[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
শিক্ষার উন্নয়নে সকলকে অগ্রণী ভুমিকা রাখার আহবান: রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসকলংগদুতে সেনা জোনের উদ্যোগে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে মতবিনিময়খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে বৃদ্ধের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধাররাজস্থলীতে জাতীয় মৌসুমি ক্রীড়া প্রতিযোগিতার প্রস্তুতি সভামাটিরাঙ্গা ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসায় নবাগত শিক্ষকদের বরণবান্দরবানের লামায় ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার ২রামগড়ে পানিতে ডুবে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রের মৃত্যুলোকনাথ ব্রহ্মচারী যোগাশ্রম মন্দির পরিচালনায় গঠিত কমিটি ১১মাসের মাথায় বিলুপ্তরাঙ্গামাটিতে মেধা ও যোগ্যতায় পুলিশে চাকরি পেল ৮ জনরাঙ্গামাটিতে কলা গাছের তন্তু দিয়ে স্যানিটারি ন্যাপকিন ও মাশরুম উদ্ভাবন
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

যাদের জন্য আইন তাদের কোন মতামত গ্রহণ করা হয়নি

উচ্চ আদালতের মাধ্যমে সিএইচটি রেগুলেশন ১৯০০ বাতিলের ষড়যন্ত্র বন্ধের দাবি

১০৭

॥ মোঃ ইসমাইল, পানছড়ি ॥
উচ্চ আদালতের মাধ্যমে ১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন বাতিলের ষড়যন্ত্র বন্ধের দাবিতে পানছড়ি সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১৩ মে) পানছড়ি বাজার মেইন সড়কে লতিবান ইউপি চেয়ারম্যান,২৪১ নং লতিবান মৌজা প্রধান ও পানছড়ি সচেতন নাগরিক কমিটির আহবায়ক ভুমিধর রোয়াজার সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, ২৪৩ নং চেঙ্গী মৌজা প্রধান শান্তিময় চাকমা, লোগাং ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জয় কুমার চাকমা, চেঙ্গী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আনন্দ জয় চাকমা, পানছড়ি সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান উচিত মনি চাকমা, কারবারী এসোশিয়েশন খাগড়াছড়ির সাধারন সম্পাদক হেম রঞ্জন চাকমা, বাদশা কুমার ত্রিপুরা কারবারি, লিলা মোহন পাড়া কারবারী সুনয়ন চাকমা (সুরিত) প্রমুখ। রুমেল মারমার সঞ্চালনায় এ প্রতিবাদ সভায় পানছড়ির বিভিন্ন গ্রাম হতে দুই হাজারের অধিক মানুষ অংশ গ্রহন করে।

এসময় বক্তারা বলেন, ২০১৬ সালের ২২ নভেম্বর সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগ ওয়াগাছড়া টি এস্টেট লি: বনাম মুহাম্মদ আবু তাহের মামলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশনকে একটি বৈধ ও কার্যকর আইন হিসেবে ঘোষণা করেন। ২০১৭ সালের বাংলাদেশ সরকার বনাম রাঙ্গামাটি ফুড প্রডাক্টস মামলায়ও দেশের সর্বোচ্চ আদালত একই ধরনের রায় দেন। এই মামলায় সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগ ইতিপূর্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশনকে “একটি মৃত আইন” হিসেবে হাইকোর্টের দেয়া রায়কে বাতিল ঘোষণা করেন। অতঃপর ২০১৮ সালে খাগড়াছড়ি থেকে অপরিচিত ও অখ্যাত এক বাঙালিকে দিয়ে সুপ্রীম কোর্টের উক্ত দুই রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন দাখিল করানো হয়, যদিও তিনি ঐ মামলায় কোন পক্ষ ছিলেন না।

বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে এটর্নি জেনারেলও বর্তমানে উক্ত মামলার রায় সংশোধনের জন্য পিটিশন দাখিল করে কার্যত সিএইচটি রেগুলেশন বাতিল ও অকার্যকর করার ষড়যন্ত্রে সামিল হয়েছেন, যা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং উক্ত রেগুলেশন সম্পর্কে সরকারের ঘোষিত নীতি ও অবস্থানের সম্পূর্ণ বিপরীত। পাকিস্তান আমল থেকে আজ পর্যন্ত সিএইচটি রেগুলেশন বহুবার সংশোধন করে এ অঞ্চলের জনগণের অধিকার ও মর্যাদা ক্ষুন্ন করা হয়েছে, এবং পাহাড়ে বহিরাগতদের প্রাধান্য, কর্তৃত্ব ও আধিপত্য প্রতিষ্ঠার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া হয়েছে। বৃটিশ-প্রবর্তিত এই রেগুলেশনকে পুনরায় সংশোধনের মাধ্যমে কার্যত বাতিল ও অকার্যকর করা হলে পাহাড়ে ঐতিহ্যগত যৎসামান্য যে শাসনক্ষমতা রয়েছে তাও ধ্বসে পড়বে।

বক্তারা আরো বলেন, কোন সরকার এসব সংশোধনী আনার সময় পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের কোন মতামত নেয়ার প্রয়োজন মনে করেনি, অর্থাৎ যাদের জন্য আইন তাদের কোন মতামত গ্রহণ করা হয়নি, যা গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ও মূল্যবোধের সাথে সাংঘর্ষিক’ বলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বক্তারা আদালতের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন সংশোধন তথা বাতিলের চেষ্টাকে পাহাড়ি জনগণের হাজার বছরের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও প্রথাগত আইনকে মুছে দিয়ে তাদের জাতীয় অস্তিত্ব চিরতরে বিলুপ্ত করে দেয়ার এক সুগভীর ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মন্তব্য করেন এবং এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।