নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নে রাজস্থলীতে আঁকিয়েদের হাতে মুছে গেছে রাজনৈতিক চিকা
॥ মোঃ আজগর আলী খান, রাজস্থলী ॥
রাঙ্গামাটি রাজস্থলী উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা রংতুলির আঁচরে সাজিয়ে দিচ্ছে দেয়াল। রাজস্থলীর খাদ্য গুদাম সীমানা প্রাচীরের দিকে একবার তাকালে আর দ্বিতীয়বার ফিরে তাকান না পথচারীরা। কারণ আস্তর খসে পড়া প্রাচীরে ছিল বিভিন্ন দলের জাতীয় ও স্থানীয় নেতাদের পোস্টার। তবে এখন এসবের চেহারা বদলে গেছে। পথচারীরা দাঁড়িয়ে তুলছেন ছবিও। দেয়ালের বিভিন্ন অংশ ভরে যাচ্ছে দৃষ্টিনন্দন সব গ্রাফিতিতে। শিক্ষার্থীদের আঁকা এসব দেয়ালচিত্রে এখন মুগ্ধ সবাই।
শুক্রবার ও শনিবার থেকে রাজস্থলীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দেয়ালে আঁকা শুরু হয়েছে এ সব ছবি। স্থান পেয়েছে কোটা আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদ, মুগ্ধ ছাড়াও তুলে ধরা হয়েছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিভিন্ন চিত্র। দেয়ালচিত্রে স্থান পেয়েছেন কল্পনা চাকমাও। কোথাও আবার ফুটে উঠেছে মাচাং ঘরসহ পাহাড়ে ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির নানা নিদর্শন। দেয়ালজুড়ে এসব চিত্রকর্মে নতুন কিছুর আহ্বান। তরুণদের নতুন করে দেশ গড়ার স্বপ্ন।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাজস্থলী উপজেলার খাদ্য গুদামের বিশাল সীমানা দেয়ালে এক মনে ছবি আঁকা চলছে শিক্ষার্থীদের। আঁকার ধরন দেখে বোঝা যায় আঁকা-আঁকিতে প্রশিক্ষিত নন তারা। তবে কাঁচা হাতের অঙ্কনেই ফুটে উঠেছে নতুন এক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়। চলার পথে হাটতে হাটতে মোবাইলে ভিডিও করছেন অনেকে, কেউ তুলছেন ছবিও।
গুদামের দেয়ালে কল্পনা চাকমার চেহারা ফুটিয়ে তুলেছেন শিক্ষার্থীরা। কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হয়। তারা বলল, আন্দোলনটি সফল হওয়ার পর আমাদের দায়িত্ব আরও বেড়ে গেছে। আমরা রাস্তা পরিষ্কার, ট্রাফিকের কাজ ও দেয়াল লেখনীতেই থামব না। আমরা চাই আগামী প্রজন্মের একটি বাসযোগ্য বাংলাদেশ। তাই দেশ সংস্কারেও আমরা প্রত্যয়ই।শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশ একটি নতুন দেশে রুপান্তর হয়েছে। আমরা পাহাড়ের বৈষম্যদুর করতে চাই। সকলে মিলে এ দেশটাকে একটি সোনার বাংলাদেশে পরিণত করতে বদ্ধপরিকর।