মাটিরাঙ্গা উপজেলায় সাড়া ফেলেছে সার্বজনীন পেনশন স্কিম
॥ মোঃ আবুল হাসেম, মাটিরাঙ্গা ॥
দেশের সর্বস্তরের নাগরিকদের পেনশন ব্যবস্থার আওতায় আনতে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি (স্কিম) চালু করেছে সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় সরকারের সর্বজনীন পেনশন স্কিম গ্রহনে মাটিরাঙ্গার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের মাঝে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। এক মাসের মধ্যে মাটিরাঙ্গার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ১হাজার পাঁচশত মানুষ নিবন্ধন সম্পন্ন করেছে। যা খাগড়াছড়ি জেলার মধ্যে সর্বোচ্ছ।
সরকার ঘোষিত সার্বজনীন পেনশন স্কিম গ্রহনে মানুষের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এবং বিভিন্ন দপ্তর প্রধান ও জন প্রতিনিধিদের সহযোগিতায় এ পেনশনের প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে প্রতিদিন বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ স্বেচ্ছায় সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি (স্কিম) গ্রহন করছেন। বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকুরিজীবী, শিক্ষক, ইমাম, সাংবাদিক, শ্রমিক, কৃষক, অটো ও সিএনজি চালক, দিনমজুর ও বিভিন্ন শ্রেণীপেশার সাধারণ মানুষ এমনকি সচেতন মহিলারাও পেনশন স্কিম গ্রহণ করছেন।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের সূত্র মতে, সর্বজনীন পেনশন স্কীম নিবন্ধন কার্যক্রমে খাগড়াছড়ির জেলার মধ্যে মাটিরাঙ্গা উপজেলা শীর্ষস্থানে রয়েছে। আর তা সম্ভব হয়েছে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চক্রবর্তীর নিরলস প্রচেষ্টায়।
বড়নাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ইলিয়াস বলেন, ইউএনও মহোদয়ের আন্তরিক প্রচেষ্টায় সাধারন মানুষ সার্বজনীন পেনশন স্কীম প্রকল্পর প্রসার ঘটেছে। প্রতিদিনই সাধারন মানুষ নিজ উদ্যোগে পেনশন স্কীম নিবন্ধন করছে। মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সুবাস চাকমা বলেন, সার্বজনীন পেনশন স্কীম চালু করার ফলে সাধারন মানুষের বৃদ্ধ বয়সে আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হলো। নিরাপদ ভবিষ্যত গড়তে যার যার অবস্থান থেকে এই স্কিম গ্রহন করা উচিত বলে তিনি জানান।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী নির্বাহী অফিসার ডেজী চক্রবর্তী বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কিম একটি জাতীয় প্রকল্প। বর্তমান সরকারের বিভিন্ন গণমুখী কার্যক্রমের মধ্যে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের আর্থিক সুরক্ষায় সর্বজনীন পেনশন কার্যক্রমটি একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ।
তিনি আরো বলেন, পেনশন স্কিম গ্রহনে উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের শ্রেণী পেশার মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। উপজেলা প্রশাসন এবং বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারে চারটি স্কিমে নিবন্ধনকারীদের অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন সেবা দিয়ে যাচ্ছে।