[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
কাপ্তাই লেকের দূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান: সনাক নেতৃবৃন্দদীঘিনালায় জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনাশহীদ জিয়াউর রহমান দেশকে তলাবিহীন জুড়ি থেকে উত্তরণ করেছিল- মেয়র শাহাদাতরাঙ্গামাটির পুরসভার আয়ের টাকা মারিয়া দিয়া পাকাপোক্ত হইয়াছে হেইসব হইলো আরেক মহা ডেভিল, চিন্তায় আছি….প্রাকৃতিক দূর্যোগ যে কোন মুহুর্তে, প্রশাসনের সাথে জনগনকেও সতর্ক থাকতে হবেরাঙ্গামাটির রাজস্থলীতে ড্রাম ট্রাক দুর্ঘটনায় ৭ শ্রমিক আহতদীঘিনালায় বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালনযাত্রীর কল্যাণে কাপ্তাই-চট্টগ্রাম ওয়াইসিএল পরিবহণ উদ্বোধনদীঘিনালায় মাইনী নদীতে ভেসে যাওয়া বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধারখাগড়াছড়িতে পাহাড় ধস ও নদীর স্রোতে নিখোঁজদের ১ জনের লাশ উদ্ধার
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

গাড়ি আমাদের ঘরের সামনেই চলে আসে

খাগড়াছড়ির পানছিড়িতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বড় সাঁওতাল পাড়া এখন মডেল ভিলেজ

৯৩

॥ মোঃ ইসমাইল, পানছড়ি ॥
খাগড়াছড়ির পানছিড়িতে আরেক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাঁওতাল জাতিগোষ্ঠী। এ সম্প্রদায়কে পিছিয়ে পড়া জাতি থেকে স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারিভাবে নানামুখী সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। আধুনিক গ্রাম গঠনে এমন কোনো অংশই বাকি নেই এই বড় সাঁওতাল পাড়া গ্রামে। ফলে নতুনত্বে ফিরেছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাঁওতাল গ্রাম, আর পরিচিতিও পেয়েছে মডেল ভিলেজ হিসেবে।

বাংলাদেশের একটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী হলো সাঁওতাল সম্প্রদায়। এই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর একটি অংশ বসবাস করে খাগড়াছড়ির পানছড়িতে। উপজেলার সদর ইউনিয়নের বড় সাঁওতাল পাড়া নামক গ্রামেই তাঁদের বসবাস। কিছুদিন পূর্বেও যাদের ছিলোনা মাথা গোঁজার ঠাই, ছিলোনা সেনিটারী ল্যাট্রিন ব্যবস্থা, ছিলোনা পান করার মতো বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা, আজ সেই গ্রাম পরিপূর্ণতা পেয়েছে মডেল ভিলেজ হিসেবে।

কি নেই এই গ্রামে। ৭৮ পরিবারের মাঝে সরকারিভাবে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর পেয়েছে ২৭ টি পরিবার। এবং জেলা পরিষদ, ইউএনডিপি, রেড ক্রিসেন্ট ও উন্নয়ন বোর্ড সহ বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় এই এলাকার প্রত্যেকটি ঘরে তৈরি করে দেওয়া হয়েছে সেনেটারী ল্যাট্রিন। রয়েছে সোলার প্যানেল দ্বারা পানি তোলার ব্যবস্থা। যার সংযোগ রয়েছে প্রত্যেকটি বাড়ির আঙ্গিনায়। ২০টি পরিবারকে দেওয়া হয়েছে গবাদি পশু, রয়েছে শিশুদের পাশাপাশি বয়স্ক শিক্ষারও ব্যবস্থা আর কাঁচা রাস্তা থেকে এখন পরিপূর্ণ ইট-সোলিং। তাঁদের রয়েছে নিজস্ব ভাষা “সাঁওতালি বর্ণমালা”। গ্রামে রয়েছে পাঠাগার। রয়েছে কৃষিজ জমি, বাড়ির এক কোণে জৈব সার তৈরির অবকাঠামো, রয়েছে মৌ-চাষের সামগ্রীও।

উপকারভোগী জুনিয়া সাঁওতাল বলেন, একসময় বৃষ্টি এলে রাতে ঘুমাতে পারতাম না, ঘরে বৃষ্টি পড়তো। আর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে একটি ঘর উপহার দেওয়ায় নিশ্চিন্তে জীবনযাপন করছি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমরা চির কৃতজ্ঞ। এলাকার পাঠাগার সম্পাদক আকাশ সাঁওতাল বলেন, উন্নয়ন বোর্ড, ইউএনডিপি, রেড ক্রিসেন্ট, পার্বত্য জেলা পরিষদ এবং উপজেলা পরিষদ সহযোগিতা করায় আমরা এখন নির্বিঘ্নে এলাকায় চলাচল করতে পারি। এক সময় অসুস্থ রোগীকে কাঁধে বয়ে নিয়ে যেতে হতো এখন গাড়ি আমাদের ঘরের সামনেই চলে আসে।

মডেল ভিলেজ সভাপতি মিলন সাঁওতাল বলেন, সরকার সহ বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতায় এখন আমরা স্বাবলম্বী। আগামীতেও এমন সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে আমরা আরো উন্নত জীবনযাপন করতে পারবো।