সরকারের এই মহতী উদ্যোগে স্বাগত জানিয়েছেন সকলেই
খাগড়াছড়িতে সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিষয়ক অবহিতকরণ সভা
॥ দহেন বিকাশ ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি ॥
খাগড়াছড়িতে সরকারের সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিষয়ক অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২৪মার্চ) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মোঃ সহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠিত সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জোনায়েদ কবীর সোহাগ এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন পার্বত্য জেলা পরিষদের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন চৌধুরী, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শানে আলম, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. কিশোর কুমার মজুমদার, খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের নবনির্বাচিত সভাপতি চৌধুরী আতাউর রহমান প্রমুখ।
সভায় সরকারের সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিষয়ক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখা) এস. এম. নুরুন্নবী। এসময় তিনি পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলায় সর্বজনীন পেনশন স্কীম সম্পর্কিত প্রতিবেদনে জানা যায়, এ পর্যন্ত খাগড়াছড়ি সদর ৩৫, রামগড়ে ২০, দীঘিনালাতে ১৬, গুইমারাতে ৬, মহালছড়িতে ১০, মাটিরাঙ্গাতে ৪, মানিকছড়িতে ৭, পানছড়িতে ৪ এবং এখনো শূন্য লক্ষ্মীছড়ি উপজেলাতে।
পেনশন স্কিম নিয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ছাবের, লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবুল চৌধুরী, পানছড়ি উপজেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান চন্দ্র দেব চাকমা, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস এম মোসলেম উদ্দিন, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মোঃ জসীম উদ্দিন, জেলা যুব উন্নয়ন বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক হাফিজা আইরিন, খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক ত্রিনা চাকমা, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান হেলাল, বিয়াম ল্যাবরেটরী হাই স্কুলের অধ্যক্ষ রিন্টু চাকমা, কালেক্টরেট কিন্ডার গার্টেনের প্রধান শিক্ষক গ্লোরি চাকমা, কালেক্টরেট জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাবিবুল্লাহ, সকল উপজেলার ইউএনও এবং সমন্বয়ক কমিটির অন্যান্য সদস্য। সরকারের এই মহতী উদ্যোগে স্বাগত জানিয়েছেন সব শ্রেণি-পেশার অংশগ্রহণকারীরা। চাঁদা দাতারা অনলাইন প্লাটফর্মে রেজিস্ট্রেশন করে যে কোনো একটি পেনশন স্কিমে যুক্ত হতে পারবেন।
৪টি স্কিমের মধ্যে সমতা স্কিমে (দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারীদের জন্য) মাসিক এক হাজার টাকা চাঁদার মধ্যে চাঁদা দাতা দেবেন ৫শ টাকা এবং সরকার দেবে ৫শ টাকা। ১০ বছর সঞ্চয়ের পর মাসিক পেনশন পাবে এক হাজার ৫৩০ টাকা।
সুরক্ষা স্কিমে (স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তি) মাসিক এক হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা চাঁদা বিভিন্ন মেয়াদে জমা দেওয়া যাবে। ১০ বছর সঞ্চয়ের পর মাসিক পেনশন পাবে এক হাজার টাকায় এক হাজার ৫৩০ টাকা, ২ হাজার টাকায় ৩ হাজার ৬০ টাকা, ৩ হাজার টাকায় ৪ হাজার ৫৯১ টাকা এবং ৫ হাজার টাকায় ৭ হাজার ৬৫১ টাকা। প্রগতি স্কিমে (বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারী বা প্রতিষ্ঠানের মালিক) মাসিক ন্যূনতম ২ হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা জমা দেওয়া যাবে। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারীদের ক্ষেত্রে স্কিমের চাঁদার অর্ধেক কর্মী এবং অর্ধেক টাকা প্রতিষ্ঠান প্রদান করবে। এক্ষেত্রে কোনো প্রতিষ্ঠান এই স্কিমে অংশগ্রহণ না করলেও কর্মচারী নিজ উদ্যোগে এককভাবে এ স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। ১০ বছর সঞ্চয়ের পর মাসিক পেনশন পাবে ২ হাজার টাকায় ৩ হাজার ৬০ টাকা, ৩ হাজার টাকায় ৪ হাজার ৫৯১ টাকা এবং ৫ হাজার টাকায় ৭ হাজার ৬৫১ টাকা।
প্রবাস স্কিমে (বিদেশে কর্মরত বা অবস্থানকারী বাংলাদেশি নাগরিক) মাসিক ৫ হাজার, সাড়ে ৭ হাজার ও ১০ হাজার টাকা চাঁদা বিভিন্ন মেয়াদে জমা দিতে পারবেন। ১০ বছর সঞ্চয়ের পর মাসিক পেনশন পাবে ৫ হাজার টাকায় ৭ হাজার ৬৫১ টাকা, সাড়ে ৭ হাজার টাকায় ১১ হাজার ৪৭৭ টাকা এবং ১০ হাজার টাকায় ১৫ হাজার ৩০২ টাকা।