[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
বিএনপি’র ৩১ দফা বাস্তবায়নে রামগড়ে জিয়া পরিষদের লিফলেট বিতরণলামায় আওয়ামীলীগ নেতা বাবা ও ছাত্রলীগ নেতা ছেলে গ্রেফতাররামগড়ে শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মাষ্টমী পালিতলক্ষ্মীছড়ি’র ইউএনও সেন্টু কুমার বড়ুয়া অসহায় দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ালেনগণমাধ্যম শক্তিশালী একটি মাধ্যম রাজস্থলীতে সেনা কর্মকতার মতবিনিময়খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালিতকাপ্তাই উপজেলার রাইখালীতে বিএনপির সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম উদ্বোধনরামগড়ে ওয়াদুদ ভুইয়া ফাউন্ডেশন কর্তৃক মসজিদে আর্থিক সহায়তা প্রদানকাপ্তাই পিতার অভিযোগে বাল্যবিবাহ বন্ধ মুচলেখা সহ জরিমানা দিলেন ‘মা’আওয়ামী সরকারের আমলে উন্নয়নের নামে পার্বত্য চট্টগ্রামে লুটপাট হয়েছে: দীপন তালুকদার
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

রুমা ও থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা

উপজেলায় ব্যাংক বন্ধ তাই বান্দরবান জেলা শহরে ব্যাংকে গ্রাহকদের ভীড়

৮১

॥ বান্দরবান প্রতিনিধি ॥
রুমা ও থানচি সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের ডাকাতি, অস্ত্র লুট ও গোলাগুলির ঘটনার পর নিরাপত্তার কারণে গত ছয়দিন ধরে বন্ধ রয়েছে দুই উপজেলার ব্যাংক শাখাগুলো । যার ফলে দুই উপজেলার ব্যাংক শাখার গ্রাহকরা জেলা সদরের সোনালী ব্যাংক গুলোতে টাকা তুলতে ভীড় করছেন। এতে কয়েক ঘন্টা ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে গ্রাহকদের। তবে কবে নাগাদ উপজেলার ব্যাংক খুলবে সে ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল থেকে বান্দরবান শহরের সোনালী ব্যাংকের মূল ফটক দুইটি বন্ধ রাখা হয়েছে। নিরাপত্তা কর্মীরা চার-পাঁচজন করে গ্রাহকদের ব্যাংকে প্রবেশ করাচ্ছেন। এসময় ব্যাংকের ভেতরে প্রবেশের জন্য অনেক গ্রাহকদের বাইরে দাঁড়িয়ে ও বসে থাকতে দেখা গেছে। ব্যাংকের চারপাশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কড়া নিরাপত্তা দেখা গেছে।

গত মঙ্গলবার রাতে বান্দরবানে রুমায় সোনালী ব্যাংকে হামলা ও এর ম্যানেজারকে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। এর ১৫ ঘণ্টা পর থানচি উপজেলার সোনালী ও কৃষি ব্যাংক লুটপাট হয়। ওই ঘটনার পরে রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি ও লামা উপজেলা শাখার ব্যাংক কার্যক্রম একদিন বন্ধ রাখা হয়। পরে আলীকদম, লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ি শাখার ব্যাংক খুলে দেওয়া হলেও রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি নিরাপত্তার কারণে সোনালী ও কৃষি ব্যাংক বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে ওই সব শাখার গ্রাহকরা টাকা তুলতে বান্দরবান সদর শাখা সোনালী ব্যাংকে ভিড় করছেন।

থানচি থেকে সোনালী ব্যাংকে বেতনের টাকা তুলতে রজন দাশ বলেন, কয়েকদিন পরেই পাহাড়ে প্রায় সব জাতিগোষ্ঠীদের নববর্ষ উৎসব (বৈসাবি)। এছাড়া রয়েছে পবিত্র ঈদ। সবাই বেতন-বোনাসের টাকা তুলতে ভিড় করছেন। রোয়াংছড়ি শাখার ব্যাংক বন্ধ থাকায় বান্দরবানে এসে টাকা তুলতে হচ্ছে।

রুমা গ্রাহক সাচিং মং মারমা বলেন, দুই ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ব্যাংক থেকে টাকা তুলেছেন। রুমা শাখার ব্যাংক বন্ধ তাছাড়া একসপ্তাহ পরে আমাদের সাংগ্রাই। ঈদের ছুটিতে ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাবে। তাই ব্যাংকে জমানো টাকা তুলতে আসতে হয়েছে জেলা শহরে।

বান্দরবান সোনালী ব্যাংক শাখার ব্যবস্থাপক রাজন কান্তি দাশ বলেন, এক বছর ধরে তিনি এই শাখার দায়িত্বে আছেন। রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ির তিন শাখার লেনদেন এই শাখায় হচ্ছে। শত শত মানুষ ব্যাংকের ভেতরে ও বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন। চাকরি জীবনে এতো ভিড় আগে কখনো দেখিনি।