[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
বান্দরবানের লামায় দ্বৈত কর-এ দিশেহারা কৃষকখাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় স’মিল মালিককে ৬০ হাজার টাকা জরিমানাখাগড়াছড়ির রামগড়ে ৪৩ বিজিবির ব্যবস্থাপনায় নিরাপত্তা ও সমন্বয় সভাবাঘাইছড়িতে কৃষকদের মাঝে কৃষি প্রশিক্ষণ ও কৃষি উপকরণ বিতরণখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ধান চাষে কৃষকদের প্রশিক্ষণ সনদ প্রদানরাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভারাঙ্গামাটির লংগদুতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণখাগড়াছড়িতে দেড় দশক পর সরাসরি ভোটে কলেজ ছাত্রদলের কাউন্সিল সম্পন্নরামগড় ৪৩ বিজিবির উদ্যোগে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নগদ অর্থ ও খাদ্যশস্য বিতরণরাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ এক সন্ত্রাসী আটক
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

বান্দরবানের লামায় এবার চার নারীকে মারধর, হাসপাতালে ভর্তি

১৫

॥ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ॥
বান্দরবানের লামায় আবারো ৪ নারীকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। এসময় প্রতিপক্ষের ২ পুরুষও আহত হয়। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড বেকুব ঝিরিতে (ইয়াংছা) এই ঘটনা ঘটে।

আহত ৪ নারীর মধ্যে ২ জনকে লামা হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে এবং ২ জনকে জরুরি বিভাগ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। প্রতিপক্ষের ২ জন লামা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। আহত রাশেদা বেগম (৪০), হামিদা বেগম (৪৫), রোকসানা বেগম (৩৫) ও জেসমিন আক্তার (৩৮) চারজনই সম্পর্কে বোন। অপরপক্ষের আহতরা হলেন, মোঃ সোহেল (৩৭) এবং লিয়াকত আলী (৪৫)। আহতরা সবাই লামার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বাসিন্দা। এই ঘটনায় আহত চার বোনের মা ইসলামা খাতুন বাদী হয়ে এজাহার নামীয় ৬ জন এবং অজ্ঞাতনামা ১৫ জন উল্লেখ করে বৃহস্পতিবার বিকেলে লামা থানায় মামলা করেন।

আহত রাশেদা বেগম ও থানায় করা মামলা সূত্রে জানা যায়, রাশেদা আক্তার বাড়ির পার্শ্বে ঝর্ণা থেকে খাবারের পানি সংগ্রহ করতে যায়। তখন সে দেখতে পায় বিবাদীরা তাদের জমিতে জোরপূর্বক পাওয়ার টিলার মেশিন দিয়ে চাষ করছিল। সে বাঁধা দেয়। এসময় একা পেয়ে এজাহার নামীয় ২ থেকে ৫নং বিবাদী খারাপ প্রস্তাব দেয় এবং গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করে। নিজেকে রক্ষা করতে চিৎকার দিলে বিবাদীগণ মুখ চেপে ধরে। চিৎকার শুনে অন্য তিন বোন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা চার বোনকে মারধর করে। বিবাদীগণ আরো কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তা বলে মেয়েদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে এক পর্যায়ে মেয়েদের জামা কাপড় ছিড়ে ফেলে মানহানির চেষ্টা করে এবং গুরুতর ভাবে আহত করে।
আহতদের মা ইসলামা খাতুন বলেন, আমি যখন আমার চার মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে আসি তখন বিবাদীগণ আমার বাড়িতে ও আসবাবপত্রে আগুন ধরিয়ে দিয়ে আমার প্রায় ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি করে।

আহত মোঃ সোহেল বলেন, আমি এই জায়গার কেয়ারটেকার। ৩১ বছর ধরে আমার মালিক সাবেক ওসি মহিউদ্দিন ভোগদখলে আছেন। আমরা জমিতে চাষাবাদ করতে গেলে তারা বাঁধা দেয়। তারপর কথাবার্তা কাটাকাটি ও ধস্তাধস্তি হয়। তারা আমাকে ও লিয়াকত আলীকে প্রচুর মেরেছে। আমরা লামা হাসপাতালে ভর্তি আছি।

লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আহতরা চার বোন লামা থানায় আসলে তাদের হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে বলা হয়েছে। বিকেলে তাদের মা বাদী হয়ে লামা থানায় একটি এজাহার দায়ের করে। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।