[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিবাদ রাঙ্গামাটিতে

মঠ মন্দির ধর্মীয় স্থাপনা ভাংচুর সহ সকল নৈরাজ্যের তীব্র প্রতিবাদ

২৮

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
সারাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার, নির্যাতন, নিপীড়ন, হত্যা, ঘর -ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান দখল ও লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধর্মীয় স্থাপনা ভাংচুর সহ সকল নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ রাঙ্গামাটি জেলার আয়োজনে শুক্রবার (৯ আগষ্ট) বিকাল ৪টায় শহরের কোর্ট বিল্ডিংস্থ রাঙাশ্রী কমিউনিটি সেন্টারে এক জরুরী প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনের জেলা সভাপতি শিক্ষক অরূপ মুৎসুদ্দির সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখা, পৌর শাখা, সনাতন যুব পরিষদ, হিন্দু মহাজোট রাঙ্গামাটি জেলা, ছাত্র মহাজোট, গীতা শিক্ষা সমন্বয় কমিটি, আদিবাসী ফোরাম, শিক্ষক, আইনজীবী, সাংবাদিক সহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধিবৃন্দ।

বক্তারা সকলে বর্তমান পরিস্থিতিতে সারাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অন্যায় অত্যাচার নিপীড়ন, জ্বালাও পোড়াও, খুন, ধর্ষণ, ডাকাতি, লুটপাট, মঠ মন্দির ধর্মীয় স্থাপনা ভাংচুর সহ সকল নৈরাজ্যের তীব্র প্রতিবাদ জানান। প্রতিবারই সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে সকল নৈরাজ্যের কেন্দ্রবিন্দু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, এবারও যার ব্যতিক্রম নয় বলে বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সকল সম্প্রদায়ের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের এই পার্বত্য চট্টগ্রামেও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি, লংগদু সহ বিভিন্ন উপজেলায় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর নিপীড়ন নির্যাতন চলেছে বলেও উল্লেখ করেন তারা। এছাড়াও গত ১২জুলাই বান্দরবান আর্যগুহা ধুতাঙ্গ বিমুক্তি বিহার এর অধ্যক্ষ ড.এফ দীপংকর মহাথের হত্যার সুষ্টি তদন্ত সহ বিচার দাবি করেন নেতৃবৃন্দ।

বক্তারা আরও বলেন, এই পর্যন্ত দেশের ২৯টা জেলায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নিপীড়ন চলেছে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে নিজেদের জীবনের নিরাপত্তায়, নির্যাতন নিপীড়ন হত্যা, মন্দিও ভাংচুর দখল, লুটপাট বন্ধের প্রতিবাদে সকল সংখ্যালঘু সম্প্রদায় একতাবদ্ধ হয়ে অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে স্মারকলিপি পেশ সহ লাগাতার শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে রাজপথে নামার ঘোষণা দেন তারা। নিজেদের জীবনের নিরাপত্তার পাশাপাশি ‘সংখ্যালঘু সুরক্ষা কমিশন গঠন’, ‘সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন’, ‘সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সংগঠিত সকল প্রকার হামলা প্রতিরোধে কঠোর আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে বলেও বিভিন্ন দাবী জানান বক্তারা।

সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পঞ্চানন ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন অমলেন্দু হাওলাদার, ইন্দ্রদত্ত তালুকদার, ভূপাল কান্তি দে, মিলটন বড়ুয়া, দিপক দে, মনু মুরমু, কাজল কান্তি দে, সূজন কুমার দে, সুভাষ দাশ, স্বপন কুমার দাশ, চাকথাইমং মারমা, অসীম চক্রবর্তী, মৃদুল ধর, স্বপন কুমার মল্লিক, সমীরণ বড়ুয়া, কৃষ্ণা দেব, পলাশ কুসুম চাকমা, সেন্টু সরকার, রাজু শীল, সোহেল সাহা, সুব্রত দে, যীশুরায় চৌধুরী, অজয় মিত্র, বটন ধর, কুশল চৌধুরী, টুটুল দে, লোমা লুসাই প্রমুখ।