[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

খাগড়াছড়িতে জাতীয় বৃক্ষ ও বন জরিপ-২০২৪ অবহিতকরণ সেমিনার অনুষ্ঠিত

পার্বত্য চট্টগ্রামের ঝুঁকিপূর্ণ বন সংরক্ষণের জন্য জরিপ করা প্রয়োজন-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী

৬১

॥ পাহাড়ের সময় ডেক্স ॥
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, এমপি বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের ঝুঁকিপূর্ণ বন বর্তমানে পার্বত্য অঞ্চলের বন সংরক্ষণের জন্য জরিপ করা প্রয়োজন। বৃক্ষ নিধন রোধ ও এর সংরক্ষণ করা না হলে পার্বত্য অঞ্চলের অপার সৌন্দর্য্য একদিন রূপকথায় পরিণত হবে। রবিবার (২৮এপ্রিল) খাগড়াছড়ি জেলা সদরের পর্যটন মোটেল অডিটোরিয়ামে দ্বিতীয় জাতীয় বৃক্ষ ও বন জরিপ-২০২৪ অবহিতকরণ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য নিলোৎপল খীসা-এর সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মোঃ সহিদুজ্জামান, খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার পিপিএম(বার) মুক্তা ধর, খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, খাগড়াছড়ি বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ ফরিদ মিয়া, বন সংরক্ষণ কর্মকর্তা সাহেদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে পানির প্রবাহ ও লেয়ার যেভাবে কমে যাচ্ছে তাতে করে এমন এক সময় আসবে যেদিন পার্বত্য অঞ্চলে পানির ভীষণ ঘাটতি দেখা দিবে। তিনি বলেন, চেঙ্গী নদী, মাতামুহুরী ও মনু নদী একসময় পানির প্রচুর প্রবাহ ছিল। কিন্তু এখন পানির শূন্যতা দেখা দিয়েছে। নদীর নাব্যতা ও গভীরতা নেই বললেই চলে। নাগরিক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব বেড়েছে। নির্বিচারে গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে। নব উদ্ভাবিত প্রযুক্তি নতুন প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দিতে হবে। তিনি বলেন, সরকারের বিশেষ উদ্যোগ ও দৃষ্টিভঙ্গি জনস্বার্থে চলমান থাকবেই। নাগরিক হিসেবে পরিবেশের সৌন্দর্য্য রক্ষায় সরকারের পাশাপাশি আমাদেরও অনেক দায়িত্ব রয়েছে। আমাদের দায়িত্ববোধের অবহেলা যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বিশেষ করে ডোবা-নালা ভরাট করে যাতে বাড়ি ঘর বা ফসলী জমি না গড়া হয় সেদিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যত প্রজন্মকে রক্ষা করতে আমাদের এখনই সচেতন হতে হবে। আগামির প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বন সংরক্ষণের জন্য তৈরি করা জোনগুলোর ব্যবহার যাতে সঠিক ও অক্ষুন্ন থাকে সেদিকে সকলের সতর্ক দৃষ্টি থাকতে হবে। বনাঞ্চলের বৃক্ষ, বন ও বনজ সম্পদের পরিমাণ নির্ধারণ করা এবং বনাঞ্চলে কি কি প্রাণি রয়েছে তা নির্ণয় ও সংরক্ষণের প্রয়োজনে বন জরিপের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি। একটি দেশের জন্য ২৫ ভাগ বন থাকা প্রয়োজন। সে জায়গায় আমরা পৌঁছাতে পারলাম কি না তা জানার জন্যও বন জরিপের গুরুত্ব অপরিসীম বলে উল্লেখ করেন।

সেমিনারের শুরুতে সেমিনারে রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় পরামর্শক ও ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের বিভাগীয় চেয়ারম্যান ড. নিখিল চাকমা প্রজেক্টরের সাহায্যে বাংলাদেশসহ পার্বত্য অঞ্চলে জোনিং পদ্ধতিতে বৃক্ষ ও বন সংরক্ষণের চিত্র তুলে ধরেন।