[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

খাগড়াছড়ির দীঘিনালার টক-মিষ্টি তেঁতুল সমতলের চাহিদা মেটাচ্ছে

৭৫

॥ মোঃ সোহেল রানা, দীঘিনালা ॥
পাহাড়ে এক সময় প্রাকৃতিক ভাবে তেঁতুল গাছ জন্মাতো হাট-বাজারের বিক্রয় করা হত না বর্তমানে তেঁতুলের প্রচুর চাহিদা বাড়ছে। খাগড়াছড়ি দীঘিনালার স্থানীয় টক-মিষ্টি তেঁতুল সমতলেও চাহিদা বেশী। বর্তমানে বানিজ্যিক ভাবে বাগান চাষিরা উন্নত মানের থাই তেঁতুল চাষ করছেন। থাই জাতের তেঁতুল উৎপাদন বেশি ও স্বাদে মিষ্টি হওয়ার এর চাহিদাও বেশি।

স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে পাইকারী ব্যবসায়ীরা তেঁতুল ক্রয় করে সমতলের চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কুমিল্লা জেলায় নিয়ে বিক্রয় করছে। এতে চাষীরা তাদের উৎপাদিত তেঁতুল বেশি দামে বিক্রয় করতে পারছে। অপরদিকে ব্যবসায়ীরা সমতলে নিয়ে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছে।

তেঁতুল পাইকারী ক্রেতা মোঃ নাছির বলেন, আগে তেঁতুল উৎপাদন কম হত, এখন অনেকে তেতুল বাগান করেছে। তাই বাজারের প্রচুর তেঁতুল পাওয়া যায়। বাজারের দুই ধরনে তেঁতুল পাওয়া যায় টক-আর মিষ্টি। ৬০-৭০টাকা কেজি পাইকারি কিনে সমতলের চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কুমিল্লা নিয়ে আড়তদারের কাছে বিক্রয় করি। চাপ্পাপড়া এলাকা থেকে তেঁতুল বিক্রয় করতে ধনজয় ত্রিপুরা বলেন, আগে আমার তেঁতুল বিক্রয় করতাম না গাছে নষ্ট হত, এখন তেঁতুলের চাহিদা বেশি ৬০-৭০টাকা কেজি পাইকারী বিক্রয় করতে পারি। আমরা এখন মিষ্ট তেঁতুলে বাগান করছি। কবাখালী ইউনিয়নের উত্তর মিলনপুর এলাকার মোঃ ইব্রাহিম বলেন, আমাদের বাড়িতে দুইটি তেঁতুল গাছ আছে। আগে তেঁতুল বিক্রয় হত না, এখন ৮০-১০০টাকা কেজি বিক্রয় করা যায়। তেঁতুলের এখন অনেক চাহিদা রয়েছে। পাইকারী ব্যবসায়ীরা এখন বাড়িতে এসে তেঁতুল নিয়ে যায়।

দীঘিনালা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শাহাদাৎ হোসেন বলেন, সারা দেশে তেঁতুল গাছ প্রায় কমে গেছে। পহাড়ে এখন প্রচুর তেঁতুল রয়েছে। মিশ্র বাগানের সাথে মিষ্টি জাতের তেঁতুল চাষ করছে। বর্তমানে বাজারের তেঁতুলের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। পাইকারেরাও স্থানীয় বাজার থেকে তেঁতুল ক্রয় করে সমতলে নিয়ে বিক্রয় করছে। পাহাড়ের মাটি তেঁতুল চাষের জন্য উপযোগী। তবে বানিজ্যিক ভাবে তেঁতুল বাগান করার জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে পরামর্শ প্রদান করা হবে।