[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
রাঙ্গামাটিতে সন্ত্রসীদের গুলিতে যুবক নিহত-১বান্দরবানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে মজেছেন বিএনপি নেতারা!বান্দরবানের আলীকদমে যৌথ অভিযানে ইয়াবাসহ ৩ জন আটকআলীকদমে পর্যটক মৃত্যুর ঘটনায় “ট্যুর এক্সপার্ট”এডমিনের বর্ষা’র বিরুদ্ধে মামলাখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় নদীতে নিখোঁজ ছাত্র ৬ঘন্টা পর উদ্ধাররাঙ্গামাটিতে সেনাবাহিনীর অভিযানে ২১৮ বস্তা সরকারি চাল জব্দ সহ ব্যবসায়ীদের অর্থদন্ডপ্রতিবাদ করায় খাগড়াছড়ির রামগড়ে সিএনজি চলাচল বন্ধ রেখেছে চালকরারাঙ্গামাটির লংগদুতে ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণবান্দরবানের আলীকদমে আরো এক পর্যটকের লাশ উদ্ধার, এখনো নিখোঁজ-১খাগড়াছড়ির রামগড়ে সিএনজি চালকরা নিচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

খাগড়াছড়ির গুইমারা বাজারে সপ্তাহে দুই দিন বসে কলার বৃহৎ হাট

॥ মাইন উদ্দিন বাবলু, গুইমারা ॥
খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলার বাজারে সপ্তাহে দুই দিন বিশেষ কলার হাট বসে, যা স্থানীয় কলাচাষী ও ব্যবসায়ীদের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। সিএনবি থেকে শুরু করে কাশেম মার্কেটের পাশের রাস্তা জুড়ে এই হাটটি প্রতিদিনের মতো জমে ওঠে। প্রতি সপ্তাহের মঙ্গলবার ও শনিবার চাষীরা তাদের উৎপাদিত কলা নিয়ে আসেন, যা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরবরাহ করা হয়।

গুইমারা বাজারের কলার হাটটি খাগড়াছড়ির সবচেয়ে বড় কলা হাট হিসেবে পরিচিত। এখানে গুইমারা, মাটিরাঙ্গা, পানছড়ি, রামগড়সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার কলাচাষীরা তাদের উৎপাদিত কলা নিয়ে আসেন। প্রতি সপ্তাহে এই হাটে চাষীরা প্রায় বিশ হাজার কলার ছড়া নিয়ে আসেন, যা আনুমানিক ৫০ লক্ষাধিক টাকায় বিক্রি হয়। হাটের আগের দিন থেকেই চাষীরা কলা নিয়ে এসে পসরা সাজিয়ে রাখেন।

এ বছর কলার দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যবসায়ী মোঃ রহিম জানান, প্রতি কাঁদি কলার দাম এখন ৩০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে। গুইমারা উৎপাদিত কলা বিশেষত উন্নতমানের হওয়ায় এর চাহিদা দেশের বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে, আর এই কারণে কলার দাম তুলনামূলকভাবে বেশি।

গুইমারা উপজেলার সিএনবি এলাকার কলাচাষী আনোয়ার হোসেন বলেন, এ বছর এক একর জমিতে কলাচাষ করেছি এবং প্রায় ২ থেকে আড়াই লক্ষ্য টাকা লাভ আশা করছি। হাট ইজারাদার সালমান হোসেন জানান, দূরদূরান্ত থেকে পাইকাররা এখানে কলা কিনতে আসেন এবং হাটের খাজনা তুলনামূলক কম নেওয়া হয়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ওঙ্কার বিশ্বাস জানান, গুইমারা উপজেলায় বর্তমানে ৩৯০ জন বাণিজ্যিক কলাচাষী আছেন। এখানকার উৎপাদন হেক্টর প্রতি ২৫-৩০ টন এবং এবছর মোট প্রায় ১১,০০০ টন কলা উৎপাদিত হয়েছে। এর মধ্যে ৬০% বাংলা কলা, বাকি অংশ চাম্পা কলা, সাগর কলা, সূর্যমুখী কলা ও কাঁচকলা রয়েছে। তিনি আরও জানান, “পাহাড়ি আবহাওয়া কলাচাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী, ফলে এই অঞ্চলে কলাচাষের পরিমাণ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গুইমারা বাজারে কলার হাট এখন শুধু স্থানীয় কৃষকদের জন্য নয়, বরং দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ব্যবসায়ীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।