[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

ঈদুল আযহায় পাহাড় কাঁপাবে লতাপাতায় বেড়ে ওঠা “কালাচান”

৫৩

॥ মোঃ আবুল হাসেম, মাটিরাঙ্গা ॥
পাহাড়ি জনপদ খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় দেখা মিলছে বিশাল আকৃতির “কালাপাহাড়” নামক ষাড়। ১১ফুট দৈর্ঘের ৫ফুট উচ্চতার সাড়ে ১৭ মণ ওজনের এ গরুটিকে আসন্ন কোরবানির ঈদে বিক্রি করা হবে। গরুর মালিক এর দাম হাঁকাছেন ৫ লাখ টাকা। স্থানীয়দের মতে পাহাড়ের মাটিতে সবুজ ঘাস লতাপাতা খেয়ে বেড়ে উঠা এটিই অন্যতম বড় গরু হিসেবে বিবেচিত।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ভারত সীমান্তঘেঁষা মাটিরাঙ্গার তাইন্দং ইউনিয়নের দক্ষিণ আচালং এলাকায় নিতান্তই শখের বশে ৩ বছর ধরে পরম যত্নে ‘কালাচানকে’ লালন-পালন করছেন জামাল হোসেন বশির। তার খামারে দেশি সহ বিভিন্ন জাতের আরো ১২ টা গরু রয়েছে। বশির একজন সফল উদ্যেক্তা খামার ছাড়াও তার নিজস্ব ৪ একর জমিতে মাছ চাষ করে সফল হয়েছেন তিনি। ‘কালাচান’ বিশাল দেহের একটি ষাঁড় গরু। শুকনাছড়ি থেকে আনা ফ্রিজিয়ান জাতের গরুটি দেশীয় পদ্ধতিতে লালন পালন করেন বশির। ভুট্টার গুড়া, আতব চাউল, বশিরের নিজের জমিতে উৎপাদিত কাঁচা ঘাস সহ দেশীয় খাবার খাওয়ানো হয় তাকে। নিতান্তই শান্ত স্বভাবের প্রভুভক্ত ‘কালাচান’ কে নাম ধরে ডাক দিলেই যেন সাড়া দেয় সে। সিজনে কাঁঠাল পছন্দ তার, পেট খারাপ হবার ভয়ে অল্পতেই তুষ্ট হতে হয় তাকে।

শরীর কালো বর্ণের হওয়ায় নাম দেয়া হয়েছে ‘কালাচান’ মন্তব্য করে গরুর মালিক বশির বলেন, নিজের সন্তানের মতো তাকে লালন পালন করেছি। খাবার দিতে দেরি হলে সে অভিমান করতো। গরুটি ৫ লাখ টাকা হলে বিক্রি করবো তবে যিনি কিনবেন আমার নিজ খরছে তার বাড়িতে পৌঁছে দিব। গরুটি কোন হাটে তোলা হবে না, বাড়ি থেকেই বিক্রি করবেন বলে তিনি জানান। এদিকে, হৃষ্টপুষ্ট ও শান্ত স্বভাবের বিশাল আকৃতির এই গরুটি দেখার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিনই ভিড় করছে মানুষ। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে এমন গরু দেখতে পেয়ে হতবাক অনেক দর্শনার্থী।

জামাল হোসেন বশির একজন সফল উদ্যোক্তা জানিয়ে মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুমেন চাকমা বলেন, তার খামারের প্রতিটি গরুই সুষম খাদ্য ও সুন্দর পরিবেশে বড় হচ্ছে। তাছাড়া সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে মোটাতাজা করেছেন গরুটিকে। গরুটির বিষয়ে আমরা অবগত রয়েছি। সুস্থ রাখার জন্য খাবার দাবার সহ নিয়মিত গোসল ও তাপমাত্রা ঠিক রাখার জন্য পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।