[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
খাগড়াছড়ির রামগড়ে বিএনপির উদ্যোগে পর্যটনের লেক পরিস্কারমাটিরাঙ্গায় বিএনপির সদস্য ফরম বিতরণ ও নবায়ন কর্মসূচীর উদ্বোধনবান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলাস্থ দেবতাখুম পযর্টন কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণাদীঘিনালায় ইয়ুথ গ্রুপের অভিজ্ঞতা বিনিময় সভারাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে শিক্ষক সিরাজুল ইসলামের নামে অপপ্রচারে সচেতন মহলের ক্ষোভকর্ণফুলী সরকারি ডিগ্রী কলেজে ছাত্রদলের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ছাত্রদলের বৃক্ষরোপন কর্মসূচী পালনঅবশেষে বাঘাইছড়ির বাঘাইহাট বাজার স্বাভাবিক হচ্ছে, ২২ জুন বসছে হাটমাটিরাঙ্গায় বিজিবি জব্দ করলো প্রায় ১৬লক্ষ টাকার ভারতীয় শাড়িরামগড়ে ঈদের ছুটিতেও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সেবা অব্যাহত
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

থানচির দুর্গম মানুষের শুধু খাদ্য সংকট নয়, প্রয়োজন সামাজিক সচেতনতা

২৯

॥ চিংথোয়াই অং মার্মা, থানচি ॥
নেটওয়ার্ক বিহীন বাংলাদেশ ও মায়ানমার সীমান্তবর্তী ঘেঁষা বান্দরবানে থানচিতে দুর্গম রেমাক্রী ইউনিয়নের সাঙ্গু নদীর উজানে রিজার্ভের এলাকায় কয়েকটি পাড়ার বাসিন্দাদের খাদ্যভাবের মূলত “দুর্গম মানুষের শুধুই খাদ্য সংকট নই, তাদের প্রয়োজন সামাজিক সচেতনতা ও সুশিক্ষা” বলে ওই এলাকায় সামাজিক সচেতন মহলে দায়বদ্ধতায় আখ্যায়িত করে অনুভূতি কথা জানিয়েছেন- রংখ্রেদঃ চাইল্ড হোম এর পরিচালক উথোয়াইংগ্য মার্মা।

রংখ্রেদঃ চাইল্ড হোমের পরিচালক উথোয়াইংগ্য মার্মা জানান, সাঙ্গু নদীর উজানে রিজার্ভের এলাকায় কয়েকটি পাড়ার মধ্যে ৫টি পাড়ার বাসিন্দাদের মূলত ১০ থেকে ১৫ পরিবারের মতো কিছুটা খাদ্যভাব ভোগচ্ছিলেন। কেন না? তাদের গত বছরে জুমের ধান ফলন ভালো না হওয়ায় চলতি বছরে জুমের ধান পাঁকতে না পাঁকতে সরবরাহ চালগুলো শেষ হয়ে যায়। তাতে গত কয়েক মাস ধরে বাঁশ কোড়ল দিয়ে অল্পের চাল রান্না করে খেতে হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, ক্ষুর্ধাত মানুষের খবর পেয়ে গত রবিবার (১লা সেপ্টেম্বর) দিনের রংখ্রেদঃ চাইল্ড হোম উদ্যোগে ম্যাজিক্যাল লাইট সংস্থার দাতা এষবহফধ এড়য ঔরধ ঊয ও আমেরিকার প্রবাসী তরুণ বড়ুয়া আর্থিক অনুদানে সাঙ্গু নদীর উজানে রিজার্ভের এলাকায় ৫টি পাড়ার থেকে ৬০ পরিবারের মাঝে চাল, নাপ্পি, লবণসহ জরুরি কিছু ঔষধ বিতরণ করা হয়েছে।

উথোয়াইংগ্য মার্মা আরো জানান, ওই দুর্গম এলাকায় মানুষের ধালাওভাবে খাদ্য সংকট ছিল না, পুরোদমে সামাজিক সচেতনতা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা অভাবিত রয়েছে। ওখানকার পুরুষদের নেশাগ্রস্ত সাথে জড়িত এবং অলসতার প্রাধান্য দেওয়ায় অল্পের পরিমাণের জুম চাষের ফলে চলতি বছরে জুমের নতুন ফসল আসার আগে সরবরাহ ধান কিংবা চাল শেষ হওয়ায় খাদ্যভাব আশঙ্কার বেশি দেখা দিয়েছেন। সেটি ওই এলাকায় পাড়াগুলোতে কম বেশির খাদ্যভাব প্রতিবছরে হয়ে আসছে। ইতিমধ্যেই ওই এলাকার মানুষের খাদ্য সংকটের খবর পেয়ে সরকারি ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণ প্রদানে তাদের আর ত্রাণের প্রয়োজন হবে না।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, রেমাক্রী ইউনিয়নের সদস্য মাংচং ম্রোঃ, বিএনকেএস এনজিও মাঠকর্মী সাঅংসিং মার্মা, মাঠকর্মী হইনাক খুমী, থানচি (বিএমএসসি) সাধারণ সম্পাদক উশৈমং মারমা, কর্ণফুলী ডিগ্রি কলেজ ছাত্র নুশৈপ্রু মারমা প্রমুখ। এছাড়াও পাড়ার প্রধান কারবারীরা উপস্থিত ছিলেন।