[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
রাঙ্গামাটির লংগদুতে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করনের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভামানিকছড়িতে সেনাবাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ বিদেশী মদ জব্দরাবিপ্রবির শিক্ষক সংকট অনেকটাই নিরসন হয়েছে: ভাইস চ্যান্সেলররাঙ্গামাটিতে ব্যবসায়ীর ত্রি-খণ্ডিত লাশ উদ্ধার, ঘাতক স্বামী-স্ত্রী ফেফতারবান্দরবানের লামায় বড় ভাইয়ের শশুর বাড়ির লোকজনের হাতে ছোট ভাই খুনবান্দরবানে রাতের অন্ধকারে জিয়া স্মৃতি সংসদ অফিস ভাঙচুরআলীকদমে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ, সার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চারা বিতরণবান্দরবানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নাতি সহ ৩ জনের মৃত্যু, আহত-৭দীঘিনালায় উদ্ধার করা ময়না ও টিয়া পাখি বনে অবমুক্তরাঙ্গামাটির রাজস্থলীতে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

বাড়ি গিলে খেল খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার ধলিয়া খাল

২৪

॥ মোঃ আবুল হাসেম, মাটিরাঙ্গা ॥

সম্প্রতি ভারী বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার ধলীয়া খালের তীরবর্তী মন্তু চৌধুরী পাড়া (ট্রাক অফিসের পিছনে) এলাকায় বসত ভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এতে চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয়রা।

ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, একটি ভবনের ৫টি কক্ষ সম্পূর্ণভাবে ধসে দেবে গিয়ে পার্শ্ববর্তী ধলিয়া খালে বিলীন হয়ে যায়। এতে প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন ভবনের মালিক মোঃ শাহাজাহান। তিনি দুই বছর পূর্বে নিজের সঞ্চিত অর্থ ব্যায় করে শখ করে বাড়ি নির্মাণ করে স্বপরিবারে এ এলাকায় বসবাস করেন। গত কিছুদিন পূর্বে সৃষ্ট বন্যায় পুরো ঘরটি দুমড়ে মুছড়ে ধলিয়া খালে বিলীন হয়ে যায়।

শাহাজাহান একজন প্রবাসি, তিনি আক্ষেপ করে ওইদিনের ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, সবাই তখনো গুমে ছিলাম ক্রমাগত বৃষ্টি, আমার জীবদ্দশায় এমন বৃষ্টি এবং পানি দেখি নি। রাতে গুমাতে পারি নি সকালে গুম থেকে উঠে দেখি দেয়ালে ফাটল ধরেছে। মূহুর্তের মধ্যেই পরিবারের অন্যন্যরা নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার পরপরই নিজের চোখের সামনে স্বপ্ন ভেঙে তলিয়ে যাবার দৃশ্য দেখে চোখের জল ধরে রাখতে পারি নি। ঘরে থাকা যাবতীয় মালামাল সরানোর সময় পাই নি। দূর থেকে দীর্ঘশ্বাষ ছাড়া কিছুই করার ছিল না। শখের বাড়িটি গিলে খেল ধলিয়া খালে। বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে আমার, এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে অনেক সময় লেগে যাবে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ক্ষতি যা হবার তো হয়ে গেছে ভবিষ্যতে যেন এমন ক্ষতি না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট ভাঙ্গন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।

এ এলাকায় ধলীয়া খালের পার্শ্ববর্তী প্রায় ৩০ টি পরিবারের বসবাস সবাই ভাঙ্গন আতংকে রয়েছে। প্রতিটা পরিবারের বসত বাড়ির কিছু না কিছু অংশ ধলিয়া খালে বিলীন হয়ে গেছে। যখন বেশি পরিমাণ বৃষ্টি হয় তখন শঙ্ককায় ও ভয়ে রাত কাটে তাদের।

ওই এলাকার ওহাব মেস্ত্রী বলেন, এ এলাকায় প্রতি বছর ধলীয়া খাল ভাঙ্গন হয়। ভাঙ্গন রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করলে রক্ষা পেত নদীর সীমান্ত ও তৎসংলগ্ন বসবাসকারী লোকজন।

সেলিম জানান, এমন ভাঙ্গন দেখে দীর্ঘশ্বাষ ছাড়া আমাদের আর কিছুই করার থাকে না। ভাঙ্গন ঠেকাতে পদক্ষেপ গ্রহণ করলে এ পরিবার গুলো নিরাপদে বসবাস করতে পারতো।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডেজী চক্রবর্তী বলেন, ধলীয় নদীর খুব কাছাকাছি বসবাসরত লোকদের সাবধানে বসবাস করতে হবে। বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে নিরাপদ স্থান নির্বাচন করে তা নির্মাণ করতে হবে।