[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
লামায় ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ফার্মেসিতে মোবাইল কোর্ট এর জরিমানাচলতি ডিসেম্বরেই পার্বত্য চট্টগ্রামে ই-লার্নিং স্কুল চালু করা হবে- পার্বত্য উপদেষ্টাতথ্য অফিসের আয়োজনে বাঙ্গালহালিয়ায় নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিতকাপ্তাইয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক টাইফয়েড টিকাদানে উঠান বৈঠকরাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে শিক্ষক-কর্মচারীরা মানববন্ধনে, শিক্ষার্থীরা খেলার মাঠেঅনেক প্রকার শাক সবজি এক সাথে রান্না করলে সুষম পুষ্টি বজায় থাকে১০আর.ই ব্যাটালিয়ন কর্তৃক শিক্ষার্থীদেও মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণদীঘিনালায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসে ফায়ার সার্ভিসের মহড়াখাগড়াছড়ির রামগড়ে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিতরাঙ্গামাটির রাজস্থলীতে দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় রেসাস প্রজাতির বানর শাবক বনে অবমুক্ত

॥ মোঃ সোহেল রানা, দীঘিনালা ॥
খাগড়াছড়ি দীঘিনালায় গহীন বনে রেসাস প্রজাতির একটি বানর শাবক অবমুক্ত করেছে বনবিভাগ। বৃহস্পতিবার (২৪এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রাম উত্তর ঝুম নিয়ন্ত্রণ বন বিভাগের মেরুং রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম সহ বন কর্মীরা বানরটি অবমুক্ত করেন জংগলে।

মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বানর শাবকটিকে গত ১০ এপ্রিল উপজেলার বোয়ালখালী ইউনিয়নের জামতলী বাজার এলাকায় গলায় শিকল বাঁধা অবস্থায় বনকর্মীরা উদ্বার করে। পরে স্নেক রেস্কিউ টিম বাংলাদেশের সেচ্ছাসেবীদের সহযোগীতায় বুনো পরিবেশে প্রশিক্ষণ দিয়ে বানর শাবকটিকে বনের উপযোগী করে তোলা হয়। পরে গহীন বনে শাবকটিকে অবমুক্ত করা হয়েছে।

দীঘিনালা স্নেক রেস্কিউ টিম বাংলাদেশের সমন্বয়ক হৃদয় বড়ুয়া বলেন, বানরটি যেহেতু লোকায়লে মানুষের খাবারে অভ্যস্ত ছিল তাই কিছুদিন তাকে বুনো পরিবেশে প্রাকৃতিক খাবারে অভ্যস্ত করা হয়েছে। এখন বানর শাবকটি প্রাকৃতিক ভাবে নিজের খাবার সংগ্রহ করে খেতে পাড়বে। এছাড়াও খুব শিগ্রই তার প্রজাতির বানরের সাথে যুক্ত হতে পারবে। বানরটি রেসাস বানর বা লাল বানর (ইংরেজি: Rhesus Macaque, Rhesus Monkey; বৈজ্ঞানিক নাম: Macaca mulatta) এই বানর প্রজাতিটি প্রাচীন বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত।

এ বিষয়ে পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী বিষয়ে অভিজ্ঞ সাংবাদিক সোহানুর রহমান বলেন, অবাধে বনাঞ্চল উজাড়, আয়তন কমে যাওয়া, বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল আঙ্কাজনক হারে হ্রাস পাওয়া, তীব্র খাদ্য ও পানির সংকট ইত্যাদির কারণে বন্যপ্রাণীরা সংরক্ষিত ও প্রাকৃতিক বনাঞ্চল থেকে বেরিয়ে লোকালয়ে চলে আসছে। এই সুযোগে অনেক সময় মানুষের হাতে ধরা পড়ছে এসব প্রাণী। কখনও কখনও আতঙ্কিত হয়ে লোকজন মেরে ফেলছেন লোকালয়ে আসা বন্য প্রাণীগুলোকে। অন্যদিকে, সচেতন মানুষ লোকালয়ে বন্য কিংবা বিপন্ন প্রাণী দেখলে বন বিভাগসহ প্রাণী সংরক্ষণে কাজ করছে, এমন সংস্থাগুলোকে খবর দিচ্ছেন। এতে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হচ্ছে অসংখ্য বন্যপ্রাণী।