[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
ঢাকা রমনা লেকে ফুল ভাসিয়ে ফুলবিঝু উৎসব পালন করলেন পার্বত্য উপদেষ্টাখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ফুল বিঝু‘র র‌্যালী ও মাইনী নদীতে ফুল দিয়ে গঙ্গাদেবীকে পূজাবাঘাইছড়িতে বর্ণাঢ্য র‌্যালী ও কাচালং নদীতে ফুল ভাসিয়ে বিঝু শুরুপাহাড়ের বিঝু মেলাতে পাঁজন তরকারি খুবই জনপ্রিয়দক্ষিণ চট্টগ্রামের সর্ব-বৃহৎ কো-অপারেটিভ ‘মৌচাকের’ ৩০ তম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিতবান্দরবানের আলীকদমে মাতামুহুরী ও তৈন খালে ফুল ভাসিয়ে বিষু-বিজু উৎসব শুরুবান্দরবানে গত তিন মাসে অপহৃত হয়েছে ৪৯জন, আতঙ্কে স্থানীয়রাপাহাড়ের সময় অনলাইন পোর্টাল আগামী ৭২-৯৬ ঘন্টা বন্ধ থাকবেমিমিক্রিতে জাদুকরী জেরিন, কার্টুন চরিত্রে ত্রিশের বেশি রূপ২৭০তম জন্ম জয়ন্তিতে মহাত্মা হ্যানিম্যানের উপলক্ষে বিশেষ কবিতা
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

মিমিক্রিতে জাদুকরী জেরিন, কার্টুন চরিত্রে ত্রিশের বেশি রূপ

॥ মোঃ আবুল হাসেম, মাটিরাঙ্গা ॥
কার্টুন চরিত্রের কণ্ঠ অনুকরণ বা মিমিক্রি করে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা মাষ্টার পাড়ার আয়শা আক্তার জেরিন। সে মানিকগঞ্জ নার্সিং কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। জেরিন বাংলা, ইংরেজি ও হিন্দি’তে মিনা কার্টুনের চরিত্র, শিনচ্যান, ডোরেমন, সিসিমপুরসহ ত্রিশটির বেশি চরিত্রে মিমিক্রি করছেন।
বাল্যকাল থেকে জেরিনের বাক্ উচ্চারণ স্পষ্ট ছিল না। শ্রেনিকক্ষে শিক্ষক এবং সহপাঠীরা তার কথা বুঝতো না বিধায় স্কুল শিক্ষক তার অভিভাবক’কে বিষয় টি অবগত করাতো। বার বার অভিযোগ পেয়ে জেরিন শত চেষ্টা করেও অস্পষ্ট শব্দ গুলো স্পষ্ট উচ্চারণে ব্যার্থ হতো। এক পর্যায়ে সব ঠিক হয়ে গেলেও জেরিনের মনের ভিতরে এক অদ্ভুত চেতনা জাগ্রত হলো। যে কণ্ঠস্বরের জন্য তাকে অপমানিত হতে হয়েছে সে কণ্ঠস্বর মিমিক্রি করেই জগতে প্রতিষ্ঠিত হবে সে।
জেরিন ছাত্রী হিসেবে বেশ মেধাবী ছিল। মাটিরাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৮ সালে এসএসিতে জিপিএ ৪.৬৫ পায়। ২০২০ সালে এইচএসসি’তে খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ থেকে পায় জিপিএ ৫। তার বাবা মোঃ আমির হোসেন অবসরপ্রাপ্ত (বিজিবি’র) সদস্য। দুই বোনের মধ্যে জেরিন বড়।
জেরিন জানান, ইউটিউব এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন মিমিক্রি দেখে ভয়েস আত্মস্থ করার অভ্যাস গড়ে ওঠে আমার। গত বছর থেকে আমি শিনচ্যান, ডোরেমন, মিনা কার্টুন, সিসিমপুরের ইকরি, নিনজা হাতোরি সহ ত্রিশটিরও বেশি কার্টুন চরিত্রে ভয়েস দিতে পারি। ছোটবেলা থেকেই কার্টুন দেখতে আমার ভীষণ ভালো লাগতো। কার্টুনে যখন চরিত্রগুলো কথা বলত, তখন সেগুলো আমার কাছে খুবই আকর্ষণীয় মনে হতো। সেখান থেকেই আমার এই আগ্রহের শুরু, আর ধীরে ধীরে সেটা একটা দক্ষতায় পরিণত হয়েছে।
ভবিষ্যতে ভয়েস আর্টিস্ট হবার আগ্রহ ব্যাক্ত করে জেরিন আরো বলেন, আমার লক্ষ্য হলো এমন একজন ভয়েস আর্টিস্ট হওয়া, যার কণ্ঠ মানুষের মনে ছাপ ফেলতে পারে এবং যেকোনো চরিত্র বা বার্তাকে প্রাণবন্ত করে তুলতে পারে। এটি এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে আমি আমার কণ্ঠ, অভিব্যক্তি এবং সৃজনশীলতাকে একত্রে প্রকাশ করতে পারি। আমি সুযোগ পেলে নিজেকে এই শিল্পে আরও দক্ষ করে গড়ে তুলতে চাই।
জেরিনের মা জানান, ভয়েস আর্টিস্ট সাধনার বিষয় জেরিন অতি সহজেই সেটা অনুকরণ করতে পেরেছে। তাছাড়া ভয়েস অনুকরণের পাশাপাশি নিজেকে অভিনয়ও করতে হয়। চোখ, মুখ, নাক এসব ইন্দ্রিয়ের ব্যাবহার ভয়েসের সাথে মিল রেখে করতে হয়। জেরিনের একদিন অনেক বড় ভয়েস আর্টিস্ট হবে সেটাই কামনা করছি।
জেরিনের বাবা মো. আমির হোসেন বলেন, আমি আমার মেয়ের কণ্ঠে কার্টুনের চরিত্র শুনে অবাক হই। তাকে তার আগ্রহের বিষয় উৎসাহ প্রদান করি। দোয়া করি জেরিন ভাল কিছু করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
মানিকগঞ্জ নার্সিং কলেজের শিক্ষক বলেন, কণ্ঠে কারিশমা, অভিব্যক্তিতে মুগ্ধতা মিমিক্রির জগতে নতুন চমক সৃষ্টি করেছে জেরিন। তার মিমিক্রি করার ক্ষমতা সত্যিই অসাধারণ এবং আনন্দদায়ক। তবে, তাকে মনে রাখতে হবে মেমিক্রি যেন সর্বদা সম্মানের সাথে করা হয়। হাসির ছলে যেন কাউকে ছোট না করা হয়। দায়িত্বশীলতা প্রতিটি শিল্পীর প্রধান বৈশিষ্ট্য। মিমিক্রি যেন মানুষের মুখে হাসি ফোটায়, হৃদয়ে সম্মান জাগায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।