[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা সীমান্তে আরো ১৪ জন পুশইনখাগড়াছড়ির মাইনী নদীতে লাকড়ি সংগ্রহ করতে গিয়ে নিখোঁজ ১রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলায় ৬৭৫ মৎস্যজীবি পেল সরকারের ভিজিএফ চালরুমা উপজেলা জাতীয় পুস্টি সপ্তাহের র‌্যালি ও আলোচনা সভারামগড় সরকারি কলেজ ও মাদ্রাসা ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিলরাঙ্গামাটিতে পাহাড় ধস ও প্রাণহানির আশঙ্কায় জেলা প্রশাসনের সতর্কতা জারিসড়কে চাঁদাবাজি, গুইমারায় সেনাবাহিনীর অভিযানে আটক দুইগণমাধ্যম ছাড়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়, গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভলংগদুতে আলীম পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস পালন
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

বান্দরবানে ১৫ লাখ চারা বিতরণ করবে ‘বনায়ন’

৫২

॥ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ॥
এবছর বর্ষায় সারাদেশের ন্যায় বান্দরবান জেলায় ১৫ লাখ চারা বিতরণ করবে ‘বনায়ন’। বান্দরবান রিজিয়নে বনায়ন ৪৩ বছরে এপর্যন্ত প্রায় ২ কোটি বনজ, ফলজ ও ঔষধি গাছের চারা বিতরণ করেছে। বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৪-এ ‘গাছ লাগিয়ে যত্ন করি, সুস্থ প্রজন্মের দেশ গড়ি’ এই প্রতিপাদ্য’কে সামনে রেখে বান্দরবান জেলার ৭টি উপজেলায় ও পার্শ্ববর্তী চকরিয়া উপজেলায় চারা বিতরণ কর্মসূচি শুরু করেছে দেশের বেসরকারি খাত পরিচালিত সর্ববৃহৎ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ‘বনায়ন’।

বন বিভাগের দেশব্যাপী বৃক্ষরোপণের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১৯৮০ সালে বনায়ন প্রকল্পের যাত্রা শুরু হয়। এ কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য বান্দরবানে ৮টির বেশি নার্সারিতে এই চারাগুলো তৈরি করা হয়েছে। পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় অবদান রাখতে এই কার্যক্রমের আওতায় এলাকার কৃষক, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও উদ্যোক্তা পর্যায়ে এখন পর্যন্ত প্রায় ২ কোটি বনজ, ফলজ ও ঔষধি জাতীয় গাছের চারা বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। এবছর বান্দরবান জেলার চারা বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ লাখ।

এই কর্মকাণ্ডকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে কৃষকদের সহযোগিতায় ‘বনায়ন’ বান্দরবানে ১৬টির অধিক ঔষধি বাগান তৈরী করেছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এসডিজি-১৫ (স্থলজ জীবন) অর্জনে সরাসরি অবদান রাখছে বনায়ন। এছাড়া, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের মোট ভূমির ২৫ শতাংশ বৃক্ষ দ্বারা আচ্ছাদনে বাংলাদেশ সরকারের লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে এই উদ্যোগ।

বান্দরবান জেলার আওতাধীন লামা উপজেলায় সড়ক বনায়ন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও পর্যটনকেন্দ্রে ফলজ, ঔষধী ও বনজ বাগান করা হয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য চকরিয়া-লামা-আলীকদম সড়ক, মিরিঞ্জা পর্যটন, কুমারী ঔষধী বাগান তেরি। দেশজুড়ে ২২টি’র বেশি জেলায় পরিচালিত হচ্ছে ‘বনায়ন’ প্রকল্পের কার্যক্রম।

প্রসঙ্গত, ‘বনায়ন’ পাঁচবার সম্মানসূচক প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার এবং একবার প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে। পাশাপাশি, গ্রিন লিডারশিপের জন্য ‘এন্টারপ্রাইজ এশিয়া’ থেকে বনায়ন অর্জন করেছে ‘এশিয়া রেসপন্সিবল অন্ট্রারপ্রনারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ এবং এসডিজি অন্তর্ভুক্তি শ্রেণিতে অর্জন করেছে ‘বাংলাদেশ ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড ২০২১’। সম্প্রতি বৃক্ষরোপণের উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে ইতিবাচক প্রভাব রাখার জন্য এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ডস ২০২৩ -এ জলবায়ু ও পরিবেশ বিভাগে সম্মানজনক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে বনায়ন।