[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
দীঘিনালায় যৌথবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ কর্মী আটকবান্দরবানে রিপোর্টার্স ইউনিটির ভবন জোড়পূর্বক দখলের অভিযোগবান্দরবানের থানচিতে ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশমানিকছড়িতে চাঁদাবাজি করতে এসে জনতার হাতে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটকবরকল উপজেলার ভূষণছড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগরাঙ্গামাটির লংগদুতে নৌকার কিছু নেতাকর্মী এখন ট্রাকে উঠে গেছেকাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে-পার্বত্য উপদেষ্টাসড়ক দুর্ঘটনায় কাপ্তাই বিএফআইডিসি এলপিসি শাখার কর্মচারী নিহতমানিকছড়ির নবাগত ইউএনও’র সাথে বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদের শুভেচ্ছা বিনিময়খাগড়াছড়িতে বন্যাকবলিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

বন্যহাতির আবাসস্থল ধ্বংস করে ইটভাটা

৯৫

॥ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ॥

ধীরে ধীরে ইটভাটার নগরীতে পরিণত হচ্ছে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামা উপজেলা। গত কয়েক বছরে বেড়ে বর্তমানে এই উপজেলায় ইটভাটার সংখ্যা ৩৯টি। প্রশাসন ইটভাটা বন্ধে যতই কঠোর হচ্ছে, ততই দিনে দিনে অজ্ঞাত কোন কারণে বেড়ে চলেছে ইটভাটা। ২০১২ সালের পর থেকে পার্বত্য এলাকায় কোন ইটভাটাকে অনুমোদন দেয়নি সরকার। কোন অনুমতি না দেয়া সত্ত্বে কিভাবে নতুন নতুন ইটভাটা গড়ে উঠছে, তার কোন সন্তোষজনক জবাব নেই বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তর, বান্দরবান জেলা ও লামা উপজেলা প্রশাসনের কাছে !

স্কুল-মাদ্রাসা, সবুজ বনাঞ্চল, জনবসতি, পৌরশহর সহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকার পরে এবার অর্ধশতাধিক বন্যহাতির আবাসস্থল ধ্বংস করে গড়ে উঠেছে ইটভাটা। লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড বড়ছনখোলা এলাকার পাইকেরছড়া জায়গাটি ছিল এই অঞ্চলের বন্যহাতির আবাসস্থল। স্থানটিতে সারাবছর পানি পাওয়া যায়। হাতির প্রজনন এবং থাকার জন্য সবচেয়ে আদর্শ জায়গা এটি। কিন্তু এখানে গড়ে উঠেছে এডিবি (অউই) নামে একটি ইটভাটা।

সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সবুজ বনের মাঝে গড়ে উঠা এডিবি ইটভাটাটি গত দুইবছরে চারপাশে সবুজ বনাঞ্চল উজাড় ও তিনটি বড় পাহাড় কেটে শেষ করেছে। ইটভাটার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ইসকাটাঝিরিটি দখল করে সেই পানি দিয়ে তৈরি হচ্ছে ইট। শুষ্ক মৌসুমে যা একসময় বন্যহাতি সহ বনের পশুপাখিদের কাজে লাগত। এদিকে ভাটার কালো ধোঁয়া ও গাড়ি চলাচলের কারণে ধূলাবালিতে চারপাশ একাকার হয়ে গেছে। যাতে করে কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বন্যপ্রাণীর বসবাস অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

স্থানীয়রা জানান, এখনো প্রতিরাতে ১৫/২০টি বন্যহাতি ভাটার একটু পূর্বদিকে ইসকাটাঝিরিতে থাকে। ৩/৪টি দলে বিভক্ত হয়ে মোট অর্ধশত হাতির বিচরণ রয়েছে এই এলাকায়। ইটভাটার কালো ধোঁয়া, পাহাড় কাটা, বনাঞ্চল উজাড় ও ইটভাটায় বিদ্যুৎ ব্যবহারের কারণে ওই এলাকায় হাতি অবস্থান করতে পারছেনা। ফলে লোকালয়ে এসে বন্য হাতি গুলো তান্ডব চালাচ্ছে। বাড়ছে মানুষ ও হাতির দ্বন্দ। হাতির জায়গা দখল করে প্রভাবশালীরা ইটভাটা করেছে, হাতি যাবে কোথায় ?

এডিবি ইটভাটার মালিক মোঃ আবচার ও নেজাম উদ্দিন বলেন, আমরা সবাইকে ম্যানেজ করেই ইটভাটা করি। কত দেখলাম ! পারলে আমাদের ভাটা বন্ধ করে দিতে বলেন।

পরিবেশ অধিদপ্তর বান্দরবানের সহকারী পরিচালক মোঃ ফখর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বিষয়টি জানা ছিলনা। শীঘ্রই অবৈধ ইটভাটার বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে। লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শান্তনু কুমার দাশ বলেন, উপজেলা প্রশাসন থেকে ইটভাটার বিষয়ে নিয়মিত অভিযান চলমান রয়েছে। এডিবি ইটভাটা বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে।