আনন্দ মেলা মাঠে গরুর খুটি আছে গরু নেই
কাপ্তাইয়ে বিভিন্ন জটিলতায় মাঠে কুরবানির পশু আসছেনা, হতাশায় ব্যবসায়ী
॥ মোঃ কবির হোসেন, কাপ্তাই ॥
রাঙ্গামাটির কাপ্তাই নতুনবাজার আনন্দ মেলা মাঠে প্রশাসনিক বিভিন্ন জটিলতার ফলে আসছেনা পাহাড়ি গরু। গরু না আসায় ব্যবসায়ী, ক্রেতা,বিক্রেতা ও ইজারদারের মাঝে চলছে হতাশা। কাপ্তাই আনন্দ মেলা মাঠে প্রতি বছর পবিত্র ঈদুল আযহা আসলে বিশ দিন পূর্বে থেকে শুরু হয় পশু বিক্রয় ও কেনা বেঁচা। কিন্ত দুঃখের বিষয় স্থানীয় প্রশাসনের নানা জটিলতা, হয়রানি বিভিন্ন নিয়ম-কানুনের ফলে পাহাড় হতে কাপ্তাই আনন্দ মেলা মাঠে গরু আসছেনা।
এদিকে কুরবানির গরু না আসায় স্থানীয় ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মাঝে চলছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। গরু ব্যবসায়ী ইসমাইল, আশিষ দাশ,কালাম সাওদাগার জানান, রাঙ্গামাটির মাইনী, শুভলং,নানিয়ারচর, বিলাইছড়ি, পানছড়ি, ফারুয়া, মারিশ্যা ও বরকল হতে গরু ক্রয় করা হয়। এবং আনার পথে নিরাপদপত্তার দায়িত্বরত লোকজনকে বৈধ কাগজপত্র দেখে ছেড়ে দেয়। কাপ্তাই আনার পর ক্রয় বিক্রয় করা হয়। এবং ইউনিয়ন কাউন্সিল ছাড়পত্র দেয়। কাপ্তাই হতে সেই গরু চট্রগ্রাম নেয়ার পথে বিভিন্ন প্রশাসনিক নানা সমস্য, হয়রানি ও জটিলতার ফলে বিভিন্ন বাঁধার মুখে পড়তে হয়। ফলে সকল ব্যবসায়ীরা এখন আর কাপ্তাইয়ে গরু আনতে ও ক্রয় বিক্রয় করতে নিরুৎসাহিত হয়ে পড়েছে। নানা জটিলতার ফলে ব্যবসায়ীরা কাপ্তাইয়ে গরু না এনে রাঙ্গামাটি সদর ও বিলাইছড়ি হয়ে রাজস্থলী উপজেলায় নিয়ে যাচ্ছে বলে জানান। আনন্দ মেলা মাঠে বিশদিন আগ থেকে ইজারদাররা নানা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।
দেখা যায়, আনন্দ মেলা মাঠে গরুর খুটি আছে গরু নেই। স্থানীয় পশু কুরবানি ক্রেতা কবিরুল ইসলাম, বেলাল ও জয়নাল আবেদীন নতুন বাজার আনন্দ মেলা কুরবানির গরুর হাঠ ও মাঠে ক্রয় করতে এসে গরু না পেয়ে তারা সবাই হতাশা ব্যক্ত করে। তারা এও জানান পাশ্ববর্তী উপজেলা রাঙ্গুনিয়া কুরানির হাট হতে একটি গরু ক্রয় করে আনতে ইজারাদারকে হাজারে ১শ’টাকা হাছিল ও ছাগল ৫০টাকা করে দিতে হয়। কিন্ত কাপ্তাই হতে একটি গরুর ক্রয় করলে হাছিল শুধু মাত্র ১শ’টাকা নেয়া হয় বলে জানান। কাপ্তাই আনন্দ মেলা মাঠের ইজারদার মোঃ মনির হোসেন জানান। আমরা আজ ৪ মাস যাবৎ স্থানীয় প্রশাসনের হয়রানি ও নানা জটিলতার যাতাকলে পড়েছি। তাই প্রশাসনের নিকট আবেদন করছি সকল সমস্যদূর করে বৈধ গরু ব্যবসায় আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি।