃপক্ষের তদারকির অভাবে সেতুটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। দুই পাশের রেলিং ভেঙ্গে গেছে। পাটাতন থেকে কংক্রিটের ঢালাই উঠে গেছে। বর্তমানে সেতুটির অবস্থা অত্যন্ত নাজুক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার করল্যাছড়ি, এখানে ঢাকা চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা হতে পণ্য নেওয়ার জন্য ব্যবসায়ীগন আসেন। জনগুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন শতশত মালবাহী,যাত্রীবাহী গাড়িসহ হাজার হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র অবলম্বন। এলাকাগুলোতে রয়েছে সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। আর্মি ক্যাম্প, আনসার ক্যাম্পসহ স্কুল হাসপাতালসহ জরুরী সব কাজের জন্য যাওয়া আসার একমাত্র ভরসা এই সেতু। যেকোন সময় সেতুটি ভেঙ্গে গিয়ে হতাহতের মতো বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। বেশ কয়েক বছর ধরে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়েই এর উপর দিয়ে চলাচল করছে এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানান, আমরা দীর্ঘ বছর ধরে করল্যাছড়ি বাজারের সেতুটি সংস্কার করার জন্য আন্দোলন করে আসছি। সরকারি প্রতিষ্ঠান এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে বারবার তাগিদও দিয়েছি। কারণ, তাদের দিয়ে সরকার সেতুটি নির্মাণ করেছিলো অথচ তাদের কোনো পাত্তা নেই।
করল্যাছড়ি বাজার সভাপতি মোঃ সামসুদ্দিন বলেন, কয়েকদিন আগে এই সেতু থেকে পড়ে মারাত্মক আহত হয়ে খাগড়াছড়ির হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে ছগিরের ছেলে। এভাবে প্রতিদিন জীবনের ঝুকি নিয়েই মানুষ জন চলাচল করতে হচ্ছে। এছাড়াও করল্যাছড়ি একটি বৃহত্তর বাজার হওয়াতে এখানে প্রতিদিন মালবাহী গাড়ি চলাচল করে। যেকোন সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কতজনে জীবন দিতে হয় জানিনা, তাই আটারকছড়া ইউনিয়ন বাসীর প্রানের দাবি এই সেতুটি দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার করতে কর্তৃপক্ষের সু-নজর কামনা করছি।
এদিকে আটারকছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অজয় মিত্র চাকমা বলেন, আমরা আর কত আন্দোলন করবো? আমাদের দাবি কেউ পূরণ করছে না। তিনি আক্ষেপের সাথে আরও বলেন, আমরা এলজিইডি’র উপজেলা কর্তৃপক্ষকে বারবার তাগিদ দিয়েছি সেতুটির ব্যাপারে কিছু করার জন্য।কিন্তু তারা নামে মাত্র কয়েকবার পরিদর্শন করে চলে গেছেন। কতৃপক্ষের উদ্যোগী হতে দেখা যাচ্ছেনা।
এল.জি.ই.ডি উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ শামসু আলম বলেন, করল্যাছড়ি বাজারের এবং জামতলা-বটতলা ব্রীজ দুটির প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। এস্টিমেট চাইলে আমরা পাঠিয়ে দিব।