সরকারের উন্নয়ন ও উপজেলা নেতৃত্বকে কটাক্ষ
মাটিরাঙ্গায় চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কাশেম ভুঁইয়াকে বয়কটের আহবান
॥ মোঃ আবুল হাসেম, মাটিরাঙ্গা ॥
গত ১৫ বছর আওয়ামীলীগ একটানা ক্ষমতায় থাকাকালীন মাটিরাঙ্গা একটি বৃহৎ উপজেলা হওয়া সতেও¡ এ উপজেলায় কোন উন্নয়ন হয়নি, সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে এ উপজেলা থেকে আওয়ামীলীগ সবচেয়ে বেশি ভোট পেলেও সঠিক নেতৃত্বের অভাবে কোন উন্নয়ন হয়নি বলে দলীয় নেতাদের দুষলেনচেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ আবুল কাশেম ভুঁইয়া। নির্বাচিত হলে এ উপজেলায় ১৫ বছরে যে উন্নয়ন হয়নি ৫ বছরে তার চেয়েও দ্বিগুন উন্নয়ন করে দেখাবেন বলে তিনি জানান। তবে মিথ্যাচারের জন্য আবুল কাশেম ভুুঁইয়াকে বদজন ও পাগল আখ্যা দিয়েছেন পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি হারুনুর রশিদ ফরাজী।
আসন্ন মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে “কৈ মাছ” প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ আবুল কাশেম ভুঁইয়া সম্প্রতি এক নির্বাচনী সভায় এমন বক্তব্য দেন। ওই সভায় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেন, তিনি নির্বাচিত হওয়ার তিন মাসের মধ্যে আওয়ামীলীগের শীর্ষ পদে নেতৃত্ব দেবেন। আর যদি না পারেন তাহলে চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিবেন বলে জনসম্মুখে ঘোষণা দেন তিনি। দুর্দিনে তিনি আওয়ামীলীগের পাশে ছিলেন, এখনও নাকি আওয়ামীলীগের দুর্দিন চলছে, এ দুর্দিনেও তিনি আওয়ামীলীগের হাল ধরবেন বলে ওই বক্তব্যে শোনা যায়।
সম্প্রতি তার এমন বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা জুড়ে উত্তেজনা সহ বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। মাটিরাঙ্গা উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ তার এ বক্তব্য কে মিথ্যা, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিমুলক বলে দাবী করে তাকে বয়কট করার আহ্বান জানিয়েছে।
এদিকে আবুল কাশেম ভুুঁইয়া কে বদজন ও পাগল আখ্যা দিয়ে মাটিরাঙ্গা পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি হারুনুর রশিদ ফরাজী বলেন, গত ১৫ বছরে দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে তিনি অবৈধ টাকার পাজোরো গাড়িতে চলাচল করেন উন্নয়ন অনুভব করবেন কিভাবে? তিনি অবৈধভাবে ভোট কারচুপি করে তবলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সুপ্রিম কোর্ট তার বিরুদ্ধে রায় দিয়ে তাকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। এভাবেই আবারো অবৈধ পথে কালো টাকার জোরে ক্ষমতায় আসতে চান তার এমন অপ-চিন্তাকে রুখে দিয়ে তাকে বয়কটের জন্য নেতাকর্মীদের আহবান জানান তিনি।
অপর দিকে মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সুবাস চাকমা আবুল কাশেম ভুঁইয়া নির্বাচনী সভায় দেশের উন্নয়ন কে কটাক্ষ করে দেয়া বক্তব্য কে তীব্্র নিন্দা জানিয়ে তাকে বয়কট করার আহবান জানিয়ে বলেন, তিনি উপজেলা আওয়ামীলীগের কোন পদে নাই। আওয়ামী লীগের শীর্ষ পদে নেতৃত্ব দেবার স্বপ্ন কিভাবে দেখেন সেটা আমার বোধগম্য নয়। তিনি গত ইউপি নির্বাচনে ভোট কারচুপি করে তবলছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান হয়েছিলেন পরে হাইকোটের্র রায়ে তাকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়। তাকে নির্লজ্য মিথ্যাচার বলে দাবী করে সুবাস চাকমা আরো বলেন, মাটিরাঙ্গার বিভিন্ন সেক্টরে ব্যাপক উন্নয়ন দৃশ্যমান। এখানে রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ, কালভার্ট, নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন সহ অবকাঠামো গত উন্নয়ন ছাড়াও পুরো উপজেলায় বিদ্যুতায়ন করা হয়েছে। দল বদলের সুযোগ সন্ধানী আবুল কাশেম একজন নির্লজ্য মিথ্যাচার তাকে অত্র উপজেলার আওয়ামীলীগ সহ সকল উপজেলা বাসিন্দাকে নির্বাচনে বয়কট করার জন্য উদাত্ত আহবান জানান তিনি।