[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
বান্দরবানের লামায় দ্বৈত কর-এ দিশেহারা কৃষকখাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় স’মিল মালিককে ৬০ হাজার টাকা জরিমানাখাগড়াছড়ির রামগড়ে ৪৩ বিজিবির ব্যবস্থাপনায় নিরাপত্তা ও সমন্বয় সভাবাঘাইছড়িতে কৃষকদের মাঝে কৃষি প্রশিক্ষণ ও কৃষি উপকরণ বিতরণখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ধান চাষে কৃষকদের প্রশিক্ষণ সনদ প্রদানরাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভারাঙ্গামাটির লংগদুতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণখাগড়াছড়িতে দেড় দশক পর সরাসরি ভোটে কলেজ ছাত্রদলের কাউন্সিল সম্পন্নরামগড় ৪৩ বিজিবির উদ্যোগে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নগদ অর্থ ও খাদ্যশস্য বিতরণরাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ এক সন্ত্রাসী আটক
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

বান্দরবানের লামায় দ্বৈত কর-এ দিশেহারা কৃষক

॥ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ॥
রপ্তানী পণ্যের উপর দ্বৈত কর আরোপ করায় দিশেহারা লামা ও আলীকদম উপজেলার কৃষক। একই কৃষিপণ্য থেকে জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ পৃথকভাবে তিনবার কর নেয় বলে জানিয়েছেন সাধারণ কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। এছাড়া পণ্যের উপর ধার্যকৃত টোল এর পরিমাণ অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন তারা। দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতির বাজারে দ্বৈত কর ও ধার্যকৃত টোলের হার বেশি হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে জনসাধারণ। গত দুই দশক ধরে এ সমস্যা নিয়ে অনেক দেনদরবার হলেও কোন সমাধান হয়নি।

লামার রূপসীপাড়া ইউনিয়নের শিলেরতুয়া, অংহ্লা পাড়ার কৃষক রমজান আলী, ওসমান গনি ও মোঃ সোহেল বলেন, অনেক কষ্ট করে ফসল উৎপাদন করে বাজারে বিক্রি করতে গেলে প্রথমে ইউনিয়ন পরিষদ পরে লামা পৌরসভাকে টোল দিতে হয়। যদি এসব ফসল চকরিয়া বা দেশের অন্যত্র কোথাও নিতে হলে জেলা পরিষদ টোল নেয়। এক পণ্যের উপর তিনবার কর দিতে গিয়ে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। আলীকদম চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের ব্যবসায়ী মমতাজ মিয়া জানান, ইউনিয়ন পরিষদে টোল দেয়ার পরেও রেপারপাড়া বাজারস্থ উপজেলা পরিষদ গেইটে টোল দিতে হয়। এছাড়া আলীকদম থেকে দেশের অন্যত্র মালামাল নিতে গেলে জেলা পরিষদকে টোল দিতে হয়। একাধিকবার টোল দিতে গিয়ে আমরা সাধারণ মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছি।

কৃষকরা অভিযোগ করেন, পণ্যের উপর অতিরিক্ত টোল ধার্য করা হয়েছে। এক ছড়া কলা থেকে ৫ টাকা, প্রতি পিস কাঁঠাল থেকে ৫ টাকা, ১টি পাহাড়ি গরু থেকে ৫০০ টাকা, প্রতি মণ মরিচ ও কাঁচা সবজি থেকে ১৫ টাকা, প্রতি মণ তামাক থেকে ৪৫ টাকা হারে টোল নেয়া হচ্ছে। প্রতিটি পণ্যে থেকে টোল এর নামে সাধারণ মানুষের গলা কাটা হচ্ছে। কৃষি প্রধান দেশ হয়েও কৃষকের উপর এই জুলুম মেনে নেয়া যায়না। কোথাও বলে আমরা প্রতিকার পাচ্ছিনা।

স্থানীয় সরকার বিভাগের অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার গত ১৩/১/২০১১ তারিখে সিদ্ধান্ত মতে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ সমূহ রপ্তানী পণ্যের টোল আদায় ও ইজারা প্রদান করবেন। সভায় রপ্তানী পণ্যের টোল ও ইজারালব্ধ আয় বন্টনের হিস্যা পুনবন্টন করা হয়। তাতে বলা হয় পৌর এলাকার মধ্যে ইজারালব্ধ আয় বাজার ফান্ড ৪০%, পৌরসভা ৪০% উপজেলা ২০% পাবে। পৌর এলাকার বাহিরে আঞ্চলিক পরিষদ ১০%, অবশিষ্ট ৯০% কে ১০০% ধরে জেলা পরিষদ ৫৫%. উপজেলা পরিষদ ৪৫% বন্টন করা হবে। উপজেলা পরিষদ প্রাপ্ত হিস্যা হতে ইউনিয়ন পরিষদ সমূহে সমন্বয় করার কথা থাকলেও তার করা হয়না বলে জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যানরা।

এদিকে দ্বৈত কর আরোপের বিষয়টি বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ অবহিত হলে গত ২৭ এপ্রিল ২০২৫ইং তারিখে ২৯.৩৫.০৩০০.০০৩. ৪২.০৫৮.২৫.৭১৯ নং স্মারকের এক পত্রে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই আলীকদম উপজেলা পরিষদের টোল আদায় কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করেন।

আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রশাসক আলীকদম উপজেলা পরিষদ আব্দুল্লাহ আল মুমিন বলেন, টোল আদায় কার্যক্রমের বিষয়ে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্দেশনা অনুসরণ করা হবে। লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মঈন উদ্দিন বলেন, দ্বৈত কর এর বিষয়ে আমাকে কেউ অবহিত করেনি। টোল নিয়ে কৃষক কে হয়রাণী না করতে অনুরোধ করেন। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।