কোয়ান্টাম শিক্ষার্থীদের সঠিক শিক্ষাটাই দিচ্ছেন
যা কিছু ভালো সব অর্জন,খারাপ সব বর্জন করবেন: এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহিল
॥ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ॥
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) এর চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মোঃ সাইফুল্লাহিল আজম বলেছেন, জীবনে দুইটা বিষয় সবসময় মনে রাখতে হবে, একটা অর্জন আর অন্যটা বর্জন। যা কিছু ভালো সব অর্জন করবেন, আর যা কিছু খারাপ সব বর্জন করবেন। প্রাকৃতিক পরিবেশের মাঝে আপনারা যে সুশিক্ষা নেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন আমিও চাই আপনারা প্রকৃত অর্থে মানুষ হউন। রবিবার (১৯মে) সকালে বান্দরবানের লামাস্থ কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজ পরিদর্শনে এলে ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন।
১৯ মে বান্দরবানের লামাস্থ কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজ পরিদর্শন করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত সচিব এবং বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)-এর চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুল্লাহিল আজম। এসময় তাঁর সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন এনটিআরসিএ-এর পরীক্ষা মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন সদস্য যুগ্ম সচিব ড. মোঃ আবদুল মান্নান, উপসচিব মোঃ ওবায়দুর রহমান ও আরো তিন কর্মকর্তা।
এদিকে তাঁর আগমন উপলক্ষে কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদানের পর মনোমুগ্ধকর ব্যান্ডবাদন প্রদর্শন করা হয়। পওে সেখানেই তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, জীবনে দুইটা বিষয় সবসময় মনে রাখতে হবে। একটা অর্জন আর অন্যটা বর্জন। যা কিছু ভালো সব অর্জন করবে। আর যা কিছু খারাপ সব বর্জন করবেন। এখানে এসে দেখছি কোয়ান্টাম আপনাদের এই সঠিক শিক্ষাটাই ভালোভাবে দিচ্ছে। শহরের অনেক শিক্ষার্থীই যা পাচ্ছে না। প্রাকৃতিক পরিবেশের মাঝে আপনারা যে সুশিক্ষা নেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন আমিও চাই আপনার প্রকৃত অর্থে মানুষ হউন। কারণ এই বাংলাদেশে আপনাদের মতো মানুষের অনেক দরকার। আপনাাদের দেখে মনে হচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানের প্রাণপুরুষ শহীদ আল বোখারী মহাজাতক আন্তরিকতার সাথে এই মানুষ গড়ার কাজটি সুন্দরভাবে করে যাচ্ছেন। খুব অল্প সময় হলেও আপনাাদের সাথে কাটানো মুহূর্ত আমার জীবনে স্মরণীয় একটি দিন হয়ে থাকবে।
সাইফুল্লাহিল আজম কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে করোনায় মৃতদের দাফন ও সৎকারের দায়িত্ব পালন করেন। স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘করোনায় দাফন নিয়ে কাজ করতে গিয়ে কোয়ান্টাম স্বেচ্ছা দাফন কার্যক্রমের সাথে আমার প্রথম পরিচয় ঘটে। সে-সময় কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন ও আরেকটি প্রতিষ্ঠানের সাথে আমরা ঢাকা শহরে প্রায় ৩০ হাজার লাশ দাফন করেছিলাম। তখন কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের কথা শুনেছিলাম। কিন্তু আজকে প্রথম দেখে গেলাম। লেখাপড়া, খেলাধুলার পাশাপাশি ছোট ছোট বাচ্চাদের জিমন্যাস্টিকস প্রশিক্ষণ দেখে খুব ভালো লাগল এবং আমার বিশ্বাস এই বাচ্চারা একদিন নিশ্চয়ই আমাদের দেশের সম্পদে পরিণত হবে।