[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

রাঙ্গামাটির লংগদুতে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ২

৮৬

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
জেলার লংগদু উপজেলার কাট্টলি এলাকায় বন্দুকধারীর গুলিতে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এর ২ সদস্য নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। শনিবার (১৮ মে) সকাল সাড়ে ৮ঘটিকার সময় অস্ত্রধারী এক দল সন্ত্রাসীর এলোপাতারি গুলিতে বিদ্যাধন চাকমা প্রকাশ তিলক (৪৫), ধন্যমনি চাকমা (৩৫) ঘটনাস্থলে নহিত হয় বলে পুলিশ, স্থানীয় এবং ইউপিডিএফ সুত্র জানিয়েছে।

পুলিশ, স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড়হাড়িকাবা ভালেদি ঘাট এলাকায় অস্ত্রধারী একদল সন্ত্রাসী ইউপিডিএফ এর কর্মীদের লক্ষ্য করে এলোপাতারি গুলি করলে ঘটনাস্থলে বিদ্যাধন চাকমা প্রকাশ তিলক ও ধন্যমনি চাকমা নিহত হয়। তবে কি কারনে তাদের উপর হামলা করা হয়েছে তার সঠিক জানাতে পারেনি। নিহতরা উপজেলার দুই গ্রামের বাসিন্দা বলে জানায়। সুত্রগুলো জানায়, বিদ্যাধন চাকমা প্রকাশ তিলক (৪৫), পিতা সময় মনি চাকমা, কুকিছড়াস্থ কাট্টলী এবং ধন্যমনি চাকমা (৩৫), পিতা লেংগ্যা চাকমা, ধুধুকছড়া বড় হাড়িকাবা গ্রাম লংগদু উপজেলার বাসিন্দা।

এদিকে এ ঘটনার জন্য ইউপিডিএফ এর প্রচার প্রকাশনা বিভাগ এর নিরণ চাকমা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, জেএসএস এর অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরাই তাদের দুই কর্মীকে উদ্দেশ্যমুলকভাবেই হত্যা করেছে। তাদের নিহত দুই সদস্যই সংগঠনের কাজে সেখানে অবস্থান করছিল। ঘটনার দিন সকালে জেএসএস এর অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা সেখানে উপস্থিত হয়ে তাদের উপর হামলা চালায় এতে ঘটনাস্থলেই তারা নিহত হয়।

ইউপিডিএফ এর প্রচার প্রকাশনা বিভাগ আরো জানায়, এ ঘটনাকে কাপুরুষোষিত ও ন্যাক্কারজনক বলে উল্লেখ করা হয়। ইউপিডিএফ এর নের্তৃত্বে সিএইচটি রেগুলেশন ১৯০০ বাতিলের ষড়যন্তসহ বান্দরবানের বম জাতিস্বত্তার উপর নিপীড়ণ-নির্যাতনের চলমান আন্দোলনে বাঁধা সৃষ্টির জন্য জেএসএসএর খুনি বাহিনী দিয়ে তাদের কর্মী ও সমর্থককে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং খুনিদের গ্রেতার সহ বিচার দাবি জানান।

অপর দিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির জেলা কার্যালয়ের প্রকাশনা বিভাগ সুত্র জানিয়েছেন, জেএসএস সন্ত্রাসী কর্মকান্ডকে আশ্রয় প্রশ্রয় দেয় না। এসব ঘটনা তাদেরই অর্ন্তকোন্দল। নিজেদের অভ্যান্তরীণ কোন্দল অন্যের ঘারে দায় চাপানো হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়।

এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় জেলা পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। অপরদিকে ঘটনার পর লংগদু থানা সুত্র জানিয়েছেন, নিহতদের মরদেহ উদ্ধারে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। এলাকাগুলো দূর্গম হওয়াতে তাদের উদ্ধারে সময় লাগতে পারে। এ ঘটনায় এখনো কেউ থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি বলেও জানায়।