খাগড়াছড়িতে পরাজিত ও বিজয়ী প্রার্থীর পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন
॥ দহেন বিকাশ ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি ॥
বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন হলে ৮ মে ২০২৪ইং ৬ষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের ১ম ধাপে খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দোয়াত কলম প্রার্থী আবদুল কাদের কারচুপি অভিযোগে এনে গত রবিবার (১২ মে) সংবাদ সম্মেলন করে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পরাজিত প্রার্থী আব্দুল কাদের বলেন, ৮ মে ২০১৪ইং উপজেলা নির্বাচনের ১ম ধাপে খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আমি সহ আমার এলাকায় চেয়ারম্যান পদে মোট ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার আত্মীয় (ভাতিজি জামাই) ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরীর ভায়রা ভাই আমার নির্বাচনের প্রতিপক্ষ বিশ্ব প্রদীপ কারবারী (আনারস প্রতীক) অনিয়মের মাধ্যমে আমি দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী রামগড় পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, মোঃ আবদুল কাদেরের রায় ছিনিয়ে নেওয়া ও নির্বাচন পরবর্তী আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের বাড়ীঘর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উপর হামলার প্রতিবাদে নির্বাচন বাতিল করে পুনঃনির্বাচনের দাবীও জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ আব্দুল কাদের আবু সিকদার বলিপাডা ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সদস্য টুকু মিয়া সহ অন্যান্যরা।
অপরদিকে মঙ্গলবার (১৪মে) সকালে গত ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১ম ধাপে খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলা পরিষদের পরাজিত প্রার্থী আব্দুল কাদের কর্তৃক মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত সাংবাদিক সম্মেলনের প্রতিবাদে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছেন রামগড় উপজেলা পরিষদের ২য় বারের মতো নির্বাচিত চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কুমার কারবারী। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিশ্ব প্রদীপ কুমার কারবারী বলেন, গত ১২মে’২০২৪ খ্রিঃ তারিখ, রোজ-রোববার, সকাল সাড়ে ১০ ঘটিকায় ঢাকাস্থ বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টাস এসোসিয়েশন মিলনায়তনে পরাজিত প্রার্থী আব্দুল কাদের (দোয়াত কলম) সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচনে অনিয়ম, কেন্দ্র দখল, ভোট জালিয়াতি এবং নির্বাচন পরবর্তীতে তার সমর্থকদের ওপর হামলা, বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাটসহ নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করেছেন।
বিশ্ব প্রদীপ বক্তব্যের শুরুতে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, হামলা লুটপাট করি না আমি। গত ৮মে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং উৎসবমূখর পরিবেশে রামগড় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিপুল ভোটে ২য় বারের মতো আমি রামগড় উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আমি সহ মোট ০৩জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করি। নির্বাচন চলাকালীন সময়ে রাষ্ট্রের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, পর্যবেক্ষক টীম, জেলা ও উপজেলার জাতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রিন্ট-ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষন করেছে। সে ক্ষেত্রে অসুস্থ নির্বাচন হওয়ার কথা নয়, মূলত পরাজয়ের গ্লানি মানতে না পেরে আমার ব্যক্তিগত ইমেজ রাজনৈতিক ও সামাজিক পারিবারিক সুনাম সামাজিক মর্যাদা ভাবমূর্তি নষ্ট করার পাশাপাশি মান্যবর পার্বত্য মন্ত্রী কে জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট হেয় প্রতিপন্ন করার হীন উদ্দেশ্য লিপ্ত রয়েছে কাদের গং। উদ্দেশ্যমূলকভাবে যে মিথ্যাচার করেছেন তার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রামগড় পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম, রামগড় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দসহ খাগড়াছড়ির প্রেসক্লাব সহ-ভাপতি নুরুল আজম, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু দাউদ, খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি প্রদীপ চৌধুরী সহ জেলা সদরে কর্মরর্ত সাংবাদিকেরা।