[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
রাঙ্গামাটির রাজস্থলীতে কৃষকদলের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিতখাগড়াছড়ির রামগড় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফলজ চারা বিতরণরাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল৭২এর মুজিববাদী সংবিধানে সকল জাতিগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি: নাহিদ ইসলামকাপ্তাইয়ে ভোক্তা অধিকার এর অভিযানে ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানানৌবাহিনী স্কুল এন্ড কলেজের এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনাচুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা হয়েছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদরাঙ্গামাটি শ্রী শ্রী লোকনাথ যোগাশ্রমের (মন্দির) ব্যবস্থাপনায় অনিয়মের অভিযোগরাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলাস্থ ভাইবোনছড়ায় বৃদ্ধ মজিবুর এর জায়গা দখলের অভিযোগকাপ্তাই বাংলা কলোনি মসজিদের মুয়াজ্জিনের ইন্তেকাল
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

রাঙ্গামাটির জুরাছড়িতে এলাকাবাসীর উদ্যোগে কাঠের ব্রীজ নির্মাণ

২৯

॥ মুন মারমা ॥
উন্নয়ন বঞ্চিত হয়ে অবশেষে জীবনের ঝুঁকি কমাতে এগিয়ে আসতে হলো এলাকাবাসীকেই। জুরাছড়ি উপজেলার দীর্ঘ দিনের চরম ভোগান্তি ছিল দেবাছড়া গ্রামের পথে জরাজীর্ণ একটি বাঁেশর সাঁকো। ১নং ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মানুষ এই রাস্তা দিয়েই চলাচল করে। বাঁশ দিয়ে বানানো সাঁকো দিয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আসা-যাওয়া করতো এলাকার স্কুল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী ও বয়োজ্যেষ্ঠরা। অনেক সময় নানা দূর্ঘনার শিকার হয় তারা।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কাছে এলাকাবাসী অনেকবার ধরনা দিয়েও নানান আশ্বাসের পরও এই ব্রীজটি আজ অবধি নির্মাণ হয়নি। উপায়ান্তর না পেয়ে এলাকাবাসী শেষ পর্যন্ত নিজেদের টাকায় কাঠের ব্রীজ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ব্রীজটির দৈর্ঘ প্রায় ৩২০মিটার। প্রায় ৩লক্ষ টাকা খচর করে ব্রীজটি চারদিনে তৈরি করেছে স্থানীয়রা। খেটে খাওয়া এসব দিন মজুরের এমন মহান উদ্যোগ এরই মধ্যে সকলের প্রশংসা কুড়িয়েছে।

স্থানীয়বাসিন্দা দয়াময় চাকমা বলেন, আমরা জুম চাষ করে খাওয়া মানুষ। এই ব্রীজটি আমাদের কষ্টের টাকা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছ থেকে আমরা কোনো সহযোগীতা পাইনি। সাবেক মেম্বার এ কাজের উদ্যোক্তা, তার কাছে টাকা জমা রেখেই আমরা ব্রীজটি করেছি।

খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণী শিক্ষার্থী প্রীতিময় চাকমা বলেন, জরাজীর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে স্কুলে যেতে আমার খুব ভয় হতো। সে কারণে আমার বাবা-মাসহ সবাই মিলে টাকা তুলে নতুন কাঠের ব্রীজ তৈরি করেছে। এখন স্কুলে যেতে আমাদের কোনো অসুবিধা হবে না। ভবিষ্যতে স্থায়ীভাবে একটা ব্রীজ তৈরি করে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আবেদন জানায় সে।

এ বিষয়ে সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য বিরঙ্গ মোহন চাকমা বলেন, আমার এই এলাকার মানুষগুলো অত্যন্ত দরিদ্র। প্রতি পরিবার থেকে দুইশ’-তিনশ’ টাকা টাকা উত্তোলন করে এই ব্রীজটি তৈরি করেছে। কোনো জনপ্রতিনিধি বা সরকারের কাছ থেকে এক টাকাও অনুদান পায়নি। তিনি বলেন, প্রশাসন ও নেতৃবৃন্দের কাছে দাবি জানাচ্ছি কাঠের ব্রীজটি ভেঙ্গে পড়ার আগেই যেন সরকারিভাবে একটি ব্রীজ নির্মাণ করে দেওয়া হয়।