॥ খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি ॥
চীনে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রলোভন ও উন্নত জীবনের মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে মানব পাচারের অভিযোগে এক চীনা নাগরিক ও তার বাংলাদেশি স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে পাঁচ কিশোরী-তরুণকে। শনিবার (৮জুন) ঢাকার উত্তরা থেকে পাঁচ ভিকটিমসহ চীনা নাগরিককে গ্রেপ্তারের পর রোববার সন্ধ্যায় ঢাকার বসুন্ধরা থেকে তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মুক্তা ধর, পিপিএম (বার)।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, চীনা নাগরিক জিও সুইওয়ে (৩৪) ও তার স্ত্রী সুমি চাকমা প্রকাশ হেলি। রোববার (৯জুন) বিকালে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, ” গত ২ জুন খাগড়াছড়ির পানছড়ি থেকে দুই কিশোরী নিখোঁজ হয়। এই ঘটনায় থানায় দুইটি সাধারণ ডায়েরির সূত্র ধরে অভিযানে নামে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ। পরে তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে শনিবার ঢাকার উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের হরিজেন্টাল ভবনের একটি অভিজাত ফ্ল্যাট থেকে পানছড়ি থেকে নিখোঁজ দুই কিশোরীসহ পাঁচ জনকে উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় জিও সুইওয়েকে।
উদ্ধার হওয়া অন্যদের মধ্যে একজন কিশোরী, দুজন তরুণ। তাদের বাড়ি রাঙ্গামাটিতে। তাদের রাঙ্গামাটি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার। সংবাদ সম্মেলনে জিও সুইওয়ের বাংলাদেশি স্ত্রী ও মানবপাচার চক্রের সদস্য সুমি চাকমা প্রকাশ হেলি (৩৬)কে গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন পুলিশ সুপার। পরে সন্ধ্যায় তিনি জানান, সুমি চাকমা হেলিকে রোববার সন্ধ্যায় ঢাকার বসুন্ধরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এছাড়া চীনা নাগরিক জিও সুইওয়েকে খাগড়াছড়ির জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।
এদিকে ভুক্তভোগী অবনেকেই জানিয়েছেন, মানবতা বিরোধী এসব অপরাধে পার্বত্য চট্টগ্রামে আরো কারা কারা জড়িত রয়েছে তাদেরকেও খুঁজে বের করতে আইনসৃংখলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তাদেরেকে বিচারে আওতায় আনারো দাবি জানিয়েছেন।