হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার জনক ডাঃ হ্যানিম্যানের ২৭০তম জন্মদিন পালন রাঙ্গামাটিতে
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার জনক ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যানের ২৭০তম জন্মদিন পালিত হয়েছে রাঙ্গামাটিতে। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক কল্যাণ পরিযদ, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা শাখা এর উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (১০এপ্রিল) বিকালে কেকে রায় সড়ক, রাজবাড়ীস্থ মায়ামি রেষ্টুরেন্টে এ অনুষ্ঠান পালিত হয়।
রাঙ্গামাটি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক কল্যাণ পরিষদ এর উপদেষ্টা ডাঃ রুপম দেওয়ান এর সভাপতিতে, সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মশফিকুল রহমান এর সঞ্চালনায়, এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, রাঙ্গামাটি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক কল্যাণ পরিষদের সভাপতি, ডাঃ বকুল দেওয়ান , ডাঃ সুশীল চাকমা, ডাঃ হরি জল দাশ, ডা. অনিমেষ চাকমা, ডাঃ ওয়াহিদ, ডাঃ সুনেন্টু চাকমা, ডাঃ খলিল উল্লাহ, ডাঃ বিবেকানন্দ রায়, ডাঃ রতন দেবনাথ, ডাঃ মিত্রা চাকমা, ডাঃ দেবদত্ত মুৎসুদ্দি, ডাঃ নমিতা রাণী দাশ
প্রমুখ।
এসময় ডাঃ রুপম দেওয়ান বলেন,বিশ্বখ্যাত চিকিৎসা বিজ্ঞানী ডা. ক্রিস্টিয়ান ফেড্রিক স্যামুয়েল হ্যানিম্যানের জন্মদিন আজ। তিনি ১৭৫৫ সালে ১০ এপ্রিল জার্মানির স্যাঙ্নি রাজ্যের মিসেন নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন। বিশ্বে সাধারণত ১০ এপ্রিল তার জন্মদিবস পালিত হয়। তিনি ১৭৭৮ সালে অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা শুরু করেন। পরবর্তীতে ১৭৯০ সালে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার ও প্রচলন করেন। ফলে চিকিৎসা বিজ্ঞান কুসংস্কারমুক্ত, প্রাকৃতিক নিয়মনীতিনির্ভর, আরোগ্যকারী ও বিজ্ঞানমুখী চিকিৎসায় উন্নীত হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানে শুচিত হয় নতুন যুগের। আর সে যুগের যুগস্রষ্টা হ্যানিম্যান।
১৭৯০ সালে ডা. উইলিয়াম ক্যালেনের মেটেরিয়া মেডিকা বইটি ইংরেজি থেকে জার্মান ভাষায় অনুবাদের সময় তিনি এ বইটিতে দেখতে পান যে, সিংকোনা পাকস্থলীর ওপর টনিকের মতো কাজ করে। ম্যালেরিয়া ভালো করে। তিনি নিজের সুস্থ শরীরে গাছের ছালের রস সেবন করে শরীরে ম্যালেরিয়া জ্বরে আক্রান্ত হন এর ফলে তিনি নিশ্চিত হন যে, কোনো ওষুধ সুস্থ দেহে যে রোগ লক্ষণ সৃষ্টি করে তা এর সদৃশ প্রাকৃতিক লক্ষণের রোগীকে আরোগ্য করতে পারে। তার আবিষ্কৃত এই সদৃশ চিকিৎসা পদ্ধতিকে তিনি ১৭৯৬ খ্রিস্টাব্দে হোমিওপ্যাথি নাম দেন।
বর্তমান জগতের এক মহান ব্যক্তি নোবেল বিজয়ী হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বিজ্ঞানী জর্শ ভিটোল কাস গৃীক দেশের বাসিন্দা তার গবেষণা পদার্থ বিজ্ঞানীরা সমর্থন করতে বাধ্য হয়েছেন ঔষধের অনুবটিকা সূক্ষ্ম হতে সূক্ষ্মতম মানব দেহে কিভাবে প্রবেশ করিয়ে রোগীকে আরোগ্য করে তা জর্জ ভিটেলিকাস প্রমান করে দিয়েছেন। তিনি আমাদের বর্তমান হ্যানিম্যান। তিনি আরো বলেন, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকরা ডা. হ্যানিম্যানের নির্দেশিত পথে আরও বেশি নিবেদিত হয়ে রোগীকে আদর্শ আরোগ্য করাই হবে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। পরিশেষে কেক কেটে সভার সমাপ্তি করা হয়।