[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
সরকারি চাল মজুদ রাখার অভিযোগে রাঙ্গামাটিতে তিন ব্যবসায়ীকে জরিমানাখাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় ইয়ুথ গ্রুপের ত্রৈ-মাসিক সক্রিয়করণ সভাখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় জামায়াতে ইসলামী‘র দাওয়াতী প্রচারপত্র বিলিমাটিরাঙ্গায় খাগড়াছড়ি বধির উন্নয়ন সংস্থার কার্যালয় উদ্বোধনখাগড়াছড়ির গুইমারায় নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিতে সিন্দুকছড়ি সেনাজোনের সভাখাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় পাটের মোড়ক ব্যবহার না করায় জরিমানারাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের শিক্ষা উপবৃত্তি রেজিস্ট্রেশনের সময় বাড়ালঅপহৃত শিক্ষার্থীদের মুক্তি ও ধর্ষকের শাস্তি দাবিতে বান্দরবানে প্রতিবাদ সমাবেশবান্দরবানের লামায় বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের ৫ দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরুপারভেজ হত্যার প্রতিবাদে খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ছাত্রদলের মানববন্ধন
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে বান্দরবানের লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

॥ লামা উপজেলা প্রতিনিধি ॥
৫০ শয্যা বিশিষ্ট বান্দরবানের লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তিনটি এক্সরে মেশিনের মধ্যে ১টি ২ বছর ধরে ও ২টি গত এক দশক থেকে অচল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সচল একমাত্র এক্সরে মেশিনটি। ২০২৩ সালে লামার ভয়াবহ আকস্মিক পাহাড়ি ঢলের পানিতে নিমজ্জিত হয়ে অচল হয়ে যায়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে এক্সরে মেশিনটি মেরামত করার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট শাখায় বার বার পত্র দেওয়ার পরও এক্সরে মেশিন মেরামতের কার্যকরী কোন পদক্ষেপ পরিলক্ষিত গ্রহণ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ এখিং মার্মা। কবে নাগাদ এই অচল এক্সরে মেশিন মেরামত করে সচল করা হবে তা কেউ জানাতে পারছে না।

বান্দরবান জেলার সিভিল সার্জন দিলীপ কুমার দেবনাথ বলেন, লামা হাসপাতালের নষ্ট যন্ত্রপাতির বিষয়ে আমাকে জানানো হয়েছে। এক্সরে মেশিন সহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ মেরামতের দ্রুত উদ্যোগ নেয়া হবে।

জানা যায়, গত ২০২০ সালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর টিবিএল এন্ড এএসপি’র মাধ্যমে ফুজি কোম্পানি একটি ডিজিটাল এক্সরে মেশিন লামা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরবরাহ করেন। ২০২৩ সালের আগষ্ট মাসে অতিবর্ষনে সৃষ্ট বন্যায় লামা হাসপাতাল সহ লামা শহর তলিয়ে যায়। এই পাহাড়ি ঢলে হাসপাতালের টিবিএল এর সরবরাহকৃত এক্সরে মেশিন সহ আরো দুইটি এক্সরে মেশিনই পানিতে নিমজ্জিত হয়ে অচল হয়ে যায়। এছাড়া হাসপাতালের আলট্রাসনোগ্রাফি, ইসিজি, জেনারেটর, অটোগ্লাব মেশিন সহ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়।

লামা হাসপাতালের স্টোর কিপার মোঃ নওফেল জানান, এক্সরে মেশিন দুটি মেরামত করার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট লাইন ডাইরেক্টর বরাবরে অনেকবার পত্র দেওয়া হয়েছে। এই পত্র প্রেরণের পর টিবিএল ব্রাক অফিসের মাধ্যমে একটি প্রতিনিধি দল এক্সরে মেশিন মেরামতের জন্য চেষ্টা করেন। ব্রাকের প্রতিনিধি দল লামা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে জানায় নষ্ট মেশিন মেরামতের জন্য জাপান থেকে যন্ত্রাংশ আনতে হবে। কবে নাগাদ যন্ত্রাংশ আনা হবে বা এক্সরে মেশিন মেরামত করতে কতদিন সময় লাগবে তার সুনির্দিষ্ট সময় ব্রাকের প্রতিনিধি দল জানাতে পারেনি।

বান্দরবান জেলার অর্ধেক জনসংখ্যার বসবাস অত্র লামা উপজেলায়। এছাড়া পার্শ্ববর্তী আলীকদমের চৈক্ষ্যং ও চকরিয়া উপজেলার বমু বিলছড়ি ইউনিয়নের জনসাধারণ লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হতে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করে থাকে। লামা মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জুবাইরুল ইসলাম বলেন, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদে ন্যস্থ হওয়া সত্ত্বেও লামা স্বাস্থ্য বিভাগের এই সমস্যা নিরসনে বিগত দিনে দৃশ্যমান কোন উদ্যোগ জেলা পরিষদ গ্রহণ করে নাই। লামা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বর্হিবিভাগে ও আন্তঃ বিভাগে প্রতিদিন ৩শত থেকে ৫শত রোগী চিকিৎসা নিতে আসে। যন্ত্রপাতির অভাবে সঠিক রোগ নির্নয় করতে না পারায় বিনা চিকিৎসায় বেশিরভাগ রোগীকে ফিরে যেতে হয়। অনেককে অন্যত্র চিকিৎসা গ্রহনের পরামর্শ নিয়ে ফিরে যেতে হয়। এদিকে হাসপাতালের বিদ্যুৎ লাইনে লো-ভোল্টেজের কারণে ওটি, অটোগ্লাব মেশিন সহ বিভিন্ন কাজ করা যাচ্ছেনা।

লামা হাসপাতালে আঘাত নিয়ে ভর্তি রোগী রূপসীপাড়ার মংপ্রু পাড়ার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন ও গজালিয়া ইউনিয়নের মংব্রাচিং মার্মা জানান, আঘাত জনিত কারণে চিকিৎসা নিতে তারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ডাক্তার তাদের এক্সরে করার পরামর্শ দেয়। হাসপাতালে এক্সরে না থাকায় টাকার অভাবে লামার বাহিরে গিয়ে এক্সরে করা তার পক্ষে সম্ভব হবে না। এক্সরে করতে না পারার কারণে চিকিৎসা না নিয়েই তাদের বাড়ি ফিরে যেতে হবে বলে জানিয়েছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এখিং মার্মা জানান, আইসিডিডিআরবি পোর্টেবল এক্সরে দিয়ে সপ্তাহে একদিন লামা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রোগীদের এক্সরে করা হত। বর্তমানে গত দুইমাস ধরে সেটিও বন্ধ হয়ে গেছে। হাসপাতালের পুরাতন ২টি অচল এক্সরে মেশিন চালু করা সম্ভব নয়। ২০২৩ সালে বন্যায় ডুবে যাওয়া অপর চালু এক্সরে মেশিনটি মেরামত করার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর বরাবরে অসংখ্যবার পত্র দেওয়া হয়েছে। অধিদপ্তর থেকে মেরামতের জন্য আশ্বস্থ করা হয়েছে।