॥ পাহাড়ের সময় ডেক্স ॥
অবশেষে অপহরণকারীরা চট্টগ্রাম বিশ্বিবিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষার্থীকে মুক্তি দিয়েছে বলে জানা গেছে। তবে তাদেরকে খাগড়াছড়ির ঠিক কোন স্থানে ছেড়ে দিয়েছে তার সঠিক তথ্য নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আইনসৃংখলাবাহিনীর দফায় দফায় অভিযান এবং স্থানীয় জনসাধারনের নানা প্রচেষ্টায় ছাত্রদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে অপহরণকারীরা। ছাত্রদের মুক্তির বিষয়টি খাগড়াছড়ি পুলিশ বিভাগও নিশ্চিত করেছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২৪এপ্রিল) পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহড়ি ছাত্র পরিষদ চট্টগ্রাম বিশ্বিবিদ্যালয় শাখার তথ্য ও প্রকাশনা সম্পাদক রিবেক চাকমা গণমাধ্যমে প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন পিসিপি চবি শাখার সদস্য এবং বিশ^বিদ্যালয়রে বিভিন্ন বিভাগে পড়ুয়া ছাত্রদের মুক্তি দিয়েছে অপহরণকারীরা। ছাত্রদের মুক্তির বিষয়ে সহযোগীতাকারী সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছেন। তবে তাদেরকে খাগড়াছড়ির ঠিক কোন স্থানে ছেড়ে দিয়েছে তার সঠিক তথ্য নিশ্চিত করেননি। ছাত্র অপহরণ ঘটনায় ইউনাইটেড পিপলস্ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)কে দায়ি করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহড়ি ছাত্র পরিষদ চট্টগ্রাম বিশ্বিবিদ্যালয় শাখার তথ্য ও প্রকাশনা বিভাগ।
অপর দিকে ছাত্রদের মুক্তির বিষয়ে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আরেফিন জুয়েল ছাত্রদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে দীর্ঘ ৯দিন পর ছাত্রদের মুক্তি দেওয়ার ফলে তাদের পরিবারের মাঝে উৎকন্ঠার অবসান ঘটে। সেই সাথে আইনসৃংখলা বাহিনীর টানা অভিযানও সফল হয়। তবে এ ঘটনায় স্থানীয় থানায় কোন মামলা হয়েছে কিনা তা নিশ্চত হওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য যে, পার্বত্য চট্টগ্রামের বৃহৎ সামাজিক উৎসব বৈসাবি উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম বিশ্বিবিদ্যালয় পড়ুয়া রিশন চাকমা, অলড্রিন ত্রিপুরা, মৈত্রীময় চাকমা, দিব্য চাকমা ও লংরিম্রো খাগড়াছড়িতে বেড়াতে আসেন। পরে বাঘাইছড়িতে বিজু উৎসব পালন শেষে বিশ্বিবিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে ১৬ এপ্রিল রওনা হলে পথিমধ্যে তাদের বহনকারী টমটম চালক সহ শিক্ষার্থীদের অপহরণ করে। অবশ্য কিছু সময় পর টমটম চালককে তারা ছেড়ে দিয়েছিল। এ ঘটনায় ইউপিডিএফ কে দায়ি করা হলেও তারাও অস্বীকার করে।