[vc_row][vc_column css=”.vc_custom_1596871563159{margin-bottom: 0px !important;}”][vc_column_text css=”.vc_custom_1596874329023{padding-top: -30px !important;}”]

শিরোনাম
রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক সদস্য আলীম বহিষ্কারখাগড়াছড়ির দীঘিনালায় নানান আয়োজনে নববর্ষ উদযাপনবাঘাইছড়িতে উপজেলা প্রশাসনের নববর্ষ উদযাপনরাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বিএনপির শোভাযাত্রামাটিরাঙ্গায় বর্ণিল আয়োজনে উপজেলা প্রশাসনের বর্ষবরণ শোভাযাত্রাখাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় বর্ণিল আয়োজনে বাংলা নববর্ষ বরণ করেছে বিএনপিবান্দরবানের থানচিতে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হচ্ছে সাংগ্রাই উৎসবখাগড়াছড়ির রামগড়ে গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতারইসরাইল কর্তৃক ফিলিস্থিনে গণহত্যার প্রতিবাদে রাঙ্গামাটিতে ওয়ার্ল্ড পীস্’র মানববন্ধনঢাকা রমনা লেকে ফুল ভাসিয়ে ফুলবিঝু উৎসব পালন করলেন পার্বত্য উপদেষ্টা
[/vc_column_text][/vc_column][/vc_row]

২৬ বছরে বৃহত্তর পার্বত্য অঞ্চলের ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়েছে

আওয়ামীলীগের সময়োচিত উদ্যোগের ফলে পার্বত্য জেলাসমূহ পিছিয়ে পড়া জনপদ নয়

১১৭

॥ পাহাড়ের সময় ডেক্স ॥
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, এমপি বলেছেন, আওয়ামীলীগ সরকার কর্তৃক পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির আলোকে পার্বত্য অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ গঠন করেছে। সরকারের সময়োচিত উদ্যোগ গ্রহণের ফলে পার্বত্য জেলা সমূহ এখন পিছিয়ে পড়া জনপদ নয়। বৃহস্পতিবার (১৪ফেব্রুয়ারী) রাজধানীর বেইলি রোডস্থ শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের মাল্টিপারপাস হলে আয়োজিত পার্বত্য মেলা-২০২৪ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, এমপি এর সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মশিউর রহমান এনডিসি, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য গৌতম চাকমা, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, সাবেক মহিলা এমপি বাসন্তী চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আমিনুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম এনডিসি, যুগ্মসচিব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম এনডিসি, যুগ্মসচিব মোঃ হুজুর আলী, যুগ্মসচিব সজল কান্তি বনিক, পার্বত্য চট্টগ্রাম হতে আগত অতিথিবৃন্দ, বিভিন্ন সংস্থা থেকে আগত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আহ্বায়ক আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ আরো বলেন, বাংলাদেশ সরকার এ অঞ্চলের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, অবকাঠামো ও মোবাইল নেটওয়ার্কসহ সকল খাতের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। পার্বত্য জেলাসমূহের নৈসর্গিক সৌন্দর্য সমুন্নত রাখা ও পর্যটন শিল্পের প্রসারেও সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। দেশের সার্বিক অগ্রযাত্রায় এ অঞ্চলের জনগণ সম-অংশীদার। তিনি বলেন, তিন পার্বত্য জেলায় উৎপাদিত কৃষি পণ্য সামগ্রী, হস্তশিল্প, ঐতিহ্যবাহী কোমর তাঁতে বোনা পণ্য, বিভিন্ন মৌসুমী ফল, ঐতিহ্যবাহী পার্বত্য খাবার যা মেলার আকর্ষণকে অধিকতর বাড়িয়ে তুলেছে। পার্বত্য মেলার মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের উৎপাদিত পণ্যসামগ্রীর প্রচার ও বিপণনের মাধ্যমে তাদের অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা এখানে তুলে ধরা হয়েছে।

অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদান্যতা, আন্তরিকতা, মানবতা বোধের কারণেই পার্বত্য চট্টগ্রামের নির্যাতিত, ক্ষুধার্ত ও পশ্চাদপদ মানুষকে উন্নয়নের মূল স্রোতধারার সাথে সম্পৃক্ত করেছেন। এজন্যই পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন করেছিলেন। তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, যোগ্য নেতৃত্ব আর ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফলেই পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে দীর্ঘ দু’যুগ ধরে চলমান পাহাড়ি-বাঙালি ভ্রাতৃঘাতী রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান ঘটে। পার্বত্য শান্তি চুক্তির ফসল হিসেবে বিগত ২৬ বছরে বৃহত্তর পার্বত্য অঞ্চলের ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন সম্প্রদায় আছেন যারা সংস্কৃতিমনস্ক সৃজনশীল কাজের প্রতি অনুরাগী। এই মেলার মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ইতিহাস, ঐতিহ্য, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার চিত্র ফুটে ওঠেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির আলোকে উন্নয়ন কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

এর আগে প্রধান অতিথি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ ফিতা কেটে, পায়রা ও বেলুন ওড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদবোধন করেন। তিনি পরে অতিথিদের নিয়ে মেলার স্টলসমূহ ঘুরে দেখেন এবং স্টলের কর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন। শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রে আগামি ১৪-১৭ ফেব্রুয়ারি চারদিনব্যাপী পার্বত্য মেলা চলবে। মেলা প্রতিদিন সকাল ০৯টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। পার্বত্য তিন জেলার ২৭৫ জন শিল্পীর ঐতিহ্যবাহী পরিবেশনায় প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়েছে। চারদিনব্যাপী এ পার্বত্য মেলায় ৯৭ টি স্টল বরাদ্দ রয়েছে। মেলার স্টলে তিন পার্বত্য জেলায় উৎপাদিত কৃষি পণ্য সামগ্রী, হস্তশিল্প, ঐতিহ্যবাহী কোমর তাঁতে বোনা পণ্য, ঐতিহ্যবাহী পার্বত্য খাবার দ্রব্য প্রদর্শন ও বিক্রয় চলছে।