বান্দরবানে অপহৃত ২৫ শ্রমিক উদ্ধারে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু
॥ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ॥
বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ী এলাকা থেকে আবারো ২৫ শ্রমিককে অপহরণ করেছে পাহাড়ী সন্ত্রাসীরা। রবিবার দুপুরে ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড মুরুং ঝিরি পাড়া থেকে তাদের অপহরণ করা হয় বলে খবর পাওয়া গেছে। অপহৃতরা সবাই ওই এলাকার বাসিন্দা এবং বাগানে কাজ করত বলে জানা গেছে।
২৫ জন অপহরণের বিষয়টি জানিয়ে লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, এ ঘটনার পর সম্ভাব্য জায়গাগুলোতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ অপহৃতদের উদ্ধারে যৌথ অভিযান চালাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, এলাকাটি লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ি দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা। দুর্গম এলাকা হওয়ায় এখনো কোন কিছু নিশ্চিত হয়ে বলা যাচ্ছেনা। ঘটনাস্থল দূরে হওয়ায় এখনো অপহৃতদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মংমে মার্মা ও জিয়াবুল হক বলেন, ঘটনাস্থলটি দুই উপজেলার সীমানায়। কতজনকে নিয়ে গেছে সেই সংখ্যা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব রয়েছে। চাঁদার দাবিতে ও দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে সন্ত্রাসীরা তাঁদের অপহরণ করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে বান্দরবানের লামা সহ আশেপাশের এলাকায় সন্ত্রাসী তৎপরতা চাঁদাবাজি ও অপহরণের ঘটনা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
সাঙ্গু মৌজা হেডম্যান চংপাত ম্রো বলেন, মুরুং ঝিরি পাড়া এলাকা থেকে কয়েকজন শ্রমিক অপহরণ হয়েছে বলে শুনেছি। কাদের নিয়ে গেছে এখনো জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, গত ১৪ জানুয়ারি গভীর রাতে দুর্গম বমুখাল এলাকায় সশস্ত্র পাহাড়ী সন্ত্রাসীরা ৩টি খামার বাড়ি থেকে ৭ জন তামাক শ্রমিক ও ২ ফেব্রুয়ারী গজালিয়া ইউনিয়নের কমলা বাগান এলাকা থেকে ৭ জনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এছাড়া গত ২৭ জানুয়ারি উপজেলার সরই ইউনিয়নের কেয়াজুপাড়া এলাকায় চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী তৎপরতা চালানোর সময় স্থানীয়রা অস্ত্রসহ মংএনু মার্মা (৩৪) নামের এক সন্ত্রাসীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।