॥ মোঃ আবুল হাসেম, মাটিরাঙ্গা ॥
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার ভবন ও এতিমখানা অগ্নিকান্ডে সবকিছু পুড়েছে। খবর পেয়ে মাটিরাঙ্গার ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারী) বিকালের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, আসরের নামাজের সময়ে এতিমখানার শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসার পাশেই একটি মসজিদে নামাজ পড়ছিল। মাদ্রাসার থাকার কক্ষ থেকে আগুন লেগে গিয়ে মুহূর্তের মধ্যেই চারদিক ছড়িয়ে পড়ে এতিমখানার সকল আসবাবপত্র মাদ্রাসার ২০০ ফুট দৈর্ঘের ইউ আকৃতির ৫টি শ্রেনিকক্ষসহ ভস্মীভূত হয়ে যায়।
খবর পেয়ে মাটিরাঙ্গা জোন কমান্ডার লেঃ কর্নেল কৌশিক জাহান পিএসসি, জি ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুর আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং এতিমদের প্রতি সমবেদনা জানান। এছাড়াও মাটিরাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহজালাল কাজল, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান, মাটিরাঙ্গা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইব্রাহিম পাটোয়ারীসহ উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
বৈদ্যুতিক শর্ট শার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে জানিয়ে মাটিরাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন ইনচার্জ মোঃ হারুন বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আগুন নেভাতে সক্ষম হই। প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হতে পারে বলে তিনি জানান। মাটিরাঙ্গা ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার এতিমখানার তত্তাবধায়ক আবুল কাশেম বলেন, তিনি তখন আসরের নামাজ পড়ছিলেন, মসজিদ থেকে বের হয়েই দেখেন সব পুড়ে গেছে। গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র সহ সব পুড়ে গেছে।
মাটিরাঙ্গা ইসলামিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ কাজী মোঃ সলিম উল্ল্যাহ বলেন, আমি অফিসেই ছিলাম আছরের নামাজ পড়ে বাজারে গিয়েই শুনতে পাই এতিমখানা ও মাদ্রাসার পুরনো ভবনে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুর আলম বলেন, ইতিমধ্যে তাদের অন্যত্র থাকা খাওয়ার ব্যবস্থাসহ অগ্নিকান্ডে এতিমদের পুড়ে যাওয়া জামা কাপড় কিনে দেয়া হয়েছে। শীঘ্রই পুড়ে যাওয়া ভবনটি নির্মাণ করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন।