[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
বান্দরবানের রুমা গ্রামবাসীর প্রশ্ন কত বছর অপেক্ষা করলে পাকা-নিরাপদ সড়ক পাবখাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় গণধর্ষণের শিকার উপজাতি কিশোরী, আটক-২রাঙ্গামাটি জেলায় শিক্ষার মানোন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে- কাজল তালুকদারসেবাপ্রাপ্তীদের প্রত্যাশা পুরণে রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতাল বদ্ধ পরিকর: সিভিল সার্জনখাগড়াছড়ির রামগড়ে পিতা হত্যা’র আসামি ছেলে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তাররাঙ্গামাটিতে মৃত হাতি শাবককে ৪৮ঘণ্টা ধরে পাহাড়ায় হাতির দলজাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসে দীঘিনালায় সচেতনতামূলক সভাবাল্যবিবাহ নারীর ক্ষমতায়নকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছেকাপ্তাই আইডিইবি’র নতুন সভাপতি- ইমাম ও সাঃ সম্পাদক-আলীআইডিইবি কাপ্তাই সাংগঠনিক জেলা নির্বাহী কমিটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

কাপ্তাই হ্রদ প্রতিনিয়ন দুষণ হচ্ছে

রাঙ্গামাটির বরকলে উপজেলার সুবলং বাজার পলিথিন মুক্তকরণ অভিযান

১১৯

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
বন বিভাগের উদ্যোগে রাঙ্গামাটির সুবলং বাজারে পলিথিন মুক্তকরণ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ কাজে সহায়তা করেছেন ১নং সুবলং ইউনিয়ন পরিষদ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারী) সকালে পলিথিন মুক্তকরণ অভিযানে নেতৃত্ব দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের কাচালংমুখ বনশুল্ক ও পরীক্ষণ ফাঁড়ির স্টেশন কর্মকর্তা মোঃ শরীফুল ইসলাম ও সুবলং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তরুণ জ্যোতি চাকমা। এ সময় সুবলং বাজার ও ঘাটে যত্রতত্র পড়ে থাকা পলিথিন ব্যাগ,বিস্কিটের খালি প্যকেট পুড়ে ফেলা হয়। পলিথিন মুক্তকরণ অভিযানে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, বনবিভাগের কর্মচারী ও বাজারের ব্যবসায়ীসহ প্রায় অর্ধ শতাধিক মানুষ অংশ নেন।

সুবলং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তরুন জ্যোতি চাকমা ও কাচালংমুখ বনশুল্ক ও পরীক্ষণ ফাঁড়ির স্টেশন কর্মকর্তা মোঃ শরীফুল ইসলাম বলেন, পলিথিনের কারণে সুবলং বাজারের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। পরিবেশ ভাল রাখার জন্য আমরা সম্মিলিতভাবে কাজ করছি। পার্বত্য চট্টগ্রামে আমরা প্রথম এ ধরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। বনবিভাগের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বাজারের ব্যবসায়ীরা এ কাজে সহযোগিতা করছেন। পর্যটন এলাকা হিসেবে সুবলংয়ের পরিচিতি রয়েছে। পর্যটকরা এলে যেন সুন্দর একটা সুবলং দেখতে পান আমরা সে চেষ্টা করছি। এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, রাঙ্গামাটিতে কাপ্তাই হ্রদের তীরবর্তী বিভিন্ন বাজারের পলিথিন ও ময়লা আবর্জনার কারণে কাপ্তাই হ্রদ প্রতিনিয়ন দুষণ হচ্ছে। সম্প্রতি আমি সুবলং বাজারে গিয়ে দেখি অনেক পলিথিন বাজারে ঘাটে ও পানিতে যত্রতত্র পড়ে আছে। তখনই আমি সুবলং বাজারে পলিথিন মুক্তকরণ অভিযান পরিচালনা করার নির্দেশনা দিই। হ্রদ তীরবর্তী বাজারগুলোর মধ্যে সুবলং বাজার ও মাইনী বাজারে সবসময় যত্রতত্র পলিথিন ফেলা হয়। আমাদের বন বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সুন্দরভাবে সুবলং বাজারে পলিথিনমুক্তকরণ অভিযান পরিচালনা করেছেন পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, ব্যবসায়ী ও স্থানীয় মানুষ এ কাজে সহযোগিতা করছেন তাদের সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন থেকে পরিবেশ সুরক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে।