[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আশু হস্তক্ষেপ কামনা 

ড.এফ দীপংকর মহাথেঁর (ধুতাঙ্গ ভান্তে) হত্যা পূর্ব পরিকল্পিত বলে দাবি 

৩৮
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
বুদ্ধের ধর্ম প্রচার এবং বৌদ্ধ জনগোষ্ঠী তথা সকল সম্প্রদায়ের দুঃখ মুক্তি, কল্যানকামী, সত্য প্রতিষ্ঠায় বিপ্লবী ও পার্বত্য চট্টগ্রামে ভিক্ষু সমাজের সাধন জগতের অন্যতম সাধক ড. এফ দীপংকর মহাথেঁরকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবেই হত্যা করা হয়েছে বলে সকল জনগোষ্ঠী এবং বিজ্ঞ মহলের অভিযোগ। সৃষ্টির সকল প্রাণীর এবং মানব সমাজের হিত সুখ কামনায় যিনি লোভ দ্বেষ মোহ এবং বিলাশ জীবন ছেড়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে অরণ্যে ধ্যান সাধনার জীবন ধারণ করেছেন তাঁকেই কিনা হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এই মহাপাপের সাথে জড়িতদের বিচার দাবি করেছেন ভিক্ষু ও মানব সমাজ।
দেশের বৌদ্ধ সমাজ এবং সকল সম্প্রদায়ের মানুষ জানতে পেরেছেন তাঁদের প্রানপ্রিয় ও সত্য প্রতিষ্ঠায় অন্যতম ধূতাঙ্গ ভান্তে ড. এফ দীপংকর মহাথেঁরকে গত ১২ জুলাই-২০২৪ইং শুক্রবার দিবাগত মধ্য রাতের কোন এক সময় পরিকল্পিতভাবে বান্দরবানস্থ আর্যগুহা ধূতাঙ্গ বিমুক্তি বিহার এর কুঁটিরে তাঁকে হত্যা করা হয় পর দিন শনিবার ১৪ জুলাই বিকাল আনুমানিক দুই ঘটিকার সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও বিহারে অবস্থানরত ভিক্ষু সংঘ, দায়ক-উপাসক এবং সেবকদের মাধ্যমে জানতে পারলে তাঁর ভক্ত বৌদ্ধ, হিন্দু, মুসলিম অনেকেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। শুধুই প্রশ্ন, এটি কিভাবে সম্ভব, এই দেব মানব পুজ্য সবার গুরু ভান্তে যিনি কিনা মানব সমাজকে সকল প্রকার পাপ কর্ম থেকে সরে থাকতে রাত দিন উপদেশ দিয়েছেন তিনি নিজেই নিজের জীবন এভাবে দিবেন এটি ডাহা মিথ্যে রটনা ছাড়া আর কিছুই নয়। কেননা তিনি ১৯৯৬ সালে নিজ দেশে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা শেষে ভারতের কলকাতা বিশ^বিদ্যালয়, পশ্চিমবঙ্গ থেকে ২০০২সালে এমএ প্রথম শেণীতে প্রথম স্থান সহ স্বর্ণপদক প্রাপ্ত এবং ২০০৪-১১ সালে সেখান থেকেই পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন শেষে দেশে ফিরে আসেন। পরে ২০১২ সালের শেষের দিকে রাঙ্গামাটির বিলাইছড়িস্থ ধুপপানিছড়ায় গভীর অরণ্যে ধ্যানে মগ্ন থাকেন এবং প্রানের ভয় ছেড়ে টানা সাড়ে সাত (৭) বছর শ্মশানে ও গাছ তলায় রোদ-বৃষ্টি,শীত-তুফান, বিষাক্ত সাপ ও বাঘ ভাল্লুউকের ভয়কে উপেক্ষা করে খোলা আকাশের নিচেই কঠোর ধুতাঙ্গ ধ্যান করেছেন তিনি কিনা এত সহজে ভেঙ্গে পড়বেন নিজেই নিজের জীবন শেষ করবেন এমন প্রচার ডাহা মিথ্যে।
এদিকে ঘটনা জানাজানির পর প্রত্যেক ধর্মের মানুষ যেন হতবিহ্বল হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল সেখানে গিয়ে ভান্তেকে উদ্ধার করার দৃশ্য দেখেছেন সকলেই। উপাসক-দায়ক-সেবক কেউ কেউ ফেসবুকের লাইভে এসে পুজনীয় ভান্তে ড.এফ দীপংকর মহাথেঁরকে যে অবস্থায় উদ্ধার করার দৃশ্য দেখেছেন তাতে তাঁকে মধ্য রাতের কোন এক সময় হত্যা করে কুঁটিরের সাথে দর্শনার্থীদের বসারস্থানে যেভাবে রশি দিয়ে ঝুলানো দেখানো হচ্ছে তাতে ভান্তের পা মেঝেতেই ভর করা অবস্থায় ছিল যা দেখে চিরন্তন সত্য যে ভান্তেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার পর ঐ অবস্থায় রেখেছে বলে উপস্থিত সকলের দাবি এবং ফেসবুকেও ভক্তরা লেখালেখি করছে। এছাড়াও পুলিশের সাথে সেখানে গনমাধ্যমকে প্রবেশে বাঁধা দেওয়া সন্দেহের সৃষ্টি হয়। দেখা যায়, ধুতাঙ্গ ভান্তেকে ঐ অবস্থা থেকে নামানোর আগেই বিহারের প্রধান সেবিকা হ্যাপী চাকমা’র তড়িঘড়ি করে তথাকথিত চিরকুট (ভান্তের লেখা নামে) আগে পড়তে হবে এই ব্যস্থতায় মহাপাপ এবং এই হত্যাকান্ডের সাথে তার পূর্ব জানার চিত্রটা যেন ফুঠে উঠেছে এমন সন্দেহের তীর তার দিকেই অভিযোগ করা হয়। পরে ধুতাঙ্গ ভান্তেকে সেখান থেকে সরাসরি বান্দরবানস্থ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। উপাসক-দায়ক-সেবক সহ আন্যান্য ধর্মাবলম্বীর অনেকেই রাত জেগে অনেকটা পাহাড়া দিয়েই রেখেছেন, দোটনায় ছিলেন ভান্তের দেহ ময়নাতদন্ত হবে কি হবে না, পরে কি হচ্ছে এমন নানান প্রশ্নের জটলায় থেকেছেন।
এদিকে পর দিন অর্থাৎ রবিবার (১৪জুলাই) সকাল ১০ ঘটিকার সময় ভান্তের ময়না তদন্ত করার ব্যবস্থা করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তখনও রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি চট্টগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ভান্তের হাজারো ভক্তবৃন্দ হাসপাতাল প্রাঙ্গনে জড়ো হয়ে রয়েছেন, তারমধ্যে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর অসংখ্য সদস্য সেখানে অবস্থান করছিলেন। দুপুর বারোটার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভান্তের মরদেহ তাঁর ভিক্ষু সংঘের কাছে হস্তান্তর করলে এসময় ভক্তবৃন্দ অনুরাগীরা দাড়িয়ে দাড়িয়ে কাঁদছিলেন। পরক্ষনেই পরমপূজনীয় গুরুভান্তেকে শীততাপনিয়ন্ত্রিত গাড়িতে রাখলে একপলক দেখতে হুমড়ীখেয়ে পড়ে তারা। অপর দিকে হাসপাতাল প্রাঙ্গনে তখনও ভান্তের জন্মদাতা ‘মা’ পুঁটিরানী বড়ুয়া তাঁর অন্যান্য ছেলে ও তাদের স্ত্রীরাও সেখানে অবস্থান করছিলেন। ভিক্ষু সংঘ তাদের গুরুভান্তেকে বান্দরবানস্থ আর্যগুহা ধূতাঙ্গ বিমুক্তি বিহারে রাখতে চাইলে তিনি বলেন, যেখানে আমার সন্তান (ড. এফ দীপংকর মহাথেঁর)কে হত্যা করা করেছে সেখানেতো তাঁকে রেখে যাবো না। আমি কারো কথাই মানতে রাজি নই, আমার সন্তানকে আমি আমার বাড়িতে (ড. এফ দীপংকর মহাথেঁর এঁর জন্মস্থান) চট্টগ্রামের রাউজান-ফটিকছড়িস্থ ফরাঙ্গীখিল গ্রামেই নিয়ে যাচ্ছি। ঘটনার পর এই মহাপুরুষের গর্ভধারিনী অসহায় ‘মা’ পুঁটিরানী বড়ুয়াও শুধু চোখের জলে বাকরুদ্ধ জীবন পার করছেন।
অন্যদিকে ড. এফ দীপংকর মহাথেঁর এর প্রতিষ্ঠিত রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার ধুপশীলস্থ ‘ধর্মপ্রিয় আন্তর্জাতিক বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্র, ‘ফারুয়া আর্য ধুতাঙ্গ বিমুক্তি বিহার’, জুরাছড়ির দুমদুম্যাস্থ ‘নির্বাণগুহা আর্য ধুতাঙ্গ বিমুক্তি বিহার’ ও গুইছড়িস্থ ‘আর্যচুগ ধুতাঙ্গ বিমুক্তি বিহার’ এবং বান্দরবানস্থ ‘বান্দরবান আর্যগুহা ধূতাঙ্গ বিমুক্তি বিহার’ এর সকল দায়ক-উপাসক, সেবক সেবিকাবৃন্দ সকলেরই অভিযোগ তাদের প্রিয় ধুতাঙ্গ ভান্তেকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবেই হত্যা করা হয়েছে। কঠোর ধুতাঙ্গ ধ্যান সাধনা, ধর্ম প্রচার এবং মানবসমাজের কল্যাণ সহ সকলের দুঃখ মুক্তির জন্য ও সত্য প্রতিষ্ঠায় নিজেকে এক বিপ্লবী হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন। পার্বত্য চট্টগ্রামে তাঁর উপস্থিতিকি যারা সহ্য করতে পারেনি, বিভিন্ন ছলচাতুরি করে প্রতিনিয়িত নীরবে ও প্রকাশ্যে মানসিক নির্যাতন করে গেছে তারাই চক্রান্তের মাধ্যমে এই মহাপুরুষকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ। এই হত্যাকান্ডের বিচার সরকারকে করতে হবে, কেননা আমরা ধর্ম লালন পালনকারীরাতো অসহায় হয়ে গেছি বলে উল্লেখ করেন।
অপরদিকে বর্তমানে ড. এফ দীপংকর মহাথেঁর এঁর জন্মস্থান, চট্টগ্রামের রাউজান-ফটিকছড়িস্থ ফরাঙ্গীখিল গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, তাঁকে গৌতম মুনি বিহারে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কফিনে রাখা হয়েছে। সেখানকার বৌদ্ধ সমাজের অষ্ট (৮) গ্রামের বৌদ্ধ নেতৃবৃন্দরা অন্ত্যষ্টিক্রিয়ার তারিখ কয়েক দফায় সিদ্ধান্ত নিলেও পরে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন নেতৃবৃন্দরা। তারা এ বিষয়ে জানান, সরকারের পক্ষ থেকে যতক্ষননা এ ঘটনার বিচারের নিশ্চয়তা পাচ্ছি ততক্ষণ ড. এফ দীপংকর মহাথেঁরকে এভাবেই রাখা হবে। অষ্ট গ্রামের নেতৃবৃন্দ এ হত্যাকান্ডের সঠিক বিচার ও তদন্তের জন্য মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারিক আদালত আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এছাড়াও সেখানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পূনার্থীরা সরকারের কাছে এ ঘটনার বিচার দাবি করেন এবং জড়িতদের দৃষ্টান্ত শাস্তি কামনা করেন। তারাও বলেন, সরকারের কাছে নিবেদন এ ঘটনায় জড়িতদের বিচারে যাহাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেন। উপস্থিত অনেকে আক্ষেপ করে বলেন, শুধু দেশেই নয় বিশে^র বিভিন্ন বৌদ্ধ রাষ্ট্র এবং বৌদ্ধ নেতৃবৃন্দরা যাহাতে এ ঘটনার বিচারে ভিক্ষু সহ বৌদ্ধ সমাজ সত্য প্রতিষ্ঠার পাশে থাকে সে চিত্রটাও আমরা দেখতে চাই। তারা বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কারনে এ ঘটনার প্রতিবাদ সহ গনমাধ্যমকে ব্যাপক দৃষ্টি গোচর করা যায়নি সরকার যখন নেট চালু করেছে আমরা বৃহৎ প্রতিবাদের ব্যবস্তা নিব।
এদিকে পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ বাংলাদেশ এর রাঙ্গামাটি সভাপতি শ্রদ্ধা লংকার মহাথেঁর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ড.এফ দীপংকর মাহথেঁর এর অপ্রত্যাশিত মৃত্যুতে আমরা খুবই মর্মাহত এবং স্তম্বিত ও বাকরুদ্ধ। একজন উচ্চ শিক্ষিত ধ্যানী বৌদ্ধ ভিক্ষুর রহস্যজনক। বাংলাদেশের বৌদ্ধ সমাজ এবং ভিক্ষু সামজের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগের ও আতঙ্কের। এ রহস্যজনক মৃত্যু পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ কোনভাবেই প্রত্যাশ করেনা। সুষ্টু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে সত্যিকার ঘটনা উদঘাটনের জন্য প্রশাসনের নিকট অনুরোধ জানিয়েছেন। অপর দিকে সর্বশেষ বুধবার (৩১জুলাই) ড.এফ দীপংকর মহাথেঁর (ধুতাঙ্গ ভান্তে)এঁর শিষ্য ভিক্ষু সংঘ ফারুয়া থেকে রাঙ্গামাটিস্থ ভেদভেদী গ্রামের বাড়ীর ফাং (আমন্ত্রনে) আসেন ও সকলের খোঁজ খবর নেন এবং সকলকে পূন্যকর্মে অংশ গ্রহন সহ ধৈয্য ধারনের আহ্বান করেন। এছাড়াও এ ঘটনার সুষ্টু বিচার ও দোষীদের শাস্তির আওতায় আনতে বান্দরবানস্থ আর্যগুহা ধূতাঙ্গ বিমুক্তি বিহার এর এক ভিক্ষু মামলাও করেছেন বলে ভিক্ষু সংঘ নিশ্চিত করেছেন। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দেশব্যাপী অরাজকতা ও আওয়ামীলীগ সরকার পতন হয়। ছাত্র পুলিশ মারামারিতে এবং পুলিশ হত্যা ঘটনার প্রতিবাদে দেশব্যাপী পুলিশের কর্মবিরতির কারনে তাঁদের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় মামলা বিষয়ে শনিবারও বিস্তারিত কিছু জানা যায় নি। দেশে সংখ্যালঘু হত্যা নির্যাতন মন্দির জালাওপোড়াও ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার (৯ আগষ্ট) বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদ রাঙ্গামাটি জেলা কমিটির আয়োজিত এক সভায় এ ভিক্ষু হত্যার প্রতিবাদ সহ অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ।