রাঙ্গামাটি লংগদু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকটে স্বাস্থ্য সেবা ব্যহত
॥ মোঃ আলমগীর হোসেন, লংগদু ॥
রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জনবল সংকটের কারনে মানুষের স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে। ১৫০ বর্গমাইল এর উপজেলায় ৭টি ইউনিয়নে লক্ষাধিক লোকের চিকিৎসার একমাত্র ভরসাস্থল ৩১ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে সেবা দিতে পারছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ৩১ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ১১১জন জনবল থাকার নিয়ম থাকলে ও বর্তমানে আছে ৫৩ জন। নূন্যতম চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য যতজন জনবল প্রয়োজন, বতর্মানে তাও নেই। জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জুনিয়র কনসালট্যান্ট (গাইনি), জুনিয়র কনসালট্যান্ট (মেডিসিন), জুনিয়র কনসালট্যান্ট (সার্জারি), জুনিয়র কনসালট্যান্ট (অ্যানেসথেসিয়া) এবং মেডিক্যাল অফিসারের ১৬ জনের মধ্যে আছে ৫জন তার মধ্যেও ১জন ডেপুটেশনে রাঙ্গামাটি সদরে। এ ছাড়া ৩০ জন নার্সের পোস্ট থাকলেও আছে ১১জন মিডওয়াইফ (ধাত্রী), ২ মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব), ৭ উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার ও ২ স্বাস্থ্য পরিদর্শকের পদশূন্য রয়েছে।
অন্যদিকে, ৪ সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, ক্যাশিয়ার, সহকারী নার্স, ৭ স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী বাগানমালী, ৩ অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ও ১৪ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর পদশূন্য আছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্সরে মেসিন থাকলেও এখনো প্যাকেট থেকে খোলা হয়নি। একটি মাত্র অ্যাম্বুলেন্স, যা প্রায় সময় নষ্ট হয়ে পড়ে থাকে। এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন চিকিৎসা লাভের আশায় শতশত রোগী ভিড় করে। কিন্তু অনেক সময় ঔষুধপত্র তো দূরের কথা চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্রও জুটে না রোগীদের ভাগ্যে। বেশিরভাগ সময় উপ-সহকারীদের উপর নির্ভর করতে হয় রোগীদের। এক্সরে ও ইসিজি মেশিন বিকল। ফলে এ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রোগীরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাজমুল ইসলাম কর্মচারী সংকটের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সিভিল সার্জনকে মৌখিকভাবে অবহিত করা হয়েছে। পাহাড়ি এলাকা হওয়াতে এখানে চিকিৎসক এসে নিয়মিত থাকতে চায় না ফলে ডাক্তার সংকট থেকেই যায়, তবুও আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করি যেন দুর্গম এই পার্বত্য জনপদের মানুষ গুলো কিছুটা হলেও ভালো চিকিৎসা সেবা পায়। তিনি আরো বলেন, দ্রুতই জনবল সংকটের বিষয়টি সমাধানের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবারো আবেদন করবো।
এছাড়াও ৩১ শয্যা থেকে ৫০শয্যা উন্নতি করনের জন্য ২০১৮ সারে হাসপাতালে নতুন ভবনের কাজ শুরু হলেও এখনো হস্তান্তর করেনি ঠিকাদার। জানা যায় বারবার হাত বদল হয়েছে ঠিকাদার ফলে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এব্যপারে রাঙ্গামাটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মোঃ ওয়ালিউর রহমান বলেন চলতি মাসের ১৫ থেকে ২০ তারিখের মধ্যেই নতুন ভবণটি হস্তান্তর ও উদ্ধোধন করা হবে বলে আশা করছি।